বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানের বড়ো জয় ভারতের
নমস্কার বন্ধুরা,
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ জয় ভারতের। যদিও প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড খুব সহজেই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে যাবে কিন্তু ভারতীয় বোলাররা কামাল দেখিয়ে দিলো। ২৩০ রানের টার্গেট নিয়ে মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে গেলো ইংল্যান্ড দল। ভারতীয় বোলাররা কেন বিশ্বসেরা তা আজকের ম্যাচে প্রমাণ হয়ে গেলো। ২৩০ রানের অত্যন্ত কম লক্ষ্য ডিফেন্ড করে ইংল্যান্ড ১০০ রানেই হারিয়ে দিলো ভারতীয় দল।
টস জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার প্রথমে বোলিং করা সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা ভারতের ওপেনাররা ভালোই করে। চতুর্থ ওভারে মাত্র ২৬ রানের মাথায় ডেভিড উইলির বলে শুভমন গিল আউট হয়ে যায়।
ঠিক তার তিন ওভার পরেই শূন্য রানে বিরাট কোহলি কে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে মাঠ ভর্তি দর্শককে চুপ করিয়ে দেয় উইলি। কোহলির উইকেটের কিছু পরেই শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট পতন হয়। ৪০ রানে মধ্যেই ভারতের তিন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ভারতীয় ফ্যানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয় ইংল্যান্ড বোলাররা। অধিনায়ক রোহিত শর্মা কে এল রাহুলের সাথে জুটি বেঁধে ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। ১৩০ রানের মাথায় মইন অলির বলে কে এল রাহুল আউট হলে অধিনায়ক রোহিত শর্মা সূর্য্য কুমার যাদবের সাথে রান বাড়াতে থাকে।
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮৭ রানের মাথায় অধিনায়ক রোহিত আউট হয়ে যায়।ভারতের স্কোর তখন ১৬৪ রানে ৫ উইকেট। ৪০ তম ওভারে জাদেজার উইকেট যেতেই ভারতের ছটি উইকেট প্যাভিলিয়নে। সূর্য্যকুমার যাদব ব্যক্তিগত ৪৯ রানের মাথায় আউট হয়। নবম উইকেটে বুমরা এবং কুলদীপ যাদব স্কোরবোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ২১ রান জুড়লে ভারতের ৫০ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ২২৯।
২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মারকুটে মেজাজে ছিলো ইংল্যান্ড ওপেনার ডেভিড মালান। পঞ্চম ওভারে বুমরার বলে মারতে গিয়েই আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ডের এই ওপেনার ব্যাটসম্যান। পরের বলে ব্যাট করতে নামা জো রুটকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেয় বুমরার গতি। কিছু পরে বেন স্টোককেও শুন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠায় মহম্মদ সামি। অপরদিকে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্ট্রর লড়াই থামে ইংল্যান্ডের ৩৯ রানের মাথায়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার মঈন আলীকে নিয়ে কিছুটা উইকেট পতন ঢাকার চেষ্টা করলেও কুলদীপ যাদবের দারুন বলে জস বাটলারের মিডল স্ট্যাম্প উড়ে যায়।
ইংল্যান্ড ১৫ ওভারে ৫২ রানে ৫ উইকেট। তারপর মঈন আলী লিয়াম লিভিংস্টনের সাথে কিছুটা জুটি বাঁধতে সমর্থ হলেও মঈন আলী ব্যক্তিগত স্কোর ১৫ রানের মাথায় কে এল রাহুলের গ্লাভসে ধরা পড়ে। ভারতীয় বোলাররা সব দিক থেকেই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরেছিল। ৯৮ রানের মাথায় পরপর দু উইকেট হারালে ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরত আসার সব আশা চলে যায়। ইংল্যান্ডের স্কোর ৩০ ওভার শেষে হয় ৯৮ রানে ৮ উইকেটে। নবম ও দশম উইকেটে ৩১ রান যোগ হলেও ২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ১২৯ রানেই।
