পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৪
নমস্কার বন্ধুরা,
পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৩ এর পর....
রাতুল আপাতত ছাদে যাবার চিন্তা মাথা থেকে সরিয়ে ফের কাজে মন দিলো। আদপে নতুন ডেটা সেট গুলোর উপরে অনেক ক্ষন ধরে কাজ করছে, সেগুলো শেষ পর্যায়ে চলে এলেও কাঙ্খিত ফল কিছুতেই পাচ্ছে না। আর তার ইচ্ছে যে আজই ডেটা সেট গুলোর একটা হেস্তনেস্ত করবে, তবেই সে থামবে....
কাজ করতে করতে কখন যে রাত দশটা বেজে গেছে সেটা রাতুল ঠাহরই করেনি। অফিসের দারোয়ান অফিস বন্ধ করা হবে বলে হাঁক পাড়তে তার হুঁশ ফিরলো। আদপে একবার কম্পিউটার স্ক্রিনে মাথা গুঁজলে সময়ের ব্যাপারে রাতুলের একদম খেয়াল থাকে না। দারোয়ানের আওয়াজ শুনে রাতুল হাত ঘড়িটার দিকে তাকালো, সময় দেখে সে যেন রীতিমতো আঁতকে উঠলো। কাজের চক্করে সময়ের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো, আর তাতেই অনেকটা দেরী করে ফেলেছে। সময় দেখে কম্পিউটার থেকে মুখ তুলে ঝটপট সেটাকে ব্যাগে পুরে বাইকের হেলমেটটা হাতে তুলে নিজের কিউবিকল থেকে উঠে পড়লো।
অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা লিফটের দিকে যাবে ঠিক তখনই দারোয়ান তাকে বললো,
- স্যার একটু দাঁড়াবেন, আমি ও আপনি ছাড়া আর কেউই এই ফ্লোরে নেই। অফিসের লাইট গুলো অফ করলেই আমার কাজ শেষ। তারপর দুজনে নাহয় একসাথে নেমে যাবো।
রাতুল বিশেষ উচ্চবাচ্য না করে দারোয়ানকে বললো, ঠিক আছে তোমার কাজ গুলো ধীরে সুস্থে করে নাও। এই বলে অফিসের কাঁচের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো।
রাতুলের অভয় শুনে দারোয়ান হাসিমুখে অফিসের লাইট গুলো অফ করতে চলে গেলো। রাতুলের তখন খেয়াল হলো যে সে অফিসে এতক্ষন একাই বসে কাজ করছিলো। আসলে রাতুলদের অফিসের পিওনটি যতক্ষন অফিসে লোক রয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে কিন্তু আজ কোনো এক কারণে সে আটটা বাজতেই চলে গেছে। যদিও যাওয়ার সময় রাতুলকে জানিয়েই গেছে, কিন্তু কাজের চাপে সে কথাও রাতুলের মনে নেই। এমনিও রাত আট টার পরে হাতে গোনা দু একজন বাদে অফিসে বিশেষ কেউই থাকে না। কিন্তু পিওন চলে যাবার পর সে যে অফিসে এতোটা সময় একা ছিলো সে ব্যাপারে এক বারের জন্য হলেও রাতুল ভাবেনি। দারোয়ানের কথা শুনে বিষয়টা তার মনে পড়লো।
পুরো ফ্লোরে সে যে ঘন্টা দুয়েক একাই ছিলো সেটাই বুঝতে পারেনি যখন এ ব্যাপারে আর মাথা ঘামিয়েও কাজ নেই। কাজের জন্য ঘুম উড়ে গেছিলো আগেই এখন যে ভয়ডর টাও উড়ে গেলো। মনে মনে নিজের উপরেই খানিক হেসে নিয়ে দারোয়ানের অপেক্ষা করতে থাকলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |