রেসিপি: সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কচু শাকের ঘন্ট
নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি হলো, সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কচু শাকের ঘন্ট।
কচুর পদ দেখলেই আমি আতঙ্কে থাকি কারন কচুতে আমার ভীষণ গলা ধরে। সেজন্য যখনই বাড়িতে কচুর কোনো পদ রান্না হয় আমি সাথে একটা লেবু রেখে দিই। তা বাড়িতে কচু রান্না হচ্ছে দেখে মা-কে বললাম রান্নার সময়ে কচুতে অল্প তেঁতুল দিতে। মা বললো যে পুকুরের কচুর শাকে নাকি গলা ধরে না। আদপে আমাদের পুকুরের এক কোনায় প্রচুর কচু শাক হয়। মাঝেমধ্যে সেখানে থেকে কিছু কচু শাক তুলে এনে খাওয়াও হয়। তার মধ্যেই কিছু শাক তুলে এনে রান্না করা হচ্ছে। তার উপরে বাড়ির পুকুরের মাছের মাথা দিয়ে রান্না। এরম সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না ভেবেই লেগে পড়লাম।
- কচু
- সিলভার কার্প মাছের মাথা
- গোটা জিরে
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- কাঁচা লংকা
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- কড়াই চাপিয়ে তাতে তেল দিয়ে দেবো। তেল কিছুটা গরম হয়ে যাওয়ার পর নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখা সিলভার কার্প মাছের মাথাটা কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ২
- মাছের মাথা ভাজা হয়ে গেলে একটা বাটিতে নামিয়ে রাখবো।
ধাপ ৩
- তারপর কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে কাঁচা লংকা ও জিরে ফোড়ন দিয়েও দেবো।
ধাপ ৪
- ফোড়ন হয়ে গেলে কেটে রাখা কচু কড়াইতে দিয়ে স্বাদমতো নুন ও পরিমান মতো হলুদ দিয়ে সবকিছু নাড়াচাড়া করে একটা পাত্র দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দেবো।
ধাপ ৫
- কয়েক মিনিট পর ঢাকনা তুলে কড়াইতে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মশলা হালকা ভেজে নেবো।
ধাপ ৬
- কচু নাড়াচাড়া করতে করতে জল ছেড়ে দিলো। তারপর আঁচ কমিয়ে জল শুকিয়ে নিয়ে ভাজা মাছের মাথা দিয়ে দেবো।
ধাপ ৭
- কচুর জল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে নিতে সিলভার কার্প মাছের মাথাটা কচুর সাথে মেশাতে থাকবো।
ধাপ ৮
- মিনিট দশেক কচু নাড়াচাড়া করতেই জল পুরোপুরি শুকিয়ে আমাদের সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কচুর ঘন্ট তৈরী।
দাদা আজকে আপনি একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে কচু শাকের সাথে সিলভার কার্প মাছের রেসিপি করলে রেসিপি টি একটু বেশি মজাদার হয়। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমার কাছে কচু শাক একটু বেশি ভালো লাগে, তার সাথে যদি সিলভার কার্প মাছ হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগবে।
দাদা এটা ঠিক বলেছেন যে কচু কলায় ধরে পরে কুচকুচ করে ৷ তবে কিছু কচু গলায় ধরে না ৷ অর্থাৎ জাত আছে তবে যাই বলুন কচু শাক এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে ৷ আর আজকে সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কচু ঘন্ট দেখে ভালো লাগলো দাদা ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি রেসেপি শেয়ার করার জন্য ৷
দাদা সব কচুতে গলা ধরে না। তবে সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কখনো কচুর ঘন্ট খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করতে হবে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
পুকুরের মাছ ছিলো সেটাকেই কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে
কচুর শাক আমার খুবই ফেভারিট। অনেকদিন পর পর আমাদের বাড়িতে রান্না করে কিন্তু আমি প্রায় রান্না করতে বলি। নিজেই ভালো করে রান্না করতে জানলে করে কারো আশায় থাকতাম না। এই যে আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। এখন নিজেকে কি করে সামাল দেই। খুব সুন্দর রান্না করেছেন। বেশি লোভনীয় ছিল। ছোট থেকে এই শাক আমার খুবই প্রিয়। সুন্দর রেসিপি দেখে ভালো লাগলো ভাই।
সামাল দেবেন কেন? বাড়িতে নিয়ে এনে রান্না করে ফেলুন
দাদা রান্না করা আমার কাছে বেশ কঠিন। রানতে জানি, তবে ঝামেলা।
সিলভারকার্প মাছের মাথা দিয়ে কচু শাকের ঘন্ট দেখেই মনে হচ্ছে অনেক লবণীয় হয়েছে শাক খেলে গলা ধরে বলে আপনি আপনার মাকে বলেছেন কচুর শাকের ঘন্টোতে তেঁতুল দিতে। আপনার মা বলেছে পুকুরের কচুর সাকে নাকি গলা ধরে না। কচুর শাক খেতে আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে রুটি দিয়ে। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রুটি দিয়ে কখন খাইনি! তবে আইডিয়াটা বেশ ভালোই।
বাহ্ ভাইয়া মিল রয়েছে বাড়ির পুকুরের মাছের সাথে পুকুর পারের কচুশাক রান্না। কচুর অনেক জাত রয়েছে। তবে পুকুর পারের কচুশাক খেতে আসলেই অনেক মিষ্টি লাগে। আমিও কচুশাক মাছের মাথা দিয়ে খেতে পছন্দ করি। সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে কখনোও খাওয়া হয়নি। ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। আজ সিলভার কার্প মাছের মাথা দিয়ে আপনার কচুশাকের রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, অনেক ভালো হয়েছে।শাকের কালারটিও অনেক সবুজ লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া। এত মজার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দুটোই একই পুকুর থেকে তোলা হলেও পুকুরের দুই কোনা থেকে পাওয়া গিয়েছে। খিক খিক
কচু শাকে খেলে যাদের গলা ধরে তারা না কি ঝগড়ুটে হয় হাহাহা। এটা কিন্তুু আমার কথা না দাদা আমাদেরকে কচু শাক খাওয়ানোর জন্য আমার দিদু বলতেন। আর আমরা ঝগড়ুটে হওয়ার ভয়ে গপাগপ খেয়ে নিতাম।পুকুর পাড়ের কচুশাক দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু করে কার্প মাছের মাথা দিয়ে ঘন্ট করেছেন খুব ভালো লাগলো রেসিপি টি।আমি অবশ্য শুধু ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক ঘন্ট খেয়েছি আর নিরামিষ কচুশাক ঘন্ট খেয়েছি। আপনার পোস্ট দেখে তো অন্য মাছের মাথা দিয়েও কচু শাক খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে খুব।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কচু শাকের এই ঘন্ট আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে আরো বেশি মজাদার হয়। যদিও আমার নিজের কখনো রান্না করা হয়নি। মায়ের হাতের রান্নাই সব সময় খেয়েছি। আগে কচু খেলে গলা ধরার একটা ভয় থাকতো। কিন্তু ভালো জায়গা থেকে কচু নিলে গলা খুব একটা ধরে না। যাই হোক রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল।
আহা! ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাকের যে কি পরিমান স্বাদ হয়। ভাবলেই তো জিভে জল আসছে। 😁
দাদা কচুশাক কিন্তু আমার বেশ প্রিয় একটি সবজির মধ্যে অন্যতম। আর সেটা যদি কোন মাছ দিয়ে ঘন্ট করা হয় তাহলে তো সেটার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনার বাড়ির পুকুরের সিলভার কাপ মাছের মাথা দিয়ে বাড়ির কচুর শাক এর ঘন্ট। সবকিছুর বাড়ির। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এগুলোতে কোনরকম মেডিসিন পড়েনি। তাহলে তো এমনিতেই এগুলোর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যাবে দাদা। তৈরি করার প্রসেসগুলোই একদম অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। তা দেখে মনে হচ্ছে ঘন্টটির টেস্ট অনেক দারুন হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
একদমই তাই ভাই! কচু শাকে মাছ দিলে স্বাদ অনেক গুন বেড়ে যায়
একজাতীয় কচুশাক আছে যেগুলো খেলে গলা ধরে না। এটা আমার মা চেনে আমি চিনি না। মনে হয় এটাও ঐ জাতের। মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক খুবই সুস্বাদু লাগে এককথায় অসাধারণ একটা খাবার এটা। মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক ঘন্ট টা দারুণ তৈরি করেছেন। রেসিপি টা বেশ লোভনীয় ছিল। এবং রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ দারুণ উপস্থাপন করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য
আপনাকে।