দুই যুগ ভারত যেমন ছিল, আজও সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। কোন পরিবর্তন হয়নি ভারতের ক্রিকেট টিমের । তাই বিশ্বের যে কোন দেশের বিপক্ষে খুব সহজ জয় পেতে ভারতের ক্রিকেটারদের কষ্ট করতে হয় না। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাছে ভারতের বিজয়ের এই রিভিউটি পড়ে। তবে এবার ভারতের টিমের খেলা দেখে মনে হচেছ তারাই এবার কাপ নিবে।
দাদা প্রথমে তো আমি ভাবলাম। যে ইন্ডিয়া হেরে যাবে কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল। যে ইন্ডিয়া যে কয় রান করুক না কেন? ইন্ডিয়া জিতবে। কারণে ইন্ডিয়ার প্রতিটা প্লেয়ার আত্মবিশ্বাসী এবং মোহাম্মাদে সামি, বুমরা কুলদীপ যাদব অনেক ভালো খেলছিল। তারা শুরুতে ভেঙ্গে পড়লেও লাস্টের দিকে একটু রান টা বাড়িয়ে নিয়েছিল এবং বলিং লাইন আপ শুরুতেই অনেক ভাল ছিল। রোহিত শর্মাকে কি আর বলব। সব সময় এই ইন্ডিয়ার সুপারস্টার হিটম্যান যাকে বলা হয়। সর্বোপরি ইন্ডিয়া অনেক ভালো খেলছে। অনেক ভালো লাগছে ম্যাচটা দেখে।
সত্যি দাদা এবারের বিশ্বকাপে আমাদের প্রিয় ইন্ডিয়ার ক্রিকেট টিম দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। 229 রানের পুঁজি নিয়ে যে ১০০ রানে বিজয় অর্জন করা যায় সেটা গতকাল ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম সারা বিশ্বকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মোঃ সামির আগুন ঝরানো বোলিং সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছিল। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কুলদীপ এর ঐ ডেলিভারী টা এককথায় অসাধারণ ছিল। বাটলার বুঝে উঠার আগেই স্ট্যাম্প নেই হা হা। গতকাল ঐ রান দেখে মনে হয়েছিল ভারত আজ হারবে। কিন্তু তারপর ভারতীয় বোলিংদের কী অসাধারণ স্পেল। ইংল্যান্ড বুঝে উঠার আগেই সব শেষ। এবং ভারতের ছয়ে ছয়। ঐ রানেও ১০০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। সত্যি দারুণ।
গতকাল ভারত এবং ইংল্যান্ডের খেলা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ উপভোগ করেছিলাম। ভারত ৪০ রানে তিন উইকেট যখন হারিয়ে ফেলে মনে করেছিলাম হয়তো ভারত আজকে ইংল্যান্ড এর কাছে পরাজিত হবে। তবে রোহিত শর্মা একাই দলকে উপরের দিকে টেনে নিয়ে যাই। অবশেষে ২৩০ রানের টার্গেট দেয় ভারত। অবশেষে ইংল্যান্ড দল ব্যাটিং করতে নেমেই ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি খেলা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে তো ভারতের খেলা দেখে ভেবেছিলাম আজকে অনেক উইকেটে হেরে যাবে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ভারতের বোলিংদের দাপুটে পারফরমেন্স সত্যি সবাইকে হতবাক করে দিচ্ছে। কালকে যখন রবিবারের আড্ডাতে কথা হচ্ছিলো তখনই আমি অনুমান করে বলেছিলাম আজকে ১০০ রানে জিতবে। আসলে কথাটা যে এতটা ঠিক হয়ে যাবে ভাবতে পারি নাই। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ভারত। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখে সবাই অবাক। বিশ্বকাপ জয়ী একটি দলের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স একেবারেই আশাজনক নয়। যাইহোক রোহিত শর্মা বেশ কয়েকটি ম্যাচ ধরেই চমৎকার ব্যাটিং করে যাচ্ছে। এই ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করেছি। একমাত্র সিরাজ ছাড়া বাকি চার বোলার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে এই ম্যাচটি দেখতে। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।