আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৭
নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রতি বছরই পৃথিবীর নানা লেখক ও লেখিকাদের সম্বর্ধনা দিয়ে থাকে। আর তাদের সম্মান নেওয়ার রীতিটা হলো বইমেলার দুটি সবচেয়ে বড় হল বা প্যাভিলিয়ন বিভিন্ন লেখক কিংবা লেখিকাদের নামে করা হয়ে থাকে। এবারেও তাদের এই স্বতন্ত্র রীতি ধরে রেখেছে। ৪৭ তম কলকাতা বইমেলায় প্রথম হলটিকে লেখক সমরেশ মজুমদারকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি বিগত ২০২৩ সালের মে মাসের আমাদের ছেড়ে পরলোক গমন করেছেন। তাকে সম্মান জানাতেই এ বছর কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ প্রথম হল'টিকে সমরেশ মজুমদারের নামে করেছে। সমরেশ মজুমদার বাংলা সাহিত্যের এক অত্যন্ত সুপরিচিত নাম। যদিও হলটি একজন বাঙালি সাহিত্যিকের নামে তবুও বেশিরভাগ ইংরেজি ভাষার প্রকাশনীরাই সেখানে জায়গা পেয়েছে।
ব্রিটেন প্যাভিলিয়ন থেকে বেরিয়ে অপরদিকেই ছিল হল নাম্বার এক। যা দেখা মাত্র আমি সেখানে ঢুকে পড়লাম। যদিও সেখানে মূলত ইংরেজি বইয়ের পরিসংখ্যান বেশি তবুও মানুষজনের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতন। এত পাঠক যে হলের ভিতরে আছে সেটা বাইরে থেকে বোঝার একটুও উপায় নেই।
আমি মূলত ঢুকেছিলাম হলের বাইরে লেখা প্রকাশনীদের লিস্ট থাকা দুই প্রকাশনীকে দেখে। আর হলে ঢোকবার মুখেই পেয়ে গেলাম প্রথম প্রকাশনী। গুঁটি পায়ে তাতে ঢুকে দেখি মানুষের তিল ধারনের জায়গা নেই। আসলে ফিকশন থেকে বায়োগ্রাফি কি নেই সেখানে। বইয়ের সম্ভার দেখে কয়েকটি বই কিনে নেওয়ার ইচ্ছে হলো কিন্তু দাম বাধ সাধলো। বইয়ের দাম শুরু, ৬০০ টাকা থেকে। যেটা আমার বাজেটের একটি অনেকটাই বেশি। কলেজ পাড়াতে গেলে এই বইপত্রগুলোই ৩০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাওয়া যায়। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে দারুন একখানা বইয়ের কালেকশন দেখলাম। যেটা আমাদের দাদার খুব পছন্দের, যার দাম মাত্র ৮,০০০ টাকা। হিঃ হিঃ।
দাম দেখে কিছুটা বিষম খেয়ে বেরিয়ে সোজা ঢুকলাম জয়কো পাবলিশসার্শ-এ। যেখানে মূলত এবারে কিছু ট্রেডিং সংক্রান্ত বই পত্র কেনার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেই স্টলে ঢুকে দেখি চারিদিকে শুধুই ফিকশন বইপত্রে ভর্তি। অনেক খোঁজার পরে শেষমেষ ট্রেডিং সংক্রান্ত কিছু বইপত্র পেলাম তবে আমি যে নির্দিষ্ট বইটি খুজছিলাম সেটা পেলাম না।
নিরাশ হয়ে এক নম্বর হল থেকে বেরিয়ে যাবো। বেরোনোর জন্য গেটের দিকে এগিয়ে গেছি তখনই চোখে এলো মায়া আর্টস স্পেস এর স্টল। তাদের স্টলটি বেশ অন্যধরণের। যা আমি এবছরই প্রথম দেখতে পেলাম। এবং স্বভাবতই তাদের সামনে অনেকে মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। কাছে গিয়ে বুঝলাম তাদের যা কালেকশন তা দেখে মানুষ সামনে ভীড় করতে এক প্রকার বাধ্য।
দাদা নমস্কার ,
আসলে বইমেলা মানেই তো পাঠকদের মনে আনন্দের মেলা ৷ বিশেষ করে যারা প্রতিনিয়ত বই পড়ে ৷ আমাদের বাংলাদেশ ও চলছে বইমেলা ৷ যা হোক সমরেশ মজুমদার লেখা কবিতা পরেছি ৷ তিনি যে মারা গেছে সেটা শুনি নি ৷ আজ আপনার পোষ্ট হতে পরলাম ৷ যা হোক আপনি বইমেলার ঘোরাঘুরি ফটোগ্রাফি সবকিছু মিলে ভালো ছিল ৷
তবে শুনে আমিও বিসম খেলাম একটি বইয়ের আট হাজার টাকা শুনে ৷ হিহিহিহি
সর্বোপরি বইমেলার কাটানো মুহুর্ত আলোকচিত্র ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ৷
এইতো কিছুদিন আগে ঢাকা বইমেলায় গিয়ে ঘুরে আসলাম। দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম অনেক ভিড় ছিল। দাদা আপনি কলকাতায় ৪৭ তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তার সপ্তম পর্ব যেটা ভালই উপভোগ করেছি। সমরেশ মজুমদারের জন্য প্রথম হল উৎসর্গ করা হয়েছে ভালো লাগলো। তিনি অনেক ভালো একজন লেখক।
সমরেশ মজুমদার নিঃসন্দেহে খুব ভালো একজন লেখক। ৪৭ তম কলকাতা বইমেলার প্রথম হলটিকে উনার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে, এটা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন দাদা। একটি বইয়ের দাম ৮ হাজার টাকা, ভাবতেই তো অবাক লাগছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
৪৭তম কলকাতা বইমেলা উপলক্ষে প্রথম হল টিকে লেখক সমরেশ মজুমদারের নামে উৎসর্গ করার মাধ্যমে কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলা তাদের রীতিকে অক্ষুন্ন রেখেছে। আর নিঃসন্দেহে তিনি অনেক ভালো একজন লেখক। আর বইমেলাতে প্রায় বইগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি ধরে। যেমন উপরে যে বইটি ৩০০ টাকায় পাওয়া যায় সেটি ৬০০ টাকা রাখছিল, আবার দাদার প্রিয় বইটি 8000 টাকা, আমিতো পুরাই অবাক।তবে "মায়া আর্টস স্পেস এর স্টল" এর এমন কি কালেকশন ছিল দাদা, যার কারণে মানুষ বাধ্য হয়েছিল ভিড় জমাতে?আশা করি আপনার পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবো দাদা।