কুয়াশাছন্ন সকাল
নমস্কার বন্ধুরা,
বিগত কদিন যাবত আবহাওয়াটা বেশ অদ্ভুত ধরনের। বেশ অদ্ভুত বলছি তার কারণ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত যেখানে ভালোই খানিকটা গরম ছিলো সেখানে ২৫ তারিখ পেরোতেই আবহাওয়া ধীরে ধীরে শীতল হওয়া শুরু করে। কদিন ধরে দিনের শীতলতা আর রাতের শীতলতা প্রায় এক প্রকারের হয়ে উঠেছিলো, তার পেছনের মূল কারণটা হলো সারাদিনে রোদের না ওঠা। যদিও আরেকটা কারণ আছে তা হলো, সকালের ঘন কুয়াশা। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে যায় যে কদিন রোদ আর কুয়াশার মিশেলে আবহাওয়া বেশ কয়েক ডিগ্রী নেমে যায়। আবহাওয়ার এই তারতম্যের জন্য কদিন বিশেষ নাড়াচাড়া করা যায়নি। আদপে নাড়াচাড়া করার ইচ্ছেও করেনি 😁।
সবকিছুর মাঝে মনে মনে ভাবছিলাম যে কবে এই শীতটা অল্প কাটে, আর যে ঠান্ডা সহ্য করা যায় না। মাঝে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির পারদ ভেঙ্গেও বেশ কিছুটা নীচেও নেমেছিল। যাক সেই পরিস্থিতি কাটতে শুরু করল নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। টানা ১৫-১৬ দিন ঠান্ডা থাকার পরে ধীরে ধীরে সূর্য দেব আবির্ভাব হওয়া শুরু করলেন। রোদ বেরোতেই আমি ভাবলাম অবশেষে ঠান্ডা কেটে যাবে। আদপে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডার মধ্যে স্নান করা যে কি জ্বালা সেটা কদিন যাবৎ আমি খুব টের পেয়েছি।
সূর্য দেবের উপস্থিতি দেখে মনে মনে বেজায় খুশি হলাম। আর রোদ্দুরের সুবাদে সপ্তাহ খানেক বেশ আরামেই কাটছিলো। তবে চিন্তা অল্প অল্প ছিলো যে দিনের বেলায় রোদ্দুর উঠে গরম থাকছিলো বটে কিন্তু বিকেল চারটে বাজতেই আবহাওয়া আবার সেই ঠান্ডা হয়ে যায়। ঠান্ডা মানে, কনকনে ঠান্ডা। ভাবলাম ধীরে ধীরে সব ঠিক হবে। কিন্তু হঠাৎ করে আবহাওয়া যে আবার পরিবর্তন হবে সেটা আমার কল্পনাতেও আসেনি।
হয়েছে কি! ১২ তারিখ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন। আবহাওয়ার আবার সেই বিশাল তারতম্য। সকালবেলা কুয়াশা দেখে আমার বাড়ি থেকে বেরোনোর ইচ্ছা হলো না। আবার বাড়ি থেকে না বেরোলেও নয় তাই কষ্ট হলেও বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়লাম। বছরের অন্যতম কুয়াশাতম দিন বোঝার জন্য।
বাড়ি থেকে বেরোতেই দেখি চার-পাঁচ মিটার দূরে কিছু দেখা যায় না। এ আবার কেমন কুয়াশা বাবা! মনে মনে ভাবলাম হয়তো অন্যদিকে গেলে কুয়াশাটা কম দেখা যাবে। সেই আশায় নানান দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। কিন্তু যেদিকেই যাই শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা। যেন পৃথিবীতে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
আর যেমন কুয়াশা তেমন ঠান্ডা। ক'দিন ধরে মনে বেশ আনন্দ ছিল, হয়তো এবারের মতন শীতলতম দিনগুলো পেরিয়ে গেলো। কিন্তু নাহ। শান্তি নেই। কুয়াশা আবার ফিরে এলো সাথে দোসর ঠান্ডা।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা ভাই কি করবেন স্নান তো করতে হবে না কি ৷ এটা সত্যি স্নান করতে কি যে জ্বালা না ৷ আর শীত মনে হয় আরো ১ মাসের মতো থাকবে ৷ কারন ফেব্রুয়ারি মাস হলো শীতের শেষ মাস ৷ আর কথায় বলে না ৷ যে মাঘ মাসে বাঘ কাপে ৷ যা হোক আপনি কুয়াশা ভেজা সকালের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ যা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
জ্বালা আর মজাও লাগে। স্নান না করলে এখন বেশি কষ্ট পাই।
আসলে দাদা শীতের দিন একটু শীত পড়বে স্বাভাবিক, তবে কুয়াশার জন্য একটু খারাপ লাগে। কারণ চারদিক অন্ধকারে ঘেরা থাকে তারপর রেদের দেখা মেলে না, সের জন্য আর ভালো লাগে না। আর শীতের সময় গোসল করা আসলে অনেক কষ্ঠকর। শীতলতম দিন এতো তাড়াতাড়ি পেরিয়ে কিভাবে যায় হা হা হা।ধন্যবাদ দাদা।
শীত চলে গেছিলো হুট করে ফিরে এলো যে। শীতে স্নান করা সত্যিই কষ্টকর তবে বাদ দিই না।
মাঝে কয়েক দিন কুয়াশা কম ছিল এবং ঠান্ডাও কম ছিল। কিন্তু কয়েকদিন থেকে আবারও সেই ঠান্ডা পড়েছে। সাথে অনেক কুয়াশা। সকালবেলায় কিছুই দেখা যায় না বাইরে। আর ঠান্ডা অনেক পড়েছে। আপনার যেহেতু সকালে বেরিয়ে যেতে হয় তাইতো সকালবেলায় স্নান করতে হয়। ঠান্ডার সাথে রাগ করে দু এক মাস স্নান না করলেই তো হয় দাদা 🤭🤭।
ঠান্ডার সাথে রাগ করলে পাশে যারা থাকেন তারাও পেটাবে। হাঃ হাঃ
গতকাল নিউজে দেখলাম আমাদের এদিকে আগামীকাল থেকে শৈতপ্রবাহ শুরু হতে পারে।আর কথায় বলে মর্নিং শোজ দা ডে।সকালের শুরুতেই এতো ঘন কুয়াশা দেখলে ঘর থেকে বের না হতে চাওয়াই স্বাভাবিক।
সুন্দর ছিল কুশাচ্ছন্ন সকালটা।শুভ কামনা রইলো।
ইচ্ছেটাই উবে যায়। ঘুমোতে বেশি ভালো লাগে।
আমাদের এদিকেও বেশ কিছুদিন থেকে প্রচন্ড পরিমাণের ঠান্ডা পড়েছে দাদা। কুয়াশার কারণে সকালবেলা বাইরে বের হওয়া যায় না। তবে এক দিক দিয়ে সুবিধা রয়েছে দাদা শীতের সময় প্রতিদিন গোসল করতে হয় না হা হা। ভালো থাকবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
স্নান বাদ দিই না। রাতে ঘুম আসতে চায় না।