স্ট্রিটফুড রিভিউ: অহিরীটোলা ঘাটের বড়া পাভ
নমস্কার বন্ধুরা,
ভারতের প্রত্যেক অঞ্চলের তাদের বিশেষ কিছু স্ট্রিটফুড আছে। যেমন কলকাতার প্রধান স্ট্রিটফুড এগ রোল কিংবা কাঠি রোল তাছাড়া বাঙ্গালী বিরিয়ানিকে এত ভালবাসে যে সেটাকেও প্রায় স্ট্রিট ফুডের আওতায় ফেলে দিয়েছে। তবে আজ রোল কিংবা বিরিয়ানি খাইনি। আজকে খেয়েছি মহারাষ্ট্রের অন্যতম একটি স্ট্রিট ফুড বড়া পাভ। এমন নয় যে আগে আমি বড়া পাভ কখনো খাইনি, মাঝেমধ্যেই খাই। তবে বেশ কদিন ধরে অহিরীটোলা ঘাটের কাছের একটি দোকানের বড়া পাভের খুব নাম শুনছিলাম। সুযোগ পেয়েই তাই চলে গেলাম সেই বড়া পাভ খেয়ে দেখতে। গঙ্গার ধারে বসে থাকাও হবে সাথে বড়া পাভ খাওয়াও।
সন্ধ্যের দিকটা মূলত গঙ্গার পাড়ে বসে কাটিয়ে দিলাম। তারপরে বাড়ির ফেরার পথে অহিরীটোলা ঘাটের বাবা ভূতনাথের মন্দিরের সামনে দিয়ে চলে গেলাম সেই বড়া পাভের দোকানটাতে। মহারাষ্ট্রের এই স্ট্রিটফুড আপনি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পেয়ে যাবেন তবে বিভিন্ন জায়গার স্বাদ আলাদা। দোকানে যখন পৌঁছলাম তখন বেশ ভালই ভিড় ছিল। তার ফাঁক দিয়ে অর্ডার করে দিলাম, দুপ্লেট বড়া পাভ।
যদিও এটা মহারাষ্ট্রের খাবার তবে সেখানে বড়া পাভের সাথে কোলকাতার বড়া পাভের একটু পার্থক্য রয়েছে। মহারাষ্ট্রে বড়া পাভের মাঝে আলুর পুর থাকে। যেটা অনেকটা বার্গারের মতো দেখতে হয় কিন্তু কলকাতায় পাভটা আলাদা সাথে একটা ঘন টক ঝাল তরকারি। সেটা টমেটো ঘুগনি এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে হয়ে থাকে।
অর্ডার করে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হল। তারপরে পেয়ে গেলাম হালকা মাখনে সেঁকা পাভ আর টমেটো ঘুগনি আলুর একটা ঘন সবজি। পাওয়া মাত্র প্লেটে হামলে অল্প করে পাউরুটি ছিঁড়ে মানে ওই পাভ ছিঁড়ে সবজিতে চুবিয়ে মুখে পুরে দিলাম 😁।
টক ঝাল আর মাখনের স্বাদে মুখটা ভরে গেলো। দাম মাত্র ১২০ টাকা। যদিও শুধুমাত্র পাউরুটি আর সবজির জন্য এটা বেশি। তবে নাম যখন বড়া পাভ তখন মাঝে মধ্যে খাওয়াই যায়। আমি দিলাম ৯/১০।
ভালো বলেছেন ভাইয়া বিরিয়ানি কেউ স্ট্রিট ফুড বানিয়ে ফেলেছে। এই খাবারটার নাম টিভিতে অনেক শুনেছি। আমি তো আগে ভাবতাম যে বড়া পাউ, এখন দেখছি যে বড়া পাভ। দেখতে তো অনেকটা বার্গারের মত। সবজিটা দেখে মনে হচ্ছে যে বেশ মজাদার ছিল। লোভনীয় একটি খাবার। মজা করে খেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
বাহ্ দারুন খাবার তো। চোখে দেখা তো দূরের কথা।কখনও তো এর নামও শুনিনি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখার সুযোগ হলো বড়া পাভ এর। বেশ স্বাদের যে হবে তা কিন্তু দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু দোকান কিন্তু আছে যাদের খাবার গুলো বেশ নামকরা হয়ে যায়।