ভাইঝির জন্মদিনে
নমস্কার বন্ধুরা,
দেখতে দেখতে আরো এক বছর কেটে গেল। মনে হচ্ছে এই কদিন আগে আমি কলকাতায় এসেছিলাম আমার ভাইজির জন্মদিনে, দেখতে দেখতে সেটারও একটা বছর পেরিয়ে গেলো। ঠিক যেন কর্পূরের মত। সময় যে এত তাড়াতাড়ি কেটে চলেছে সেটা বোঝার উপায় পর্যন্ত নেই। ভাইজিকেই দেখুন, দেখতে দেখতে তার ১১ বছর বয়স হয়ে গেল এইতো কদিন আগে তাকে কোলে নিয়ে দোল খাওয়াতাম। আজ সে তার মায়ের উচ্চতার হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রথমে আমার যাওয়ার ঠিক ছিলো না। সেটা আপনাদের কাছে অবাক করা কথা লাগতে পারে। খাবার নিমন্ত্রণ আর সেখানে আমি আবার নেই এটা আবার হয় নাকি। ভালো-মন্দ খাওয়ার হবে আমি সেখানে থাকবো না সেটা যেন আমারও ঠিক হজম হচ্ছিলো না। আসলে কাজের জন্য প্রথমে যাব না বা যেতে পারবো না ভেবেছিলাম। সন্ধ্যায় সেই চিন্তায় বদল আনতে হলো কারণ ফোন করে করে বারবার ওদিক থেকে জানান আসছিল যে খাসির মাংস রান্না হয়েছে।
খাসির মাংসের কথা শুনেই আমি শেষমেষ চলে গেলাম তবে যখন সেখানে পৌঁছেছি ততক্ষণে কেক কাটা থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠান শেষ। শুধুমাত্র সবাই বসে গল্পগাছা করছে এবং আড্ডা দিচ্ছে এটাই। আমি যেতেই আমার হাতে চলে এলো জন্মদিনের কেক এবং চিকেন পাকোড়া। কেক সাবরে গরমাগরম চিকেন পকোড়া গুলো মুখে পুরে দিলাম। তারপর সবার সাথে গল্প করতে করতে বেশ কিছুটা রাত হয়ে আসে খাওয়ার পাতে বসতে হলো।
আয়োজন একদম পারফেক্ট। স্যালাড সাথে মাছের কাটলেট তারপর ফ্রাইড রাইস সাথে ঝাল ঝাল খাসির মাংস। আমার যদিও ফ্রাইড রাইসের দিকে খুব একটা নজর না গেলেও খাসির মাংস আমি টপাটপ বেশ কয়েকটি খেয়ে নিলাম। মাংস সুন্দর ঝাল ঝাল হওয়ায় খাসি মাংসটা যেন আলাদাই স্বাদ ছিল।
শেষ পাতে আইসক্রিম এবং পাপড় চাটনি ছিল কিন্তু খাসির মাংসের স্বাদ মুখ থেকে যেন হারিয়ে যায় সেই জন্য সেগুলোকে বাদ দিয়ে দিলাম। আসলে এতটাই ভাল হয়েছিল যে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সময় খুব দ্রুত চলে যায় আসলে। আমার মেয়েটাও দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে।
আপনার ভাইঝিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। সামনের দিনগুলো সুখকর হোক এই কামনা করছি।
এতো খাবার সকাল সকাল দেখে তো খিদে পেয়ে গেছে।
প্রথমেই আপনার ভাইঝিকে জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে সময় কিভাবে অতিবাহিত হয়ে যায়, সেটা টেরই পাওয়া যায় না। শেষ পর্যন্ত খাসির মাংসের টানে ঠিকই গেলেন দাদা। আসলেই এতো মজার খাবার গুলো মিস করলে কি হয় নাকি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওনারা বুঝতে পারছিল যে আপনাকে কিভাবে কাবু করা যাবে। এজন্যই তো খাসির মাংসের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গেল। খাসির মাংস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ফ্রাইড রাইস গুলো তো দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার তো নজর ওইদিকেই আগে গেল। যাইহোক শেষমেষ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন। জম্পেশ খাওয়া দাওয়া করতে পেরেছেন বোঝা যাচ্ছে।
জীবনটাই এমন,সময় যে কত দ্রুত চলে যাচ্ছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে না।আর খাসির মাংসের কথা শুনলে তো অনেকেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে।সর্বোপরি,আপনার ভাইঝির জন্য রহিল দূর থেকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা।তার প্রতিটি দিন হাসিতে ভরে উঠুক এই কামনাই করি।আর আপনার মনের অনুভূতি গুলো এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সময় খুব দ্রুত চলে যায় মনে হয় এইতো কিছুদিন আগের ঘটনা। যাই হোক আপনার ভাইজির জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, দোয়া করি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।