বাগদেবীর আরাধনায়
নমস্কার বন্ধুরা,
আমার এবারের সরস্বতী পুজোটা এবার একটু অন্যরকম ভাবেই কাটলো। কলেজ শেষ হওয়ার পর প্রতিবছরর পুজোর দিনে বাড়িতে থাকি, সেখানে এবারের পুজো কাটলো সুদূর মেদিনীপুর জেলায়। সরস্বতী পুজোর ঠিক একদিন আগে হঠাৎই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে এসেছিলাম। আসলে পুজোর সময় কলকাতার বাইরে যাওয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না তবে হঠাৎ এক বন্ধুর তার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে রীতিমতো টেনে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল। সেটা যেমন একটা কারণ এবারের সরস্বতী পুজো অন্যরকম কাটার তেমনি আরেকটা কারণ হলো পুরো রাত ঘুম না আসায়। আসলে এমনিতেই সরস্বতী পুজোতে খুব সকাল সকাল উঠে পড়তে হয় সেজন্য উত্তেজনায় আগের রাতে ঘুম ঠিকঠাক হয় আর এবার যেহেতু বাড়ির বাইরে ছিলাম তাই তাই আগের রাতে ঘুমই আসেনি।
ভোরবেলায় অল্প চোখ বুজে এলো তারপর সোজা ঘন্টা চারেক পর ঘুম ভাঙলো। সকাল নয় টার দিকে ধীরে সুস্থে উঠলাম, তাছাড়া ওঠার বিশেষ তাড়াও ছিল না কারণ এইবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুজোর তিথি ছিলো। ওদিকেও পুরোহিত মশাই সকাল দশটায় আসবেন বলে সময় দিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠেই পুজোর জন্য তৈরী হয়ে গেলাম। যদিও আমার ঘুম থেকে ওঠার আগেই পুজোর জন্য সমস্ত জোগাড় হয়ে গিয়েছে।
তারপর শুরু হলো পুরুত মশাইয়ের আসার অপেক্ষা। পুরোহিত মশাইয়ের আসার সময় ছিল সকাল দশটা নাগাদ, তার অপেক্ষা করতে দশটা পেরিয়ে ধীরে ধীরে এগারোটা বাজল। তারপর এগারোটার কাঁটা গিয়ে দুপুর বারোটায় দাঁড়ালো তবুও পুরোহিতের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে ফোনাফুনি শুরু হলো কিন্তু উনি বারবারই ফোনটা কেটে দিচ্ছিলেন। চিন্তা বাড়তে থাকলো। অন্য পুরোহিত ধরে আনার ভাবনা হচ্ছিলো তাতে ভঙ্গ দিয়ে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ পুরোহিত মশাই হাজির হলেন। সাথে সাথেই চিন্তা মুক্ত হয়ে সবাই পুজোয় বসে পড়ল।
পুরোহিত বেশ সময় নিয়ে পুজো শেষ করলেন। তারপর যে কারণে সকাল থেকে উপবাস করেছিলাম সেটার সুযোগ পেলাম, পুষ্পাঞ্জলী। পুরোহিত মশাইয়ের স্পষ্ট উচ্চারণে খুব ভালোভাবে পুষ্পাঞ্জলী দিতে পারলাম। মনটা খুব ভালো হয়ে গেল।
পুজোর প্রসাদ না পেলে পুজো পূর্ণতা পায় না। আর সরস্বতী পুজো যে কারণে অসমাপ্ত থেকে যায় তা হল খিচুড়ি। যা দিয়েই এবারের মতো সরস্বতী পুজো সমাপ্ত হলো।
আসলে অনেক সময় বন্ধু বান্ধবদের মন রাখার জন্য হলেও তাদের বাসায় যেতে হয়। তবে এটা ঠিক, কারো বাসায় গেলে ঘুম আসতে চায় না সহজে। যাইহোক রাতে তেমন ঘুম না হলেও, আপনি যেহেতু সকাল ৯ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছেন,এতে করে আপনার তেমন খারাপ লাগেনি। আমার রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সারাদিন খুব খারাপ লাগে। তবে পুরোহিত মশাই এতো দেরি করে গিয়েছে, এটা জেনে বেশ অবাক হলাম। ১০ টা বাজে যাওয়ার কথা থাকলেও ১২.৩০ টা বাজে গিয়েছেন,এতো দেরি দেখে সবার চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক। যাইহোক অবশেষে সরস্বতী পূজা ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
যাক এবার তাহলে ভিন্ন ভাবে সরস্বতী পূজা করলেন ৷দাদা এটা ঠিক অন্য কারো বাড়িতে খুব একটা ঘুম ধরে না ৷আর ধরলেও সে ঘুম ভালো মানের হয় না ৷
যা হোক পুজোর জন্য সকাল সকাল স্নান করে পুজোর কার্যক্রম ৷ আর পুরোহিত মসাই এই দিনটায় প্রচুর পুজো নেয় ৷ আর যার জন্যই হয়তো বা ১০ টায়. সময় দিলেও দুপুরে আসছে ৷ যা হোক সবশেষে পুজো বেশ ভালোই করলেন ৷ সেই সাথে প্রসাদ আহা ৷
ছবিতে দেখে মন ভরে গেলো ৷ যা হোক এবারের পুজোটা অনেক সুন্দর আর আনন্দে পার করেছেন ৷ অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য ৷
তাহলে এবার পুজো বন্ধুর বাড়িতেই কাটালানে। আসলে দাদা নিজের বাড়ী যেমনই হোক না কেন বেশ আনন্দই মনে হয়। আপনি যে সুন্দর করে পুজোর বর্ণনা তুলে ধরেছেন তা পড়ে কিন্তু বুঝা যাচেছ যে বন্ধুর বাসায় ও আপনার পুজো খারাপ কাটেনি। ভালো সময় কাটান এমন করে ।