আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৬
নমস্কার বন্ধুরা,
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থেকে ঠিক বেরিয়েই পেয়ে গেলাম বইমেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা সেটা হচ্ছে খাবার দাবারের স্টল। বইয়ের দোকানে থেকে এই স্টল গুলোতেই মূলত লোকজনের ভিড়টা বেশি ছিল। আমি কোনমতে খাবারের স্টল গুলো থেকে একটু নজর ঘুরিয়ে পৌঁছে গেলাম ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতার বইমেলায় মূল থিম যে দেশের উপর ভিত্তি করে তাদের প্যাভিলিয়নে অর্থাৎ ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্যের প্যাভিলিয়ন। যদিও যুক্তরাজ্যের প্যাভিলিয়নটা বই কম যেন ব্রিটিশ কাউন্সিলেরর প্যাভিলিয়ন বলেই বেশি মনে হলো।
গুট গুটি পায়ে ঢুকে গেলাম প্যাভিলিয়নে। লোকজন মোটামুটি কম বেশি ছিল। কারণ যতই হোক এ বছরে বইমেলার মূল থিম কিন্তু সেই ব্রিটেন। স্বভাবতই সেখানে পাঠকদের অল্প বিস্তার ভিড়। বিশাল মাপের প্যাভিলিয়ন পেলেও ব্রিটেন শুধুমাত্র যেন আমাদের দেশে ব্যবসা করতে এসেছে সেটাই বুঝিয়েছে। তারা ইংরেজি সাহিত্যের দিকটা কম তুলে বরং কিভাবে আরো বেশি বেশি করে ভারতীয় ছাত্র এবং ছাত্রীদের তাদের দেশে পড়তে নিয়ে যেতে পারে তারই যেন অ্যাড ক্যাম্পেনিং করছে বইমেলায়।
যদিও দেখার বিশেষ কিছুই ছিলো না তবে দুটো জিনিস আমার খুব কাছে ভালো লেগেছে। সেগুলোর সৃজনশীলতা আমাকে টেনেছে। তার একটি, কিছু ইংরেজি সাহিত্যের বইয়ের রেফারেন্স বইপত্র রাখা ছিল ব্রিটেনের প্যাভিলিয়নে। যেগুলো আদবে তাদের ভাষার বইপত্র গুলোকে রিপ্রেজেন্ট করে তবে সেগুলো কিন্তু পাঠকরা কিনতে পারবেনা। সেই বই পত্র গুলো যেখানে ডিসপ্লে করা হয়েছিল সেখানে সুন্দরভাবে গ্রেট কথাটিকে লেখা হয়েছিল এবং তার ভেতরেই রাখা ছিলো অনেকগুলো বই। আরেকটি বিষয় আমার বেশ ভালো লেগেছিল তা হল প্যাভিলিয়নে লন্ডনের ঐতিহাসিক টেলিফোন বুথ। যেটা তাদের দেশে কমে গেলেও তার কিন্তু জনপ্রিয়তা মোটেও কমেনি।
যুক্তরাজ্যের প্যাভিলিয়নে আরেকটি জিনিস আমার ভালো লেগেছিল যে তারা আটটি সর্বাধিক ব্যবহৃত ভারতীয় ভাষা নিয়ে একটি ওয়াল বোর্ড বানিয়েছিল। সেখানে কোন পাঠক কতগুলো ভাষা চিনতে বা বুঝতে পারে সেটা নিয়ে তারা একটি ছোটো প্রতিযোগিতা চালাচ্ছিল। এবং সেখানে একজন প্রত্যেককে কে কত ভাষা সঠিক ভাবে চিনতে পারছেন সেটা জানিয়ে দিচ্ছিলেন। তার পাশাপাশি সেখানে যারা যারা পার্টিসিপেট করছেন তাদের জন্য ছিল নামের স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা। আমিও তাতে ভাগ নিলাম, আট খানি ভাষা চিনে নিজের নামটিও বোর্ডে লাগিয়ে দিলাম।
প্রিয় দাদা, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ষষ্ঠ পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে উক্ত বইমেলায় যুক্তরাজ্যের প্যাভিলিয়নে ভাষা চেনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনি আট খানি ভাষা চিনতে পেরেছেন এটা জেনে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার।
এই বছর কলকাতা বই মেলায় না গিয়ে অনেক কিছু দেখা মিস করে ফেলেছি। তোমার শেয়ার করা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে তা বুঝতে পারছি দাদা।
এই বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো । তাছাড়াও সেখানকার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে, যেটা শুনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। তবে আর একটা বিষয় বেশ অবাক হলাম, যে তুমি ভারতীয় আটটি ভাষা সম্পর্কে অবগত এবং সেগুলো সিওর হয়ে দেখে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছ। আমি তো মনে হয় বাংলা আর হিন্দি ভাষা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারব না দেখে।
বাহ্! নিজের নামটিও বোর্ডে লাগিয়ে দিয়েছেন আটটি ভাষা চিনে,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। ব্রিটেনের প্যাভিলিয়নটা কিন্তু খুব সুন্দর। তবে আমার কাছে মনে হয় তাদের উচিত ছিলো,নিজেদের সাহিত্যের দিকটা আরো ভালোভাবে তুলে ধরা। গ্রেট লেখাটির মধ্যে বইগুলো রেখেছে, দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাছাড়া ঐতিহাসিক টেলিফোন বুথটি দেখতেও দারুণ লাগছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।