কার্ড বিপত্তি // ১০% লাজুক 🦊-কে
নমস্কার,
কাগজপত্র হারিয়ে ফেলা আমার কাছে নতুন কোনো ঘটনা নয়। আমি মাঝে মধ্যে কাগজপত্র ঘরে রেখেই খুঁজে পাই না 😁। যেমন কদিন আগের কথা বলছি, বইয়ের ভাঁজে ভোটার কার্ড রেখে সে কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলুম। কদিন তন্নতন্ন করে শেষে যখন খুঁজে হাল ছেড়ে দিয়েছি হঠাৎ বইটা হাতে নিতেই কার্ডটা মেঝেতে আছড়ে পড়লো। আজকেও সেই ভোটার কার্ডটি নিয়েই হুলুস্থুল কান্ড। কাজে যাওয়ার পথে সত্যি সত্যিই কার্ডটি হারিয়ে ফেললাম।
যদিও আমি আগে দু দু বার ভোটার কার্ড হারিয়ে ফেলেছি। সেই সময়ে কার্ড গুলোতে আমার নাম ভুল ছিলো তাই আগের কার্ড গুলো হারিয়ে ফেলায় আমি মনে মনে খুশিই হয়েছিলাম 😁। তবে এইবার আর খুশি হতে পারলাম না, কার্ডটি নির্ভূল ছিলো।
আসলে কার্ডটি হারিয়ে যাওয়ার অনেক পরেও আমি খেয়াল করিনি যে বস্তুটি আর আমার পকেটে নেই। পুরো ঘটনা শুরু থেকেই বলি। আমার এক বিশেষ প্রয়োজনে ভোটার কার্ডটি নিয়ে ক্লায়েন্ট অফিসে গিয়েছিলুম।
সন্ধ্যায় কাজের জন্য কার্ডটি বের করতে গিয়েই বিপত্তি। পকেটে হাত দিয়ে দেখি কার্ডটি আর নেই। বুকটা হঠাৎ কেঁপে উঠলো। চেয়ার থেকে উঠে সবকটি পকেটে হাতরাতে শুরু করলাম। নাহ! কোনো পকেটেই নেই। ভাবতে শুরু করলাম কোথায় হারাতে পারে। কার্ডটি পকেটে নিয়ে বাস উঠেছিলাম তারপর বাস থেকে নেমে খানিকটা হেঁটে অফিসে পৌঁছাই। আইডির কথাটি আমার মনেই ছিল না। বাসে থাকাকালীন পকেটে হাতও দিইনি। আমি নিশ্চিত হলাম হেঁটে আসার পথেই কোথাও পড়েছে। আসলে হাঁটার সময় আমি পকেট থেকে একবার রুমাল বের করেছিলাম। সে সময়েই হয়তো!!
সেই কথা ভাবতে ভাবতে যে পথ ধরে কাজে এসেছিলাম সে পথেই খুঁজতে গেলাম। দুবার চক্কর কেটে অনেক খুজলাম তবে কার্ডের নাগাল পেলাম না, বাধ্য হয়ে ফিরে আসলাম কাজের জায়গায়। সেখানে বসে ঝটপট জিডি লিখে থানার দিকে দৌড় দিলাম।
ক্লায়েন্টদের অফিসের কাছেই বুড়োতলা থানা সেখানেই জেনারেল ডায়েরি জমা দিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম।
ফেরার পথে ভাবছিলাম ভাগ্যে খারাপ কিছু থাকলে তা হতে বাধ্য। তাছাড়া ভোটার কার্ডটি কদিন ধরেই খুবই নাচানাচি করছিলো। 😁
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনাদের অবস্থা জানি না তবে আমাদের দেশে হারানো আইডি কার্ড ফেরত পাওয়া বা নতুন করে করা বিশাল ঝামেলার কাজ। ঘুরতে ঘুরতে পায়ের জুতা ক্ষয় হয়ে যায়। এবং এইসব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে কী কেউ পথে বের হয়। একটা হার্ডকপি করবেন সেটা নিয়ে পথে বের হবেন এবং আসলটা বাড়িতে। যাইহোক আশাকরি ঝামেলা টা যেন দ্রুতই মিটে যায়।।
মোদী বাবু এসে আমাদের এইসব কাজে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আমি ঘরে বসেই Apply করে দিয়েছি, ক মাস বাদ বাড়িতেই চলে আসিবে। বাকি সময় ডিজিটাল কপি দিয়েই কাজ চলবে।
দাদা আপনার কার্ড বিপত্তির গল্প শুনে খুবই ভালো লাগছে। কিন্তু এতটাই যে চিন্তিত লাগছিল আমি তো মনে করেছিলাম আপনি আবার বাসায় এসে পেয়ে যাবে। কিন্তু তাতো আর লিখলেন না কি হলো। তবে থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন, কিন্তু মানসিক চাপটা পড়েছে আপনার ওপর সেটা কিন্তু সহ্য করার মত নয়, অন্তত অনুমান করতে পারছি। আর আপনি ঠিকই বলেছেন কাজের জিনিস সবসময় এলোমেলো থাকলে খুঁজে পাওয়া যায় না। আর অকাজের জিনিস সবসময় হাতে কাছে নাচানাচি করে। দীর্ঘদিন ধরে আপনার আইডি কার্ডটি অনেক নাচানাচি করছে এবং আপনাকেও নাচাচ্ছেন। যাইহোক আমাদেরকে আপনার মনের ভাবগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
অনেক নাচার পরে হারিয়েই গেলো। 😆
দাদা এত মূল্যবান আর কাজের জিনিস বারেবারে হারালে কি চলে। এ ব্যাপারে সাবধান হওয়া কিন্তু খুবই জরুরী। তা না হলে কতবার আর জিডি করবেন বলেন। তবে আপনার বুড়োতলা থানার ছবিটা চমৎকার লাগলো। এত সুন্দর চকচকে ঝকঝকে থানা আগে কখনো দেখিনি।
আগের গুলো হয়তো ইচ্ছে করেই হারিয়ে ফেলেছি। তাও আবার বাড়িতেই। খিক খিক।
কলকাতা পুলিশের থানাগুলো ৫ স্টার হোটেল বানিয়ে ফেলেছে কিন্ত সার্ভিস সেই ১ স্টারই রয়ে গেছে।
কোথায় আপনার পোস্ট পড়ে সান্ত্বনা দেব তা না করে আমি হাসতে হাসতে শেষ। হাহাহা দাদা আসলে আপনি পারেন ও, তবে ভোটার কার্ড ও নাচতে পারে সেটা ও আজ নতুন করে জানলাম।হাহাহাহাহা কিছুই বলার নেই
যদি নাই নাচে তাহলে কি ১৫ দিনের মধ্যে আবার হারিয়ে ফেলতাম। 🤣🤣🤣
আমার তো মোটেও তেমন মনে হয়না!আমার মনে হলো আপনিই বরং হারানোর জন্যে নাচানাচি করছিলেন।
সেটাও হতে পারে। আমার হয়তো অন্য কিছুর উদ্দেশ্য আছে। 😉😌