রেসিপি : ছোটো আলু দিয়ে দেশী মুরগির ডিমের ঝোল
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি। আপনাদের সামনে আজ আমি আরো একটি নতুন এবং মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে পড়লাম। আজকের রেসিপিটি নতুন ছোটো আলু দিয়ে দেশী মুরগির ডিমের ঝোল।
দেশী মুরগির ডিম বর্তমান সময়ে দুর্লভ বললেও কম নয়। কবে যে শেষ দেশি মুরগির ডিম খেয়েছি সেটা খেয়াল নেই। তাই যখন কয়েকটা দেশি মুরগির ডিম হাতের সামনে পেলাম অন্য কোনো ভাবনা চিন্তা না করেই নতুন আলু দিয়ে ডিমের ঝোল বানানো স্থির করলাম। তবে রান্না শুরু করেছিলাম ডিমের ঝোল বানানো দিয়ে কিন্তু শেষমেষ হয়তো ডিমের ঝোল কম আলুর ঝোল বেশি মনে হলো। আসলে দেশী মুরগির ডিম এতটাই ছোটো মাপের যে রান্না শেষে গোলগোল আলুর মাঝে ডিম খুঁজে পাওয়া দায় ছিলো। থাক সেসব কথা চলুন মূল রান্নায় যাওয়া যাক।
- দেশি মুরগির ডিম
- নতুন ছোটো আলু
- পেঁয়াজ
- রসুন
- টমেটো
- গোটা জিরে
- শুকনো লঙ্কা
- তেজপাতা
- কাঁচা লঙ্কা
- আদা
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- প্রথমে ছোটো আলু ও দেশি মুরগির ডিম গুলো সেদ্ধ করে নেবো। আলু ও ডিম সিদ্ধ হয়ে গেলে সব ছিলে রাখবো।
ধাপ ২:
- পেঁয়াজ ও টমেটো কুচি কুচি করে কেটে পেস্ট বানিয়ে ফেলবো।
ধাপ ৩:
- তারপর উনুনে কড়াই চাপিয়ে খানিকটা তেল গরম হতে দেবো। তেল গরম হলে নুন ও হলুদ মাখিয়ে সিদ্ধ ডিম গুলো এক এক করে গরম তেলে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৪
- ডিম হালকা ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে তুলে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৫
- ডিম ভাজা হয়ে যাওয়ার পর গরম তেলে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দেবো।
ধাপ ৬
- ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে টমেটো ও পেঁয়াজের পেস্ট কড়াইতে দিয়ে অল্প ভেজে স্বাদমতো নুন ও হাফ চামচ হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করবো।
ধাপ ৭
- নাড়াচাড়া করতে করতে আদা দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮:
- তারপর পরিমাণ অনুসারে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা কষাতে শুরু করে দেবো।
ধাপ ৯
- মসলা কষে গেলে সেদ্ধ করা আলু গুলো কড়াইতে দিয়ে মসলার সাথে আলু গুলো মাখিয়ে নেবো।
ধাপ ১০:
- আলু মসলার মাখিয়ে তিন কাপ জল দিয়ে ঝোল ফুটতে ছেড়ে দেবো। মিনিট পনেরো ঝোল ফুটিয়ে ভেজে রাখা ডিম গুলো কড়াইতে এক এক করে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ ১১:
- ডিম দেওয়ার পর আরো পাঁচ মিনিট ঝোল টগবগিয়ে ফুটিয়ে নিতেই আমাদের নতুন ছোটো আলু দিয়ে দেশী মুরগির ডিমের ঝোল তৈরী।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা বাপরে বাপ দেশী মুরগীর ডিম। যদিও ডিম আমার বেশ প্রিয় একটি খাবার তবুও দামের জন্য খাওয়া হয়ে উঠে না। ছোট আলু দিয়ে আপনার ডিম রান্নার রেসিপিটি কিন্তু বেশ হয়েছে। ঠিকানাটা দিন একটু যেয়ে একটু খেয়ে আসি।
ছোটো ছোটো ডিম ১০ টাকা করে নিয়ে নিলো। হাঃ হাঃ
আজকাল তো দেশি মুরগির ডিম পাওয়া যায় না দাদা। আমিও আজ অনেক কষ্ট করে দেশি মুরগির ডিম বাজার থেকে এনেছি। আলু দিয়ে দেশি মুরগির ডিমের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
ডিমের সাইজ এতোই ছোটো যে ডিম খেলাম অথচ বুঝতে পারলাম না। হাঃ হাঃ
দাদা আমাদের এখানে একটি মুরগির ডিমের দাম ১৬ টাকা। তারপরও মুরগির ডিম পাওয়া যাচ্ছেনা। আপনি তো দেখছি অনেকগুলো ডিম দিয়ে আলু রান্না করেছেন। আসলে দাদা আলু দিয়ে ডিম রান্না করলে খেতে অনেক মজা লাগে। আর আপনার রান্নাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। গরম ভাতের সাথে এভাবে ডিম দিয়ে আলু রান্না করে খেতে বেশ লাগে। খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পাওয়া যায় না তাই দামটাও অনেক বেশি। আমি ১০ টাকা দিয়ে কিনলাম। অনেকদিন পর।
ছোটো আলু দিয়ে দেশী মুরগির ডিমের ঝোল এর রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে দাদা। দেশী মুরগির ডিম তো এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। যাইহোক রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা,মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কতদিন পর যে আমি দেশি ডিম খেলাম আমার খেয়াল নেই। হাঃ হাঃ
সত্যি দাদা আজকাল দেশী মুরগির ডিম খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। অনেকদিন থেকেই খাওয়া হয়না। আলু দিয়ে ডিম রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আসলে দেশী মুরগির ডিমের সাইজ এতটাই ছোট যে আলুর সাথে রান্না করলে মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই রেসিপি দারুন মজার হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও খুঁজে পাচ্ছিলাম না দিদি। ডিমের থেকে গোল আলুর সাইজ বড়ো ছিলো। হাঃ হাঃ
বর্তমান সময়ে দেশি মুরগির ডিম পাওয়া তো দুর্লভ একটা ব্যাপার দাদা, কোথায় পেলে? দেশি মুরগির ডিম আমারও খেতে খুব ভালো লাগে কিন্তু আমাদের এখানে সেভাবে পাওয়া যায় না। তোমার শেয়ার করার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো দাদা।
বেশ কিছু মাস ধরে কয়েকজনকে বলেই চলেছি তারপর গিয়ে পেলাম। হাঃ হাঃ