বছরের দ্বিতীয় বিবাহ অভিযান
নমস্কার বন্ধুরা,
মাঝে মধ্যে ভাবি ফুড ব্লগার হলে কেমন হতো। আসলে আমি খেতে এতটাই পছন্দ করি যেকোনো ধরনের নিমন্ত্রণ হাতছাড়া করি না। তাছাড়া নিমন্ত্রণ হাতছাড় করতে কার ভালো লাগে বলুন তো। আর যেহেতু আমি বেশ কিছুদিন পরপর ভারী খাবার খেয়ে থাকি সেজন্য খাবার গুলোর স্বাদ আরো বেশি ভালো লাগে। সেরমভাবেই যখন শীতে আরো একবার বিয়ের নিমন্ত্রণ পেলাম তখন সেটা তো হাতছাড়া করি নি। শনিবার রাতে বিয়ের নিমন্ত্রণ পিসিদের সাথে আমিও চলে গেলুম। নতুন খাবারের এডভেঞ্চারে।
নিমন্ত্রণ বাড়ি বিশেষ দূরে না হওয়ায় গাড়িতে উঠতেই চট করে সেখানে পৌঁছে গেলাম। আর কাছে পিঠে হওয়ার আরেকটা মজা হলো গিয়ে ঝটপট খেয়ে দেয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসা যায়। যাক আমি তো গেছি সেই খাবার দাবারের খোঁজে তাই গিয়ে সোজা হামলে পড়লাম স্টার্টারের দিকে। সাধারণত আমি অন্য বিয়ে বাড়িতে খুব একটা স্টার্টার খাই না তবে এখানে কেমন যেন সুগন্ধে ম ম করছিল। কাছে গিয়ে দেখি অনেক গুলো স্টার্টারের ছোট ছোট ফিস গোল্ডেন ফ্রাই আর চিকেন মালাই কাবাব। এতো ভালো স্টার্টার পেয়ে ভেবেছিলাম মূল কোর্স টাই বাদ দিয়ে দেবো কিন্তু তিন প্লেটেই ক্ষান্ত দিলাম।
শুরু হল মূল কোর্সের দিকে যাত্রা। সৌভাগ্যবশত তখন বরযাত্রীরা আসেনি তাই ঝটপট বুফের পাশ কাটিয়ে বসে পড়লাম খাবার টেবিলে। আসলে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা। খাবার আসবে আসবে করে বেশ কিছুটা সময় টেবিলেই কেটে গেল। যাক মিনিট ১৫ অপেক্ষা শেষে যখন খাবার এলো তখন তন্দুরি রুটি আর কিমা চানা দিয়ে মন শান্ত করলাম।
তারপর চলে এলো ফিস ফ্রাই আর সালাদ। একটা ফিস ফ্রাইয়ে তো আর জমে না। সেই জন্য কিছুটা পালং পনির আর দুটো ফিস ফ্রাইয়ে গিয়ে থামলাম। ফিস ফ্রাই শেষ হয়নি চলে এলো বাসমতি চালের সাদা ভাত আর দই কাতলা।
মাত্র দু পিস কাতলা খেয়ে সবে শেষ করেছি তখন দেখি হালকা ধোঁয়া ওঠা মাটন কষা এসে হাজির। বেছে বেছে কয়েকটা নাল্লির পিস নিয়ে নিলাম। হালকা হালকা শীতে স্বর্গীয় অনুভব।
শেষপাতে নিলাম ইয়া বড়ো মাপের গোলাপ জামুন এবং নলেন গুড়ের রাজভোগ। তাদের অল্প মুখে নিয়ে বুঝলাম আয়তনে শুধু বড়ো খেতে বিশেষ ভালো না। তবে সব শেষে নলেন গুড়ের যে আইসক্রিমটা বড্ড ভালো ছিলো যা দিয়ে গোলাপ জামুন এবং নলেন গুড়ের রাজভোগের বিস্বাদ পুষিয়ে গেল।
দাদা ফুড ব্লগার হলে কিন্তু খুব ভালোই হতো,প্রায় সবসময়ই মজার মজার খাবার খেতে পারতেন। যাইহোক বিয়ের দাওয়াত মিস করা মোটেই উচিত নয়। কারণ এতো লোভনীয় খাবারগুলো অভিশাপ দিতে পারে 😂। দাদা এতো স্বাদের স্টার্টার আইটেম থাকলে তো এমনিতেই পেট ভরে যাওয়ার কথা। তবে পেট ভরে গেলেও গরম গরম মাটন কষা তো মিস করা যাবে না। সব মিলিয়ে একেবারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন দাদা। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ঠিক! খাবারের অভিশাপ নেওয়া ঠিক হবে না।
ফটোগ্রাফি গুলো মাঝে মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি। 😁
দাদা এতো লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে পেট ভরে নাকি মন 😂?
ফুড ব্লগার হলে ভালোই হয় ভাইয়া।আপনার থেকে ইন্ডিয়ান নতুন নতুন খাবারের আইটেম এর রিভিউ পোস্ট পাবো আমরা।আর আপনার ও খাওয়া হবে নতুন নতুন আইটেম যেহেতু খেতে ভালোবাসেন।এই বছর দ্বিতীয় বারের মতো বিয়ের দাওয়াত খেলেন পিসিদের সাথে গিয়ে।বিয়ে বাড়ি মানেই মজার মজার সব আইটেম।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক! তবে আমাদের এখানে এতো পরিমানে ফুড ব্লগার হয়ে গেছে তাই শুধুমাত্র খাদ্যরসিক হয়েই থাকি।
বিয়ের বাড়ি খুব একটা দুরে ছিল না বলে খুবই তাড়াতাড়ি এসেছিলেন। আপনি স্টার্টার এর সুগন্ধে স্টার্টার এর নিকট পৌঁছে গেলেন। এরপর স্টার্টার খাওয়া শেষ করে খাবার টেবিলের মধ্যে গিয়েছিলেন।টিবেলে বসে কিছুক্ষণ থাকার থাকার পর খাবার চলে আসে। এরপর বাসমতি চালের সাদা ভাত আর দই কাতলা দিয়ে বেশ সুন্দর খাওয়া দাওয়া করছেন। অসাধারণ একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সে কি সুগন্ধ ভাই! কাবাব আমার কাছে সেরা লাগে তবে ছোট ছোট ফিস গোল্ডেন ফ্রাই বেস্ট লেগেছে।
লোভনীয় সব খাবার দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলে দাদা 🤤🤤। ফুড ব্লগার হয়ে যাও দাদা, এই ব্যাপারটা কিন্তু মন্দ হয় না। হি হি হি ...🤭🤭 যাইহোক, একটা ক্ষেত্রে তোমার সাথে আমার একটু অমিল রয়েছে দাদা, সেটা হল যে বিয়ে বাড়িতে গেলে আমি সবার আগে বেশি বেশি করে স্টার্টার খাই কারণ মেইন কোর্সের থেকে ওটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই বছর আমিও বেশ কয়েকটা বিয়ের নেমন্তন্ন পেয়েছিলাম। বিয়ে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা।
ভাই চলো একসাথে ফুড ব্লগার হবো। একদিন আমি খাবো তুমি ক্যামেরা ধরবে, আরেকদিন তুমি খাবে আমি ক্যামেরা ধরবো। হাঃ হাঃ।
আমি সব জায়গায় স্টার্টার মিস করলে এখানে করিনি 😁
আমি রাজি দাদা, তুমি শুধু জায়গা আর টাইমিং বলো আর সব কিছু ম্যানেজ হয়ে যাবে। হিহি🤭🤭