বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যায় কলকাতা ফেরা
নমস্কার বন্ধুরা,
বাড়ি থেকে ফিরে আসার সবসময়ই খারাপ লাগা লেগে থাকে। খুব কম সময় হয়েছে যখন আমি বাড়ি থেকে কলকাতা ফিরেছি খুব ভালো মন নিয়ে। কার বাড়ি থেকে কাজে ফিরতে ভালো লাগে বলুন। বাড়ি বসে যেখানে মায়ের আদর সেখানে কাজে গিয়ে শুধুই দৌড়াদৌড়ি। হাঃ হাঃ। রাতে ট্রেন, যদিও টিকিটটা আমি আগেই কেটে রেখেছিলাম কারণ আসাটা হুট করে হলেও ফিরে যাওয়াটা যেহেতু কদিন আগে থেকেই স্থির ছিল সেই জন্য সময় বুঝে টিকিটটা কেটে রাখা কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সিট আমার হয়নি।
যথারীতি সোমবার সন্ধ্যা আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। রাতের ট্রেন থাকা সত্ত্বেও সন্ধ্যার আগ দিয়ে বেরোত হলো কারণ বৃষ্টি। বিকেলের কিছু সময় পর থেকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করলো, সন্ধ্যা হতে হতে সেই মেঘ ঘন কালো রূপ ধারণ করতে থাকলো যেটা দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে অপেক্ষা না করে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্তই নিলাম। আর একটু আগে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই যে সঠিক ছিলো সেটা কিছুক্ষণ বাদেই টেরও পেলাম।
বাস স্টপেজে পৌঁছতে না পৌঁছতেই বাস পেয়ে গেলাম খুব তাড়াতাড়ি। বাসে উঠে বসবার সিট পেয়েও গেলাম। বাস কিলোমিটার দুয়েক এগিয়েছে তখনই শুরু হল ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি যে মুহূর্তের মধ্যে ঝমঝমিয়ে আকার ধারণ করলো সেটা বলবার মত নয়। এতো বৃষ্টি যে মিনিট কুড়ি বাসটাকে একটি স্টপেজেই দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। বৃষ্টির তেজে বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। মিনিট কুড়ি পরে বৃষ্টির ধারা অল্প কমলে বাস চলা শুরু করলো তবে গতি অনেকটাই ধীরে।
স্টেশন আসা পর্যন্ত পুরো রাস্তা বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই বাস চললো। যেখানে ৪৫ মিনিটে স্টেশন পৌঁছাবার কথা সেখানে স্টেশন পৌঁছতে দেড় ঘন্টা সময় লেগে গেল। ভালো বিষয়ে একটাই ছিল বাস থেকে নেমে বৃষ্টি ছিলো না, যেটা আবার স্টেশনের প্লাটফর্ম পৌঁছতে পৌঁছতে বদলে গেলো। টিপ টিপ করে শুরু হয়ে ঝমঝমিয়ে, যদিও আমি ততক্ষনে ট্রেনের সিটে বসে পড়েছি। তারপর কিছুক্ষণ বসে বসে ট্রেনের জানলার বাইরে দেখতে দেখতে ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এলো। আমিও বিদায় জানালাম কিছু অদৃশ্যকে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হ্যাঁ দাদা চাকরি করলে যখন ছুটিতে বাড়ি যাওয়া হয় বাড়ি থেকে আবার কর্মস্থলে ফেরার মুহূর্তে খুবই খারাপ লাগে । এটাই স্বাভাবিক যেটা আপনার মাতৃভূমি সেই জায়গা থেকে কেউ চায় না যেতে তবুও নিজের কর্মস্থলে যেতেই হবে। বৃষ্টিময় বিকেলে বের হয়েছেন সেই মুহূর্তগুলো দেখতে ভালো লাগল।
জী দাদা ঠিক বলেছেন কার মন চাই মায়ের আচঁল থেকে বের হয়ে কাজের পিছনে দৌড়াতে। তারপরও বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। যায়হোক বৃষ্টির থাকার কারনে একটি ভাল দিক ছিল গরম লাগে নাই। যথা সময়ে স্টেশনে এসে ট্রেন পেয়েছেন। হ্যাপি জার্নি। ধন্যবাদ দাদা।
বাড়ি থেকে আসতে গেলে সত্যি মনটা খারাপ হয়ে যায়। আসলে বাড়ির সাথে আমাদের যে অদ্ভুত মায়া জড়িয়ে আছে। যাইহোক দাদা আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের এখানে তো প্রচন্ড রোদ। বাহিরে বের হওয়া ভীষণ মুশকিল। আর কোন কাজ করতে গেলে তো একেবারে অবস্থা খারাপ।
দাদা আমাদের এলাকায় তো একদম বৃষ্টি নেই আর প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তবে যত গরম আবহাওয়া হোক আর বৃষ্টি আবহাওয়া হোক বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন আবহাওয়াই যেন বাধা হতে পারে না। তবে আপনার মত আমারও যখন আবার বাড়ি থেকে নিজের কর্মস্থলে বা শহরের দিকে যেতে চাই তখন মোটেও মন টানে না। ট্রেনের জানালার পাশে বসে যেহেতু বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়াটার ছবি তুলেছিলেন সেহেতু আবহাওয়া টা বেশ উপভোগ করেছিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই।