পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১ উইকেটে জয় পেলো সাউথ আফ্রিকা
নমস্কার বন্ধুরা,
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুন জয় দিয়ে সাউথ আফ্রিকা ২০২৩ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের টেবিলের একদম শীর্ষে পৌঁছে গেলো। সাথে টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ২০২৩ বিশ্বকাপ যাত্রার যবনিকা পতন হলো। বিগত দিনে আফগানিস্তানের কাছে হারায় পাকিস্তানের কাছে আজকের ম্যাচ ছিলো ডু অর ডাই। ২০২৩ বিশ্বকাপের লড়াইয়ের টিকে থাকার জন্য আজকের ম্যাচে পাকিস্তানকে কোনোমতে হলেও জিততেই হতো। যদিও শেষমেষ সাউথ আফ্রিকার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো।
টসে জিতে পাকিস্তানি অধিনায়ক ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাচের শুরুটা নড়বড়ে ভাবেই করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এরপর ম্যাচের হাল ধরে পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন বাবর আজম এবং উইকেট কিপার রিজওয়ান। রিজওয়ান নেমেই মারমূখী খেলা শুরু করে অপরদিকে তখন অধিনায়ক বাবর ধরে রেখেছিল। মারতে গিয়েই উইকেট হারায় রিজওয়ান।
১০০ রান পূরণ হওয়ার আগেই রিজওয়ান চলে যাওয়ায় পাকিস্তান বেশ চাপে পড়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে ক্যাপ্টেন বাবার আজম ইফতিকার আহমেদের সাথে কিছুটা জুটি ধরার চেষ্টা করলেও ইফতিকার নিজের ভুল সটে আউট হয়। এরপর বাবর আজম ব্যক্তিগত ৫০ রান পূর্ণ করে। সেখানেই সামসির বলে পাকিস্তানি অধিনায়কের ব্যাটিং ইনিংসের সমাপ্ত হয়। তারপরে সাদ শাকিল এবং সাদাব খান পঞ্চম উইকেটে ৮৪ জুড়ে পাকিস্তানকে বেশ শক্ত জায়গায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু ৪০ তম ওভারে শেষে সাদাব খান প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে পাকিস্তানের স্কোর হয় ২২৫ রানে ৬ উইকেটে দাঁড়ায়। ফের ৪৩ তম ওভারে ২৪০ রানের মাথায় সাদ উইকেট হারিয়ে ফেলে। নওয়াজ নবম উইকেটে ব্যক্তিগত ২৪ রান করলে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস ৫০ ওভার শেষে দাঁড়ায় ২৭০ রানে।
২৭১ রানের লক্ষ্য নিয়ে সাউথ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী ব্যাট দিয়ে। শুরুতে দারুন করলেও শাহীন আফ্রিদিকে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যায় সাউথ আফ্রিকান উইকেট কিপার। এরপর সাউথ আফ্রিকান ক্যাপ্টেন নিজেও দশ ওভার শেষ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়ানে ফিরে যায়। রাসির সাথে এইডেন মাক্রাম সাউথ আফ্রিকান মিডিল অর্ডারের জুটি বাধার চেষ্টা করে কিন্তু পাকিস্তানের রিপ্লেসমেন্ট খেলোয়াড় উসামা মীরের বলে রাসি নিজের উইকেট হারিয়ে ফেলে। এইডেন মাক্রাম তারপর মারকুটে হেনরিক ক্লাসেনের সাথে জুটি বাধে। তবে সেই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। ক্লাসেন আউট হতেই সাউথ আফ্রিকা বেশ বেকায়দায় পড়ে যায়, স্কোর তখন ১৩৬ রানে ৪ উইকেট। ডেভিড মিলার তারপর এইডেন মাক্রামের সাথে জুটি বেঁধে দলকে নিয়ে এগোতে থাকে কিন্তু ২০৬ রানে ডেভিড মিলার শাহীন আফ্রিদির দারুন বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। মাঝে মাঝে বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকায় সাউথ আফ্রিকার সাথে পাকিস্তানের ম্যাচটা সবসময় বরাবর চলছিল। ওয়াসিমের বলে এইডেন মাক্রাম (৯১ রান/৯৩ বল) আউট হলে পাকিস্তানের দিকে ম্যাচ চলে আসে। সাউথ আফ্রিকার খাতায় ২৫০ রান। লাগবে মাত্র ২১ রান হাতে দশ ওভার কিন্ত ব্যাটার সাউথ আফ্রিকান লোয়ার অর্ডার।
পাকিস্তানের বোলিং সাউথ আফ্রিকার উপরে চেপে বসায় বিরতিতে সাউথ আফ্রিকা উইকেট হারাতেই থাকে। ২৬০ রানের মাথায় ৯ উইকেট হারালে মনে হয় পাকিস্তান ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামানো দুই স্পিনার মহারাজ এবং সামসি দাঁতে দাঁত চেপে শেষ অবধি লড়াই করে সাউথ আফ্রিকাকে লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। জেতার জন্য শেষ রান আসে মহারাজের ব্যাট থেকে।
দাদা গতকালকে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে টানটান উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচ হয়েছে। বিশেষ করে করে খেলা শেষের দিকে এসে তো দুই দলেরই জেতার সুযোগ ছিলো। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট টিম। গতকালকে ম্যাচটি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তানি বোলারদের খুবই অসহায় লাগছিল। আর সেদিন ক্রিকেট ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার কেশাব মহারাজ দারুন এক নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন। তবে ম্যাচটি অত্যন্ত উত্তেজনাকর একটি ক্রিকেট ম্যাচ ছিল।
প্রথমে তো ভেবেছিলাম সাউথ আফ্রিকা দল খুব সহজেই ২৭১ রানের টার্গেট চেজ করতে পারবে। কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। অনেকদিন পর পাকিস্তানের এমন বোলিং বেশ উপভোগ করেছি। সাউথ আফ্রিকার ভাগ্য অনুকূলে ছিলো এই ম্যাচে। তাইতো শেষ পর্যন্ত হারতে হারতে সাউথ আফ্রিকা জিতে গিয়েছে। এই ধরনের ম্যাচ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।