বৃষ্টি, পথ ও আমি
নমস্কার বন্ধুরা,
মোটর ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হয়েছি বেশ কয়েক মাস হলো। খুব একটা মোটর ড্রাইভিং স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয় না কারণ মূলত ক্লাসগুলো সকালে কিংবা বিকালে থাকে। অতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না আর বিকেলে সময় পাওয়া যায় না। দুদিকের টানা টানিতে আমার ক্লাসগুলো ধীরে ধীরে পিছিয়েই চলছিল তাই শনিবার দিন যখন সুযোগ পেলাম ঠিক করে ফেললাম বিকেল বেলা গাড়ি চালাতে চলে যাব। তবে বললেই তো আর ড্রাইভিং স্কুলের শিক্ষক সাথে সাথে সময় দেন না। তাদেরকে অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে আমার জন্য সময় বের করাতেও বেশ ঝামেলা। অনেক অনুরোধ করে সময় পেলাম, সন্ধ্যা ছটা। ড্রাইভিং ক্লাস এর একদম শেষে।
শনিবার বিকেলে সময় মতো চুপটি করে সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটার সময় গাড়িতে চড়ে বসলাম, প্রায় দেড় মাস পর ক্লাস করছি। সব মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে। গাড়িতে উঠেই বুঝলাম যে ছটা থেকে আমি গাড়ি চালানো পারবো না, কারণ আমার আগেই এখনো দুজন বাকি রয়েছে তাদেরই তো ঘন্টাখানেক সময় লাগবে। তারা চালানো শেষ করলে তবেই আমার গাড়ি চালানো শুরু। কি আর করা। আমি ঠিক করলাম ঘন্টাখানেক ধরে গাড়ি চালালো দেখবো তাতে অনেক কিছু মনে পড়ে যাবে। ঠিকই তাই আমি তাদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে করতে প্রায় সবকিছু খেয়াল পড়তে শুরু করলো। আদপে অনেকদিন পরে ফের গাড়িতে ওঠার জন্য গাড়ি চালানোর পদ্ধতি গুলো মাথা থেকে উবে গেছিলো 😆।
ঘন্টাখানেক গাড়ি চালানো দেখার পর অবশেষে আমার সুযোগ এলো। আমি তো খুশিতে ড্রাইভিং সিটে বসলাম। কিছুক্ষণ গাড়ি চালিয়েছি হঠাৎ করে আশপাশে খুব মেঘ ছেয়ে এলো, প্রমাদ গুনলাম। বুঝতে পারছিলাম যে হয়তো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে, আর সে বৃষ্টির মধ্যে আমাকে গাড়ি চালাতে হবে।
যা ভাবা তাই! গাড়ির চাকা কয়েক বার ঘুরেছে মাত্র টিপটিপ করে বৃষ্টি হওয়া আরম্ভ হলো। মিনিট পনেরো গাড়ি চালিয়েছি কিনা টিপটিপ করে বৃষ্টিটা ঝমঝমিয়ে বেগে শুরু হলো। এমন বৃষ্টি যে গাড়ির কাঁচ দিয়ে সামনে পর্যন্ত কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফাঁকা রাস্তা তাই তার মধ্যেই গাড়ি চালালাম। সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির তার মাঝে কচ্ছপের গতিতে গাড়ি চলছে। হাঃ হাঃ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার গাড়ী চালানোর অনুভূতি পড়ে তো আমারও গাড়ী চালানো শিখতে মন চাইছে। কি মজা না বৃষ্টিতে গাড়ী চালানো। কি যন্ত্রণা যাও একটু ডাইভিং সিটে বসার সুযোগ পেলেন তাও তো দেখছি আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি আর বৃষ্টি। যাক তবুও তো কিছুটা সময় চালিয়ে নিলেন গাড়ী টা।
যেকোনো কিছুই অনুশীলন না করলে মাথা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে যায়।আপনার স্মৃতিশক্তি বেশ ভালো বলা যায় তাহলে,দেড় মাস পর গাড়ি চালাতে গিয়ে কিছুক্ষণ চালিয়ে সব আবার আগের মতো আয়ত্তে আনতে পেরেছিলেন যেহেতু। অনেকদিন পর গিয়েছিলেন,ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষক রাজি হয়েছিল তাই সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারলেন।বৃষ্টির মধ্যে কচ্ছপের গতিতে গাড়ি চালাতে হলো আপনাকে।বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মজার বিষয় হচ্ছে দাদা,মোটর ট্রেনিং স্কুলের নাম শুনে আমি ভেবেছিলাম আপনি মোটর চালানো শিখবেন ।কিন্তু ছবিতে মোটর খুঁজে পেলাম না, পড়ে ও দেখে বুঝলাম আপনি বৃষ্টির মাঝে কার গাড়ি চালাচ্ছেন।ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর ছিল, শুভকামনা রইলো দাদা।