আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৫
নমস্কার বন্ধুরা,
বইমেলায় ঘুরতে ঘুরতে গুঁটি গুটি পায়ে পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের কাছে। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় সাধারণত বাংলাদেশকে পুরো একটি প্যাভিলিয়ন দেওয়া হয়, এইবারেও তার ভিন্নতা হয়নি। যা আসলে একটি বিশাল আকৃতির প্যান্ডেল। আর এইবারের বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন আমার কাছে বইমেলার সবচাইতে সুন্দর প্যান্ডেল লেগেছে। কারণ যেখানে অন্যান্য প্যাভিলিয়ন গুলো সাদা মাটা সেখানে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন দেওয়াল জুড়ে সুন্দরভাবে রঙিন আল্পনা আঁকিবুকি করা রয়েছে। আর শুধুমাত্র সেটাই যে কাউকে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ঢুকতে বাধ্য করবে। এর পেছনের কারণ ছিলো বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের এবছরের থিম, "রিকশাচিত্র"।
আসলে এবার বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন বানানো হয়েছিল ঢাকার বিখ্যাত রিকশা চিত্র নিয়ে। ২০২৩ সালে ইউনেস্কো ঢাকার রিকশা চিত্রকে একটি অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর সেই বিষয়টিকেই পুরো প্যাভিলিয়ন জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাইরে থেকেই এত সুন্দর লাগছিল যে ভিতরে ঢুকেই পড়লাম। ভেতরে ঢুকে অল্প ভীড়ের মধ্যে যে জিনিসটি প্রথমে মনে হল ২০২৩ এর ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় যে পরিমাণে প্রকাশনীর ভিড় দেখেছিলাম সেখানে এবছর হয়তো তার থেকে বেশ কিছুটা কম এসেছে।
জানিনা প্রকাশনী কম আসার মূল কারণটা কি তবে বইয়ের পরিমাণ এবারও যথেষ্ট এসেছে। অজানা সব প্রকাশনী মধ্যে এক আলাদা অনুভূতি হচ্ছিলো। ধীরে ধীরে প্যাভিলিয়নে মাঝে পৌঁছতে মূল পাঠকদের ভিড় বুঝতে পারলাম। নতুন ধরনের লেখা পাঠকেরা বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। তার মধ্যেই অনেকে গুচ্ছের বই কিনে ব্যাগ প্যাকে ভরছে। আমি যদিও আশপাশটা ঘুরে দেখতেই ব্যস্ত ছিলাম। কারণ হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া বাংলাদেশের লেখকদের নাম আমার খুব একটা জানা নেই। আর সেজন্য বুঝতে পারছিলাম না যে কোন প্রকাশনীর সামনে দাঁড়ালে পছন্দের বই খুজে পাবো।
বেশ কিছুটা সময় লোকের ভিড়ে থাকার পর টুক করে হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র প্রথম ভাগটা তুলে নিলাম। হিমুর বেশ কয়েকটা বই আকারেই আমার পড়া ছিল তবে সমগ্রটা একান্ত নিজের ব্যক্তিগত কালেকশন বানানোর জন্যই নেওয়া। তবে ভিড় থাকার জন্য বইয়ের ছবি তুলতে পারিনি। কোনোমতে বইটা কিনেই স্টলের দোকানদারের হাতে টাকা গুঁজে বেরিয়ে আসলাম। পেছন থেকে তখন দোকানদার চেল্লাছে, "বইয়ের রশিদ টা নিয়ে যান..."
বইমেলা সম্পর্কে অনেক তথ্য বহন করেছেন আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে। বেশ ভালো লেগেছে দাদা আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। পাশাপাশি অনেক কিছুই জানতে পারলাম আর ধারণা ওজন করলাম। আরো বেশি ভালো লাগলো জানতে পেরে যে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন বানানো হয়েছে ঢাকার রিক্সা চিত্র নিয়ে। আর এভাবে অনেক কিছু ধারণা পেলাম।
বাহ্! বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নটা তো আসলেই ভীষণ সুন্দর লাগছে দাদা। ভিতরে তো দেখা যাচ্ছে প্রচুর ভিড়। যাইহোক এতো ভিড়ের মাঝেও, হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র প্রথম ভাগটা কিনতে সক্ষম হয়েছেন,এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। হুমায়ুন আহমেদের হিমু সিরিজের কয়েকটি বই আমি পড়েছিলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদের হিমু সমগ্র প্রথম ভাগটা যেহেতু নিয়েছো, ওটা অবশ্যই পড়বে দাদা। আশা করি, অনেক ভালো লাগবে। আমি নিজেও পড়েছি তাই বললাম। যাইহোক, এই বছর বই মেলায় না গেলেও, বই মেলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছি তোমার পোস্ট গুলো পড়ার মাধ্যমে ।