চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা : পর্ব ৩

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,

চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় পর্বে পোড়ামাটির তৈরি অ্যাম্ফোরা এবং পশুর মুখাকৃতির খেলনা বিশেষ কিছু নিদর্শন আপনাদের দেখেয়েছি। যা সেই সময়ের মানুষ সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা দিয়েছে। আজ সেখানের আরো কিছু নিদর্শন দেখবো যা চন্দ্রকেতুগড় এবং গড়ের আশপাশের বিভিন্ন ছোট গ্রাম থেকে খননকার্যের মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে। প্রথমেই দেখে নেবো মিথুন মূর্তি।

PXL_20240114_133946318_copy_1209x907.jpg

যুগের পর যুগ ধরে নারী ও পুরুষ একই সূত্রে গাঁথা। মানুষের সৃষ্টির আদি সময় থেকে নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। ভারতীয় শিল্পকলাতেও সেটাই যেন বারে বারে ফুটে উঠেছে। ভারতের যেকোনো স্থাপত্য শৈলী তুলে দেখা যায় তাহলে যে জিনিসটা সব জায়গায় একই রকম পাওয়া যাবে তা হলো মিথুন মূর্তি। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে পোড়ামাটির মিঠুন মূর্তি নতুন কোনো দৃষ্টান্ত নয়, তবে বারেবারে পাওয়া মিথুন মূর্তি প্রমাণ করে যে নারী পুরুষের মধুর সম্পর্ক যুগে যুগে বর্ণিত। সেই সম্পর্কের অনেক নিদর্শন এই চন্দ্রকেতুগড়ে বিভিন্ন সময়ের খনন কার্যে পাওয়া গিয়েছে। তবে মূর্তিগুলো ঠিক কত বছর পূর্বে বানানো হয়েছে তার সঠিক ধারণা না পেলেও এটা বোঝা যায় যে মূর্তিগুলো খ্রিস্টপূর্বে তৈরী।

PXL_20240114_134806153_copy_1209x907~2.jpg

PXL_20240114_134859274_copy_967x726.jpg

PXL_20240114_134856653_copy_967x725.jpg

PXL_20240114_134952986_copy_967x725.jpg

পোড়ামাটির মিথুন মূর্তি গুলোর বিশেষ ভালোলাগার জিনিসটি হল প্রত্যেকটা মূর্তির মধ্যে এখনও স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। যা সেই সময়ের নিখুঁত কারুকাজ সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়।


পৃথিবীর যেকোনো সভ্যতাতেই আরেকটি জিনিসের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায় তা হল মানুষের মূর্তি। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম পোড়ামাটির নারী মূর্তি নিদর্শন পাওয়া যায় বর্তমানের বালুচিস্তানে। এবং পুরুষ মূর্তির নিদর্শন পাওয়া যায় হরপ্পা সভ্যতায়। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তুলনামূলক ভাবে নারী মূর্তির বা দেবী মূর্তির সবচেয়ে বেশি। যার মধ্য দিয়ে একটা জিনিস খুব পরিষ্কার যে ভারতীয় উপমহাদেশে মাতৃ আরাধনা বা দেবী আরাধনা সেই সময় থেকেই চলে আসছে।

PXL_20240114_135042589_copy_1209x907.jpg

PXL_20240114_135038961_copy_1209x907.jpg

PXL_20240114_134957609_copy_1209x907.jpg

চন্দ্রকেতুগড়ে পাওয়া নারী এবং পুরুষের বিভিন্ন মূর্তি গুলো আমাদের ধারণা দেয় যে, সেই সময়ে চন্দ্রকেতুগড় সংস্কৃতিকভাবে কতটা উন্নত ছিল।

PXL_20240114_135053592_copy_1209x907.jpg

PXL_20240114_135046461_copy_1209x907.jpg




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Sort:  
 5 months ago 

পোড়ামাটির মিথুন মূর্তি গুলোর বিশেষ ভালোলাগার জিনিসটি হল প্রত্যেকটা মূর্তির মধ্যে এখনও স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। যা সেই সময়ের নিখুঁত কারুকাজ সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়।

আসলেই দাদা আগের দিনের শিল্পীদের কাজ অনেক নিখুঁত ছিলো। এসব দেখে সত্যিই অবাক লাগে। এতো বছর মাটির নিচে থাকার পরেও মূর্তির ছাপগুলো একেবারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এতো গুলো মূর্তি দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো দাদা। সত্যি বলতে প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57979.07
ETH 3124.67
USDT 1.00
SBD 2.36