পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন
নমস্কার বন্ধুরা,
জন্মানোর পর থেকে আমরা যে সমস্ত কথা শুনি, যে সমস্ত ভাষা বলি, যে সমস্ত কবিতা শিখি, যে সমস্ত গান গাই, যে সব সুর গুন গুন করি সেগুলোই আমরা সারাটা জীবন আওড়াতে থাকি। আমাদের মা যেমন ভাবে কথা বলতেন আমরাও ঠিক তেমন ভাবেই কথা বলি। সেই ভাবনা থেকেই এবারের বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের থিম "কথাবলী"। দক্ষিন কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির নামের সাথে যেমন কালচার কথাটা জুড়ে রয়েছে তেমনি তাদের থিমেও রয়েছে বাংলা সংস্কৃতির ছোঁয়া। ৭৩ বছরের পদার্পণ করা এই পুজো দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজো গুলির মধ্যে একটি। কালীঘাটের পুজোগুলো দেখা শেষ করে এটাই ছিলো বালিগঞ্জ এলাকার দ্বিতীয় পুজো।
ছেলেবেলা থেকেই আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শক্তি চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নানান কবির সৃষ্টি করা কবিতা পড়ে বড় হই। তবে আমরা নানান ধরনের কবিতা পড়লেও বিশেষ বিশেষ কিছু কবিতার লাইন আমাদের সাথে সারাটা জীবন মনে থেকে যায়। যেমন আমাদের বিশেষ কিছু গানের সুর মনে লেগে থাকে। সেই সব ভাবনাটা গুলোকে একটা জায়গায় নিয়ে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের পুজো গেঁথেছে।
কালীঘাটের নামিদামি সব কটা পুজো মণ্ডপ ঘুরে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেছিলাম বালিগঞ্জে। যেখানে শুরুতে বালিগঞ্জ সমাজ সেবী সংঘের দুর্দান্ত পুজো মন্ডপ দেখে নিয়েছি। তারপরেই হাতের কাছে পেলাম সমাজ সেবী সংঘের ঠিক গায়ে লাগোয়া বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার। কিন্তু দুর্গাপুজোর নানান রাস্তায় ব্যারিকেডের কারণে প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে ঘুরে তবেই বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ঢুকতে পারলাম। যদিও এতোটা পথ ঘুরে আসা যে সার্থক সেটা মণ্ডপের বাইরে থেকেই বুঝতে পারলাম।
মন্ডপের বাইরে নানান কবিতার বিশেষ কিছু লাইনের ক্যালিগ্রাফি করে বানানো হয়েছে। রাতের আলোক সজ্জাতে যেটা আরো সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। ধীরে ধীরে ভীড়ের কাটিয়ে বালিগঞ্জ কালচারালের মূল মন্ডপে প্রবেশ করে গেলাম।
মন্ডপের গর্ভ গৃহে ঢুকেই রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গেলাম সারা মন্ডপের ছাদ জুড়ে রয়েছে নানা ধরনের ভালো করে দেখে বুঝলাম প্রত্যেকটা ঝাড়বাতি হারবে টিনের ক্যান কেটে বানানো হয়েছে। যেটা সত্যি অসাধারণ লাগছিল। এসবের ঠিক মধ্যিখানে স্বয়ং মা দুর্গা বিরাজ করছিলেন। মায়ের প্রতিমায় বনেদিয়ানার ছোঁয়া যেটা বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম আকর্ষণ।
দাদা আজকে আপনি বালিগঞ্জ অনুষ্ঠিত পুজোর অনেক সুন্দর করে বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ৭৩ বছরের পদার্পণ করা এই পুজো দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজো এই কথাটাই আগে জানা ছিল না। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেলাম। ধন্যবাদ দাদা এত তথ্য সম্বলিত একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এর থিমটা তো দারুণ। কথাবলী থিমটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। আসলেই জন্মের পর থেকে আমাদের মাথায় যে কথা,কবিতা বা গান ঢুকে,সেটাই আমরা ঘুরেফিরে মনে করতে থাকি। যাইহোক তাদের আয়োজন এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।