সাক্ষাৎ যমরাজের দর্শন
নমস্কার বন্ধুরা,
জন্ম যে জিনিসের আছে তার মৃত্যু অবধারিত। সবার জীবনে মৃত্যু এক সময় আসবেই। কিছু মানুষের কাছে মৃত্যু নানান কারণে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে কিছু মানুষ আবার পূর্ণ জীবন কাটিয়ে ফেলার পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হয়তো শারীরিক অসুস্থতার কারণে কিংবা অনেকে বয়স জনিত কারণে। কারণ যাই হোক না কেন মৃত্যু আমাদের জীবনে নিশ্চিত বিষয়। আমরা চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারি না। অগাধ টাকা থাকলেও কেউ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবো না। একটা সময় পৃথিবীর সমস্ত মায়া ত্যাগ করে পরপারে সবাইকেই পাড়ি দিতে হবে। আপনাদের মনে হতেই পারে আজ হঠাৎ এমন কথা বলছি কেন। আসলে অভিজ্ঞতাটা এমনই হলো, মৃত্যু যেন সাক্ষাৎ চোখের সামনে দেখতে পেলাম।
ঘটনা আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাংআউটের সময়কার। গত রবিবার বাড়ি এসেছি, আর বাড়িতে এসেই ভাইরাল ইনফেকশনে অসুস্থ। সারাদিন তাই ঘরের মধ্যেই কাটছে। হ্যাং আউটের সময় অতিরিক্ত গরম লাগছিলো তাই বাইরে বেরিয়ে এসে হ্যাংআউট শুনছিলাম। বেশ নিশ্চিন্তেই মাহবুবুল লিমন ভাইয়ের গান শুনছি ঠিক তখনই হঠাৎ ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ যায় না বললেই চলে। তবে যদি যায় তাহলে মিনিট পাঁচেক/দশেকের মধ্যে ফিরে আসে। তাড়াতাড়ি চলে আসবে জেনে মোবাইলের ফ্লাশটাও জ্বালাইনি।
অন্ধকারেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ খুব কাছ থেকে শুকনো পাতার উপরে সরসর করে কিছু চলার আওয়াজ পেলাম। গ্রামের দিকে এরকম আওয়াজ পাওয়াই যায়। সেজন্য প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দিইনি। সৌভাগ্যক্রমে মাহবুবুল ভাইয়ের গান শেষ হওয়ার আগেই ইলেকট্রিসিটি ফিরে এলো। পাশে তাকিয়ে চক্ষু চরক গাছ। এক জাত গোখরো ফুট দুয়েক দূরে। চোখের সামনে যেন সাক্ষাৎ যমরাজকে দেখছি। রীতিমত চমকে উঠলাম। কোনোমতে লাফ দিয়ে দৌড় দিলাম বাড়ির দিকে। সোজা ঘরে ঢুকে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
ঘরে বাবা মাকে পুরো বিষয়টা জানিয়ে তাদের সাথে করে সেই জায়গায় ফিরে গেলাম। সঙ্গী অনেক গুলো টর্চ আর তিনটে লাঠি। তিনজনে ফিরে গিয়ে দেখি ততক্ষণে তিনি সেখানে আর নেই। আমার বুক তখনও ধড়ফড় করছে। গরম পড়লে মূলত রাত্রি বেলাতেই তেনারা খুব বেরোয় তবে এতো কাছ থেকে দেখবো সেটা ভাবিনি। বর্তমান সময়ে তাদের কামড় খেয়ে যদি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পাওয়া যায় তাহলে বাঁচার সম্ভবনাই বেশি তবুও ভয় তো লাগেই। আর কেই বা চায় চার পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটাতে। যাক। ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ তার কৃপায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম। সৌভাগ্যবশত বিদ্যুৎ সঠিক সময় ফিরিয়ে এসেছিলো। আপনাদের বলবো যারা মাঠে ঘাটে ঘোরেন তারা সাবধানে থাকুন, যা গরম পড়েছে এই সময়ে তারা বেশি করে বেরোবেন।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
গা শিউরে ওঠার মতো একটি ঘটনা পড়লাম দাদা আপনার পোস্ট এ।সৃষ্টি কর্তার অসীম কৃপা এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।মাত্র দুই ফুট দূরে এরকম গোখরা যদি চোখের সামনে হঠাৎ পড়ে তাহলেতো প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা হওয়ার এ কথা।যদি ঐ সময় বিদ্যুৎ না আসতো তবে হ্য়তো অন্য কিছু ঘটতে পারতো।যাইহোক অমঙ্গল কিছু ঘটেনি তাতেই স্রষ্টাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।আপনার সুস্থতা কামনা করছি দাদা।আর অবশ্যই আমাদের উচিত বর্তমান মাঠে ঘাটে সাবধানে চলা ফেরা করা।সতর্কতামূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
একদমই তাই ভাই! সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ ফিরে না আসলে কি যে হতো ভাবলেই ভয় করে।
আসলে দাদা গরমের সময় এরকম বিষাক্ত সাপগুলো রাতের বেলায় বের হয়। বিশেষ করে গোখরা সাপগুলো রাতের বেলায় সব থেকে বেশি দেখা যায়। তবে আপনার কপাল ভালো যে, সরাসরি এসে আপনাকে দংশন করেনি। যাহোক আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি রাতের বেলায় চলাচলের ক্ষেত্রে সকলকেই এরকম বিষাক্ত সাপ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। নয়তো যমরাজের সাক্ষাৎ মিলে যাবে।
সেইটাই বিদ্যু ভাই! কামড়ে দিলে কি অবস্থা হতো।
বর্তমানে হাতে টর্চ রাখা খুবই জরুরি
ভাগ্যিস ইলেক্ট্রিসিটি তাড়াতাড়ি এসেছিল,নয়তো কি যে হতো আপনার,সেটা সৃষ্টিকর্তা ই ভালো জানেন। সাপ দেখলে তো আমার এমনিতেই ভয় লাগে। আর গোখরা সাপ তো মারাত্মক ভয়ংকর। অন্ধকারে সবসময় মোবাইলের ফ্লাশ লাইট অন করা উচিত। যাইহোক সবসময় সতর্ক থাকবেন দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সাপ দেখলে আমিও ভয় পাই। বিশাল বাঁচা বেঁচেছি ভাই।
আপনার পোস্ট টি পড়ে তো আমারই ভয় লেগে গেলো।সত্যি সাক্ষাৎ যম।ভাগিস্য ইলেকট্রিসিটি সময় মতো চলে এসেছে নইলে যে কি হতো।আসলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওরা বাইরে বেরিয়ে আসে রাত্রির বেলায়।সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনি ভয়ংকর বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। হাসপাতালের বিছানায় থাকার চেয়েও সাক্ষাৎ যমের কামড় কে খেতে চাইবে।ধন্যবাদ দাদা ভয়ংকর কথা টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কামড় খেলে সোজা হাসপাতালে গিয়ে জীবন যুদ্ধ করতে হতো। যেটা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।