পুকুরে মাছ ধরা...
নমস্কার বন্ধুরা,
নিজের পুকুরের মাছের স্বাদ সবচেয়ে আলাদা হয়। আসলে নিজেদের পুকুরে যেহেতু চাষের মাছের মতো খাবার দেওয়া হয় না সেজন্য মাছের স্বাদ তুলনামূলক ভালোই হয়। তা বাবা কদিন আগে আমাদের পরিচিত জেলেকে পুকুরের মাছের বাড়তি দেখার জন্য তাকে মাছ ধরতে বলেছিল। সেই কাকুর বৈশিষ্ট্য হলো উনি বড় মাপের কোনো জাল দিয়ে মাছ ধরেন না। ওনার একটা ছোট ডিঙি আর দুটো ফাঁদি জাল এই দিয়েই কাজ চালিয়ে হয়ে যায়। এবং তার মাছ ধরার নিয়মটাও বেশ অদ্ভুত। উনি যে পুকুর মালিক বলবে তার পুকুরে গিয়ে মাছ ধরে দেন। এবং সেখানে যদি তিন কিলো মাছ ধরা হয় তাহলে ২:১ অনুপাতে মাছ গুলো ভাগ করে নেন। এবার সে আসবে আসছি করতে করতে এক সপ্তাহ সময় লাগিয়ে দিলো। কদিন যাবৎ এদিকটায় ভালোই ঠান্ডা রয়েছে তাই ভেবেছিলাম যে উনি কিছুটা গরম পড়লেই আসবেন কিন্তু হঠাৎই যখন বাড়িতে উপস্থিত হলো তখন আর না করা হয়নি।
নিজেদের পুকুরে মাছ খেতে সবারই মন চায়। যাই হোক তাকে মাছ ধরার কথা বলতেই টুপ করে তার ডিঙি পুকুরে নামিয়ে দিল। তারপর টালমাটাল ডিঙিতে পুকুরের ঠিক মাঝে পৌঁছে কিছু কিছু করে তার ডিঙি থেকে জালগুলো পুকুরে ছড়াতে শুরু করল। তারপর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। মিনিট দশেক অপেক্ষা করার পরে জাল দু এক জায়গায় নড়াচড়া করতে শুরু করলো। জাল তুলতেই মাছ! এরকম বেশ কিছু সময় ধরে কয়েকটা মাছ উঠলো। তারপরে পুরো পুকুর স্তব্ধ।
আদবে কলকাতার দিকে আবহাওয়া যতটা গরম হয়ে গিয়েছে আমাদের দিকটায় এখনো পর্যন্ত ততটা গরম হয়নি। আর সকালবেলা হওয়ার কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলোই তার উপরে পুকুরের জল আরো বেশি ঠান্ডা। সেই কারণে মাছ জালে আসছিল না বাধ্য হয়ে সেই কাকু পুকুরের জলে দাঁড় পুকুরের বারবার আছার দিতে থাকলো। ফল পাওয়া গেলো! কিছু সময়ে জাল ফের নড়ে উঠতে থাকলো। কিছুক্ষণ মাছ ধরার চললো।
দূর থেকে বুঝতে পারলাম প্রয়োজনের মাছ মোটামুটি হয়ে গিয়েছে। তাই তাকে উঠে আসতে বললাম। ডিঙির ভেতরে তাজা মাছ নিয়ে উনিও পাড়ে আসলেন। রুই, বাটা এবং ব্রিগেড মাছ। ছয় মাসে মাছ ভালোই বড়ো হয়েছে। চারা মাছ প্রায় ৪০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে।খাবার না দিয়ে মাছের ওজন ভালোই, যেটা সত্যি একটা পজিটিভ ব্যাপার। মাছ ভাগ করতে করতে দুপুরের মেনু ঠিক করে ফেললাম। ভাত, মসুরের ডাল আর মাছ ভাজা।
দাদা এটা ঠিক যে নিজ পুকুরের মাছের মধ্যে অন্য রকম স্বাদ লাগে ৷ কারন এসব মাছের বারতি কোনো খাবার দেওয়া হয় না৷ জেলে কাকা ফাদি দিয়ে মাছ ধরে বিষয়টা বেশ সহজ পদ্ধতি ৷ তবে আমাদের এই দিকে ফান্দি বলে এই জাল কে ৷
যা হোক পুকুরে মাছ ধরার পদ্ধতি সেই সাথে পরে মুসুর ডাল আর মাছ ভাজা আহা দারুন দাদা ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
প্রথমেই বলি আলাদা কোন খাবার না দেয়ার ফলে মাছগুলো পুকুরের প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এবং নিঃসন্দেহে এগুলো খেতে সুস্বাদু হবে। আর মাছগুলো বেশ বড় হয়েছে দেখলাম।
তবে যিনি মাছ ধরেছেন তিনি তিন কেজি মাছ ধরা হলে ২:১ অনুপাতে মাছ ভাগ করে নেন মানে কি তিনি এক কেজি মাছ নিয়ে যান। তাছাড়াও তাকে কি আলাদা কোন পারিশ্রমিক দিতে হয় না? এটাই জানার ছিল দাদা 🤗
আরো একটা ব্যাপার একদিন এই সুস্বাদু মাছ খাওয়ার দাওয়াত দিতে পারেন 😂
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনাদের এলাকার পুকুর থেকে ডিঙিতে করে মাছ ধরা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকার পুকুরে ভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়। আসলে পুকুরে খাবার না দিয়েও মাছের সাইজ বেশ ভালোই হয়েছে বুঝতে পারলাম। তবে খাবার দিলে হয়তো মাছের ওজন আরো বৃদ্ধি পেত। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দাদা নিজেদের পুকুরের মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। বাজার থেকে চাষের মাছ কিনে খেলে ততোটা স্বাদ লাগে না। কারণ তারা মাছ বড় হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে থাকে। যাইহোক খাবার না দিয়েও, প্রাকৃতিকভাবে মাছগুলো বেশ ভালোই বড় হয়েছে। বেশ মজা করেই মাছ ভাজা খেয়েছেন নিশ্চয়ই। তবে এই জেলের হিসাবটা খুব ভালো লেগেছে। মাছ ধরে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা না নিয়ে, মাছ নিয়ে যায় হিসাব করে। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দাদা আপনার পুকুরে তো দেখছি ভালোই মাছ হয়েছে। আর খাবার না দিয়েও যে মাছ ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম হয়েছে সত্যিই অবাক করার বিষয়। আসলে দাদা আমরা সচরাচর বাইরে থেকেই মাছ কিনে খেয়ে থাকি। কিন্তু নিজের পুকুরের মাছ আর ক্রয় করা মাছ দুটোরই স্বাদ একদম ভিন্ন রকম হয়। জেলি ভাইয়ের মাছ ধরার পদ্ধতি টি সত্যিই তো বিভিন্ন ধরনের। মসুরের ডাল আর মাছ ভাজা দিয়ে তো দুপুরের খাওয়া জম্পেশ করেছিলেন। মাছের টেস্টগুলো মনে হয় অসাধারণ ছিল দাদা।
তোমাদের পুকুরটা তো দেখছি অনেক বড় দাদা! সত্যি কথা বলতে নিজেদের পুকুরের এরকম মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে ওই জেলের ২:১ অনুপাতে মাছ গুলো ভাগ করে নেওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে একটু বেশিই মনে হল । যাইহোক, আমাদের কবে খাওয়াবে দাদা তোমাদের এই পুকুরের তাজা মাছ, সেটা জানতে চাই।