রক্ষা কালী মায়ের মেলায় ঘোরাঘুরি (পর্ব ১)
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি।
শীত মানেই মেলা। দুর্গাপূজার পরবর্তী সময় থেকে গোটা শীত জুড়েই বঙ্গের নানা জায়গায় নানা মেলা দেখা যায়। যদিও বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে পুজোর রীতি আছে তবে পুজো কেন্দ্র করে মেলা মোটামুটি সবাজায়গাতেই একরকম আর পুজোর মধ্যে রক্ষা কালী মায়ের পুজোর আধিক্যটাই সবচাইতে বেশি। সেরম এক মেলায় গেছিলাম যেটা পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় ধরে চলা রক্ষা কালী মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে। মেলাটা হয় মূলত ৫ দিনের। শুক্রবার রক্ষা কালী মায়ের পুজো দিয়ে শুরু তারপর শনি, রবি, সোম ও মঙ্গল চার দিন মেলা। যদিও ভাঙ্গা মেলা আরও বেশ কয়েকদিন থাকে।
আমরা কজন গিয়েছিলাম সন্ধ্যার শীতকে উপেক্ষা করেই।রবিবার বিকেলে ফাঁকা থাকায় সেদিন মেলায় যাওয়া স্থির করলাম। আগে থেকে পরিকল্পনা হলো বিকেল পাঁচটার সময় বেরিয়ে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ফিরে আসা হবে কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা কোনোদিন বাস্তবায়ন হয়? আমরা পরিকল্পনা করলাম পাঁচটার কিন্তু বেরোচ্ছি-বেরোব করতে করতে সাড়ে ছটা বেজেই গেলো। আসলে আগে যাওয়ার কারণ যত তাড়াতাড়ি মেলায় যাওয়া যাবে ভীড় ততটাই কম হবে তাতে তাড়াতাড়ি ফিরে আসাও যাবে। কিন্তু বেরোতে বেরোতে সন্ধ্যে হয়েই গেলো।
মেলাটা বেশ খানিকটা দূরে। প্রথমে খানিকটা সময় বাসে যেতে হবে তারপর সেখানে থেকে আবার টোটো চড়ে বেশ খানিকটা রাস্তা। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় গাড়ি ঘোড়া বিশেষ পেলাম না তাই বাধ্য হয়ে টোটো তে যাওয়াই স্থির হলো। ঠান্ডার মধ্যে হাড় কাঁপতে কাঁপতে মেলায় যখন পৌছালাম তখন উপচে পড়া ভীড়। ভিড়ের ঠেলায় মূল মেলার প্রায় ৬০০-৭০০ মিটার আগেই আমাদের নেমে যেতে হলো। যেটার আশঙ্কা আমি আগেই করেছিলাম। কি আর করা! মানুষ জনের ভীড় কাটিয়ে হাঁটা শুরু করলাম মন্দিরের দিকে। মন্দিরে গিয়েই আগে মায়ের কাছে প্রণাম সেরে নিলাম। প্রণাম সেরে নিয়ে আমরা মেলার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম।
মেলাতে মূল চারটে ভাগ। মায়ের মন্দির কাছে ছিলো বাচ্চাদের স্টল আর বাড়ির কাজে লাগা লোহার সরঞ্জাম। আমরা আগে সেদিকে গেলাম। মেলার সেই অংশ টার গলির মুখে যতো ভীড় ছিলো ভেতরে ঠিক ততটাই ফাঁকা। যদিও খেলনার দোকানের সামনে কয়েকটা বাচ্চা ধুলোয় লুটোপুটি খাচ্ছিলো। আমরা হাসতে হাসতে সামনে এগিয়ে গেলাম।
বাচ্চাদের লুটোপুটি দেখার পর সামনে এগোতেই দেখি ইয়া বড়ো বড়ো সাইজের ট্রাঙ্ক সাজানো। বুঝলাম লোহার মেলায় ঢুকে পড়েছি। যেটা না থাকলে মেলা একদমই অসম্পূর্ণ লাগে।
সেখানে হাড়ি, কড়া থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের দা, ছোট খাটো বটি, বড়সড় রামদা, খুন্তি, বেলনা, চাকতি সব কিছুরই সম্ভার ছিল। নিজের মধ্যেই পরিপূরক হয়ে উঠেছে। মেলার ঘরের প্রসাধনের দিকটা ঘুরেই চলে গেলাম অন্য আরেক দিকে যেটা পরের পর্বে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তাহলে আজকের মত এখানেই বিদায় দিন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
জয় মা রক্ষা কালী সহস্র প্রনাম ৷
মেলা মেলা সত্যি বলতে দাদা মেলাতে ঘুড়তে যে কতটা ভালো লাগে ৷ তা বলে বোঝাতে পারবো না ৷ মায়ের মূতি তো বেশ মনে হয় ৷ যা হোক মেলার ঘোরাঘুরি আর ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ৷ মেলা মানেই তো অনেক ধরনের নানা রকমের দোকান ৷ আপনি টটো হতে হেটেঁ গিয়েছেন আর মেলায় তো অনেক লোকের সমাগম ৷ যা হোক পরের পর্বে আরও ভালো কিছু দেখবো৷
পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় ধরে চলা রক্ষা কালী মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত মেলায় গিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছো আমাদের । এরকম মেলায় ঘুরতে দাদা আমার খুব ভালো লাগে। এই শীতের সময় কয়েকটি মেলায় গিয়ে আমিও বেশ ঘুরেছি। এখনকার অধিকাংশ মেলা পাঁচ দিনের বেশি হয়ে থাকে আর ভাঙ্গা মেলাও আরো কয়েকদিন চলে। এরকম মেলাতে অনেকটা বেশি ভিড় হবে এটাই স্বাভাবিক দাদা।