পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ২০
নমস্কার বন্ধুরা,
ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসকরা এসেছে। সম্পূর্ণ ভারত তারা দখল করতে না পারলেও ভারতের বেশ কিছু অংশ তাদের দখলে একটা সময় ছিল কুষাণ রাজবংশের পরবর্তী সময়ে শাসন এবং অন্যান্য বেশ কিছু বহিরাগত শাসক ভারতবর্ষের উপরে তাদের রাজত্ব স্থাপন করেছিল। শাসনীয় রাজবংশের পরিধি সর্বাধিক ছিল এরা বর্তমানে ভারতের উত্তরের বেশ কিছু অংশ থেকে শুরু করে সৌদি আরবের এবং আফ্রিকা মহাদেশের বর্তমানে মিশর দেশের কিছু অংশ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব ছিল। আর যে সমস্ত রাজাই ভারতের শাসন করেছে তারাই তাদের নিজস্ব কিছু ছাপ রেখে গেছে যেমন এই শাসানীয় রাজবংশের অর্ধেশীর, সাপুরব এবং পরবর্তীতে হূন সাম্রাজ্যের খুব সুপরিচিত রাজা মিহীরকুল প্রত্যেকেই নিজের মুদ্রা চালু করেছিলেন।
সাম্রাজ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে মুদ্রার পরিবর্তন আসে। মধ্যযুগীয় ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। আর সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালকেই ভারতের মধ্যযুগের স্বর্ণযুগ বলে ধরা হয়। কারণ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রাথমিক দিকের রাজাদের মুদ্রা সবই ছিল স্বর্ণের, এর থেকে বোঝা যায় সেই সময় ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কতটা শক্তিশালী ছিল। গুপ্ত বংশের সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত সমুদ্রগুপ্ত প্রত্যেকেই নিজেদের স্বর্ণের মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমাপ্তের পরে ভারতবর্ষে আরও বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রাজারা তাদের শাসন করে গেছেন গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক, রাজা হর্ষবর্ধন এবং সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের মুদ্রা গুলো অনন্য।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষের পরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য গুলি ভেঙে ভেঙে আলাদা আলাদা রাজত্ব তৈরি হয়। সেই স্বাধীন রাজারাই তাদের নিজস্ব মুদ্রা প্রচলন করেন।
প্রিয় দাদা, পায়ে পায়ে কলকাতার কুড়ি নম্বর পর্বটি পড়ে আমার সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বেশ পুরনো ইতিহাস আপনি চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।