বাড়ির পুকুর সংস্করণ
নমস্কার বন্ধুরা,
সোমবার সকাল থেকে বৈকাল পর্যন্ত শুধুমাত্র মাটির জন্য দৌড়াদৌড়ি করে কেটে গেল। সেই সাথে বুঝলাম বর্তমান সময়ে মাটির প্রয়োজনীয়তা এবং অভাব। আদপে বাড়ির পুকুরটিকে আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কার করার চেষ্টা করছি তবে যেহেতু তাতে গ্রামের প্রায় অনেকেই স্নান করার কাজে ব্যবহার করেন তাই সংস্কারে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। আসলে বহু বছর ধরে বহু মানুষ পুকুর ব্যবহারের ফলে পুকুরের পাড় গুলো বেশ কিছুটা ভেঙে গিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে অনেক বার সংস্কার করা নিয়ে বাড়িতে কথাবার্তা চললেও মূলত দুটি কারণে সংস্কার করা যায় নি, এক, পর্যাপ্ত মাটির অভাব এবং দুই, ব্যবহার যোগ্য পুকুর তাই জল তুলে ফেলাও সম্ভব না। তাছাড়া প্রতিবছরই গ্রামের মানুষের জন্য শীত শেষ হওয়ার আগেই পুকুরে সেচ করে নিয়ে এসে জলে ভরিয়ে রাখা হয়। বহু বছর পরে বৃষ্টির জলের অভাবে চাষবাসের জন্য পুকুরের জলকেই সেচের কাজে লাগানো চলছে। সেজন্য পুকুরের জল স্তর বেশ কিছুটা নেমে গিয়েছে। তাতেই পুকুর সংস্কারের সুযোগ পাওয়া গেল।
যদিও সংস্কার পুকুরের চারপাশেই হওয়াটা দরকার তবে পুকুরের দক্ষিণ দিকটাই মূলত সবচেয়ে বেশি ভেঙেছে। এবং যেহেতু এই পাড় দিয়েই জমি যাওয়ার রাস্তা রয়েছে সেজন্য প্রাথমিকভাবে পুকুরের দক্ষিণ দিকটাকেই ঠিক করা হবে ঠিক হলো। আর যেহেতু আমাদের পুকুরের ঠিক পেছন দিকেই নতুন একটা পুকুর খোড়া হচ্ছিলো তাই আমাদের মাটির অভাব টাও মিটে গেলো।
শুরুতে একশো ট্রাক্টর মাটি কেনা হলো। যার মধ্যে প্রথম দফায় পঁচিশ ট্রাক্টর মাটি পাওয়া যেতো। আমাদের সেই পঁচিশ ট্রাক্টর মাটি পেতেই রীতিমতো কাল ঘাম ছুটলো।প্রথমত তীব্র গরম। দ্বিতীয়ত সকাল থেকেই সেই আগুনে তাপের সাথে লু'য়ের মতন হাওয়া। দুইয়ের মাঝে অদ্ভুত আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে যার। আগেকার দিনের মতো মাটি কাটাতে বিশেষ একটা সমস্যা নেই। কারণ বর্তমানে মাটি খোদাই করার জন্য বিশেষ এক ধরনের জেসিবি ট্রাক্টর রয়েছে। সেটা চালিয়ে খুব সহজেই মাটি কাটা ও উত্তোলন করা সম্ভব। খুব শক্ত থেকে শক্ত মাটিকেও সহজে তুলে ফেলা যায়।
মেশিনের সাহায্যে মাটি কাটা প্রক্রিয়াটা সকালবেলা শুরু হলো। যা শেষ হতে হতে দুপুরবেলা হয়ে গেল। তার দুটি কারণ এর একটি হলো দু দু বার মাটি বোঝাই করা ট্রলি উল্টে যাওয়া। আর প্রতিবারে ঘুরে ঘুরে আমাদের ক্রমিক পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগছিল। সকাল দশটা থেকেই তাই সেদিকেই পড়েছিলাম। যার দরুন দিনশেষে এক চতুর্থাংশ মাটিই পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তা দিয়ে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের কিছু অংশ সংস্কার হলো বটে তবে অনেকটা এখন বাকি। তবে আশা করছি কাজ যখন শুরু হয়েছে তখন সম্পন্ন হবেই।
এখন আসলেই দাদা মাটির খুব সমস্যা। তবে তোমরা একটা কাজ করতে পারতে, তোমাদের পুকুর থেকে মাটি তুলে তারপর পাড়ে দিতে পারতে। তাহলে মাটির সমস্যা কিছুটা মিটে যেত। যাইহোক, তাও তো তোমাদের পাশে একটা পুকুর কেটেছে, তার জন্য মাটি পেয়েছো। এখন সুন্দর করে পুকুরটা সংস্কার করে ফেল, যাতে করে আরো বেশি বেশি লোক এখানে স্নান করতে পারে এবং তাদের জলের প্রয়োজন মেটাতে পারে।
দাদা এখন সব জায়গাতেই মাটির সমস্যা। গত বছর মাটি না পেয়ে বালি দিয়ে আমাদের একটি জমি ভরাট করেছিলাম। পরে অবশ্য শেষের দিকে বালির উপরে ৪/৫ গাড়ি মাটি ফেলেছিলাম অনেক কষ্টে জোগাড় করে। যাইহোক আপনাদের পুকুরের পিছনে নতুন একটা পুকুর খোড়া হচ্ছিলো বলে, খুব সহজেই মাটি পেয়েছেন দাদা। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনাদের পুকুর সংস্করণ করা কমপ্লিট হয়ে যাবে। এতে করে আশেপাশের অনেক মানুষ এই পুকুর ব্যবহার করে বেশ উপকৃত হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
যে গরমের দিনকাল চলছে দাদা উপরের জল তো না থাকারই কথা। আমাদের পুকুরের অবস্থা ঠিক এরকম হয়েছে। গত বছর এই সময় প্রায় ১ লাখ টাকার পাঙ্গাস মাছ ছিল বাড়ির বড় পুকুরটাতে। আর এখন সুখিয়ে ফেটে রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সংস্কার করার সুযোগ পেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
পুকুর সংস্কার বিষয়ে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। অনেক তথ্য জানতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। মাটি কাটার বিষয়টা আমাদের মাঝে বেশ উপস্থাপন করেছেন তবে প্রচন্ড গরমের মুহূর্তের সবাইকে তো একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ যে দিনকাল সৃষ্টি হয়েছে। ১০০ট্রাক মাটির মধ্যে ২৫ ট্রাকের ব্যবস্থা জানতে পারলাম। আসলে প্রচণ্ড গরমে পুকুরের পানি অনেক কমে গেছে সব জায়গায়।
পুকুর সংস্কার বিষয়ে দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ১০০ ট্রাক মাটির ভেতরে ২৫ ট্রাক মাটির ব্যবস্থা হয়েছে। আর প্রচন্ড গরম এই গরমে সবকিছু অনেক কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। আগেকার সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে ডিজিটালে এসে আমরা খুব সহজেই সবকিছু করতে পারছি। অনেক শক্ত মাটি ও এখন খুব সহজেই মেশিনের মাধ্যমে উঠানো সম্ভব হচ্ছে। আশা করি খুব সহজেই আপনার পুকুর সংস্করণ করা হয়ে যাবে । অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।