পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ২৪
নমস্কার বন্ধুরা,
মুঘল শাসনের সমসাময়িক সময়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্বাধীন রাজ্য গুলোর মুদ্রা বিশেষ করে পূর্ব ভারতের তৈরি হওয়া ১৬ শতক থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত বিভিন্ন মুদ্রা ভারতীয় সংগ্রহালয়ে রয়েছে। তারমধ্যে অসমের ভিন্ন ভিন্ন রাজাদের বিভিন্ন সময়ের মুদ্রা গুলো যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কোচবিহারের রাজা উপেন্দ্র নারায়ণের মুদ্রা। বিশেষ নজর কাড়ে যে মুদ্রাটি আমার কাছে সেটি হলো ত্রিপুরার রাজা ঈশান চন্দ্র মানিক্যর। তাছাড়া আরেকটি বিশেষ মুদ্রা আমরা দেখতে পাই সেটা ছিল নেপালের রাজা ভূপতিন্দ্র মাল্লা। এই মুদ্রা গুলো ছিল মূলত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া শাসনের অধিকৃত বিভিন্ন রাজাদের স্বাধীন মুদ্রা।
মুঘল শাসনের শেষ সময় ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন ইউরোপিয়ান উপনিবেশিকরা আসা শুরু করে এবং তারা ধীরে ধীরে যে সমস্ত জায়গা তাদের শাসনের মধ্যে দখল করতে থাকে তারাও সেই জায়গা বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা চালু করে এবং তাদের মুদ্রা গুলো মূলত হয় সেই সমসাময়িক সময়ে তাদের দেশের বিভিন্ন রাজা এবং রাজার মুখ মুদ্রায় ছাপিয়ে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষের দখল করে নিলেও যে সমস্ত রাজারা ব্রিটিশদের অধীনে ছিলেন তারাও নিজেদের মুদ্রা তৈরী করেছিলেন। তার মধ্যে মহিসূরের রাজা, বরদার রাজা, কচ্ছের রাজা, মেবার রাজারা তাদের নিজস্ব মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন। তবে যে মুদ্রাটি একদমই অনন্য লেগেছে সেটি হলো ট্রাবাঙ্করের রাজাদের মুদ্রা।
১৭ শতাব্দীতে ভারতে ধীরে ধীরে যখন ইউরোপিয়ান শক্তিরা যেমন ইন্ডো-ফ্রেঞ্চ, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের মুদ্রা চালু করে। পরবর্তীতে রানী ভিক্টোরিয়া এবং রাজা এডওয়ার্ড, সপ্তম জর্জ মুখাকৃতির মুদ্রা চালু হয়।
আবারো আরেকটি পর্বে আরো অনেকগুলো মুদ্রা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসলে এসব পোস্ট অনেক শিক্ষনীয় পোস্ট। এই মুদ্রা গুলো কখনো নামও শোনা হয়নি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে একটার পর একটা দেখতে পাচ্ছি এবং সেই সাথে অনেক প্রাচীন ইতিহাস আপনি এখানে তুলে ধরেছেন এই মুদ্রা নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরনো মুদ্রা নিয়ে তৈরি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।