ফুড রিভিউ : ঐশীর এগ-চিকেন নুডলস স্যুপ, চিকেন ড্রামস্টিক ও ফিস ফিঙ্গার
নমস্কার বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। টানা সাতদিন বাড়িতে কাটিয়ে আমার পর মুখটা বড্ড পানসে হয়ে গিয়েছিলো। মুখের পানসে ভাব কাটাতে আর আমার স্বাদকোরক গুলোকে উজ্জীবিত করতে ফাস্টফুডের দিকেই ঝুঁকলাম। ফাস্ট ফুড খাবার তাগিদে আজ গিয়েছিলাম, ভারতীয়-চাইনিজ ফিউশন রেস্টুরেন্ট ঐশী'তে। রেস্টুরেন্ট বলাটা হয়তো ঠিক নয়, ফাস্ট ফুড ভেন্ডর বলাই মানায়।
উত্তর কলকাতার বুকে ঠিক স্কটিশ চার্চ কলেজের পাশে ছোটো মতো ভারতীয়-চাইনিজ ফিউশন ফাস্ট ফুডের দোকান ঐশী। বছর তিনেক বহুবার ঐশীর পাশ দিয়ে যাতায়াত করলেও ঐশীর খাবার আমার কখন খাওয়া হয়নি। আজ যখন ফাস্ট ফুড খাওয়ার ইচ্ছে ও সুযোগ দুটোই পেলাম তখন ঐশীতে যাওয়াই স্থির হলো।
ফাস্ট ফুডের দোকান তাই রান্নাঘর আর টাকার কাউন্টার ছাড়া কিছু নেই। বসার জায়গা বলতে দোকানের ঠিক মুখটায় কিছু টুল। ফাঁকা টুলে বসে পটাপট অর্ডার দিয়ে দেওয়া হলো, এগ-চিকেন নুডলস স্যুপ, চিকেন ড্রামস্টিক আর ফিস ফিঙ্গার।
মিনিট দশেকের মধ্যেই অপেক্ষার অবসান হলো যখন হাতে এলো গরমাগরম এগ-চিকেন নুডলস স্যুপ। আমার আবার অল্প ঝালে ঠিক হয় না তাই আমি অল্প গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে সাথে চিলি সস আর টমেটো কেচাপ নিয়ে সব মাখিয়ে মুখে পুরে দিলাম। আহা! ঘন স্যুপ, নুডলসের সাথে ছোটো ছোটো চিকেন কিমা মুখে যেতেই প্রাণ জুড়িয়ে গেলো।
কয়েক চামচ এগ-চিকেন নুডলস স্যুপ মুখে দিতে না দিতেই হাতে পেয়ে গেলাম চিকেন ড্রাম স্টিক। লোভের বশে দিয়ে দিলাম কামড়। আর যাই কোথায়, গরমের ঠেলায় জিভ পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। কোনো মতো গিলে তারপর চিকেন ড্রাম স্টিক অল্প ঠান্ডা করে বাকিটুকু খেয়ে সাবাড় করে দিলাম।
শেষ যেটি হাতে পেলাম সেটা ছিলো ফিস ফিঙ্গার। কলকাতার বিখ্যাত এই ফাস্ট ফুডটি খারাপ করার কোনো জায়গা নেই তবে অনেক রেস্টুরেন্টে কাসুন্দির মনে খুবই বাজে থাকে সেখানে ঐশীতে সেটাও ছিলো উচ্চমানের। কাসুন্দিতে ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে রসিয়ে খেয়ে নিলুম ফিস ফিঙ্গার গুলোকে। আহা। যেন স্বর্গসুখ।
বহুদিন পর বেশ জমিয়ে ফাস্টফুড খেলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমে ঐশী দেখে তো চিন্তায় পরে গেলাম।কারণ ভাবছি নবনিতা থেকে আবার ঐশী হলো কবে।🤪🤪পরে বুঝলাম আসল কাহিনী।
ইসসস! হাঃ হাঃ। খাওয়া দাওয়ার কাহিনী।
আপনার খাবার দেখে জীভে জল তো ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না দাদা। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম ঐশী নামে কোন ঐ আর কি আপনার জন্য তৈরী করেছে নিজ হাতে। পরে বুঝলাম না দাদা গিয়েছে ফাষ্ট ফুড। আপনাদের ওখানে খাবারের মান ভাল সেটা বলতেই হবে। আর কাসুন্দি তে ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে যখন ফিস ফিঙ্গার খাচ্ছিলেন আমার তখন কিন্তু গলায় লোভের একটা দলা ঠেকে গিয়েছিল। হা হা। খেয়ে যান এখনই খাওয়ার সময়।