ঘাসখালী মেলা
নমস্কার বন্ধুরা,
মানুষের মধ্যে মেলা নিয়ে উন্মাদনা সবসময় বজায় থাকে তবে চৈত্রের শেষ এবং বৈশাখের শুরুর সময়ে মেলা একটা ভয়। আর এ বছরের চৈত্র বৈশাখটা যেন অন্য বছরের থেকে একদমই আলাদা। ৪৪ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে আর তাতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে গেছে। সকাল দশটার পর থেকেই রাস্তাঘাটে মানুষজন দেখা যায় না বললেই চলে। তবুও যখন সুযোগ পেয়েছি হরি হাজরার পুজোতে যাওয়ার এবং তার পাশাপাশি হরি হাজার মেলা দেখার সেটা ছাড়তে ইচ্ছে করেনি। দুপুরের মধ্যে পুজো হয়ে গেল তারপরে অপেক্ষা করতে থাকলাম কতক্ষণে বিকেল হয়। কারণ যা গরম ছিল তাতে বিকেলের আগে মেলায় যাওয়ার কোন উপায় ছিল না।
বিকেল তো নামলো তবুও গরমের তীব্রতা একটুও কমার নাম নেই ওদিকে মেলাতে যাওয়ার জন্য পিসির বাড়ির বাচ্চাকাচ্চা গুলো যথারীতি লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে। কি আর করা কোন মতে বেশ খানিকটা জল খেয়ে রওনা হলাম মেলার উদ্দেশ্যে। ঘাসখালী মেলাটা খুব কাছেই। কিলোমিটার তিনেক হবে কিন্তু গাড়িতে সাত জন বাচ্চাকাচ্চার সাথে বসে এবং গরমের কারণে তিন কিলোমিটারটাই যেন অনেকটা রাস্তা মনে হলো। মেলা থেকে কিছুটা দূরে গাড়িটা রেখে হেঁটেই রওনা হলাম মেলার উদ্দেশ্যে।
মেলার ঠিক মাঝে মন্দির এবং চারপাশে গোল করে মেলা বসেছে। তবে অন্যান্য মেলার মতো দোকানপাট সাজানো নয়, যেহেতু এক দিনের মেলা মাত্র সেই জন্য বেশিরভাগ দোকানগুলো শুধু একটা মাথায় ত্রিপাল টাঙানো এবং তার নিচে মালপত্র সাজিয়ে নিয়ে বসেছে।
সোজা আগে গেলাম প্রণাম করতে মন্দিরে। বাবার মন্দিরে প্রনাম সেরে মেলার সব দিকে ঘুরে বেড়ালাম। গরমের মধ্যে আইসক্রিম ছাড়া অন্য কিছু ভালো লাগবে কিনা সেটা আদৌ আমার জানা ছিল নাগ তাই সাথে যাওয়া বাচ্চাগুলোকে আইসক্রিম কিনে দিলাম। ইচ্ছে ছিল মেলায় আরো বেশ কিছুক্ষণ ঘোড়ার কিন্তু যে পরিমাণে গরম তাতে আইসক্রিম খাইয়েই বাড়ির পথে রওনা দিলাম।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মেলা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। যেখানে সবাই যেতে পছন্দ করে কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই মেলায় যেতে ইচ্ছুক হয় না। শীতের মৌসুমে যে সকল মেলা হয়ে থাকে দারুন মজা হয়। যাইহোক কি আর করার পিসির বাচ্চাদের নিয়ে তো যেতেই হবে।