পুজো পরিক্রমা ২০২১ : দশমীর ফটোগ্রাফি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
মহালয়া থেকে পুজো পরিক্রমা শুরু করলে হয়তো কলকাতার সমস্ত পুজো দেখে শেষ করা যাবে না। তিলোত্তমা কলকাতাই অগণিত পুজো। দশমীর দিন উত্তর কলকাতার বাকি কয়েকটা পুজো দেখে তবেই ২০২১ এর পুজো পরিক্রমা শেষ করা গেলো।
ফিরিয়ে দাও তুলির টান, নলিন সরকার স্ট্রিট সার্বজনীনের এটাই ছিলো এবারের ভাবনা। ৮৯ তম বর্ষে পা দেওয়া উত্তর কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী পুজো তাদের ভাবনায় শিল্পীদের দুর্দশা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে ব্যানার-ফেস্টুন বানানোর সাথে যেসব মানুষগুলো জড়িয়ে তাঁদের। প্রিন্টিং এবং ডিজিটাইজেশনের ফলে ধীরে ধীরে আর হাতে আঁকা ব্যানার-ফেস্টুন দেখাই যায় না। মানুষগুলি যেন অগোচরেই হারিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পীর সাথে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্প। তাই নলিন সরকার স্ট্রিটের মন্ডপ জুড়েই ছিলো হাঁতে আঁকা তুলির টান। যদি এই লুপ্তপ্রায় শিল্পকে আবার গতি দেওয়া যায়, ফিরিয়ে দেওয়া যায় অতীতের গৌরব।
অতিমারির কারনে অনেক মানুষ অকালে বিদায় নিয়েছেন। আমরা প্রায় সবাই হারিয়েছি আমাদের কোনো প্রিয় জনকে। অকালে তাঁদের চলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত শূন্যতা। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বেড়ে গেছে সামাজিক দূরত্ব। প্রিয়জনের কাছে যেতেও এখন ভয়। যাদের সাথে নবীন পল্লীর বহু বছরের একসাথে পথ চলা, সেইসব মানুষগুলোর প্রতিই নবীন পল্লীর এবছরের ভাবনা তর্পণ। হাতিবাগান নবীন পল্লী এবছরে ৮৮ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। ওঁ শান্তি!
খুব কম মানুষই আছেন যারা মনের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হন, ঠিক তেমনই আমরা ভুলে যাই মন্ডপে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ ও কাপড়ের কথা। ১০৯ তম বর্ষে পা দেওয়া শিকদার বাগানের এবারের ভাবনা ছিলো অন্তর। মন্ডপটি এমন ভাবেই বানানো হয়েছিল যাতে উল্টানো মন্ডপের মতো দেখতে হয়। মন্ডপের খাঁচাটা সামনের দিক ছিলো। তেমনি মাকে অন্তর থেকে ডাকলেই পাওয়া যায় সেটাই শিল্পী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
কুমারটুলি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবারে ২৯ তম বছরে পা দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী উত্তর কলকাতায় কুমারটুলি পার্কের পুজো অনেকটাই নতুন। ২৯ তম বর্ষে কুমারটুলি পার্কের ভাবনা ছিলো প্রার্থনা। অতিমারির আগে পৃথিবী অনেকটাই কলরবে পরিপূর্ণ ছিলো, এখন যা অনেকটাই কমে গেছে। তাই মায়ের কাছের একটাই প্রার্থনা তিনি যেন সব কিছু ঠিক করে দেন। আবার কলরবে ভেসে উঠুক পৃথিবী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা এই যাবত অনেক ছবি দেখেছি পূজার তবে আপনার টা কেমন জানি বেশ অন্যরকম। খুব সুন্দর লাগছিল কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছে করছিল খুব। তবে আমি কোন একদিন হলেও আসবো পূজাতে আপনাদের ইন্ডিয়াতে।
ধন্যবাদ ভাই। অবশ্যই আসবেন, একসাথে পুজোয় ঘুরবো।
আপনার পোষ্টগুলো আমি নিয়মিত পড়ি, আপনার পোস্টে প্রতি বারই সৃজনশীল এবং নতুন মনোভাব খুঁজে পাই আজও তার ব্যতিক্রম নয়। পোস্টটি অনেক গুছিয়ে এবং শব্দগুলো অনেক সাজে লিখেছেন শুভেচ্ছা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ইমন 🤗
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।দোয়া করি এগিয়ে যান
আপনি তো বোধহয় পুরা কলকাতা ই ঘুরে ফেলেছেন। নাকি? মনে তো হয় না কোন কিছু বাদ দিয়েছেন। এত সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরেছেন! আমার নিজেরই লোভ লাগছে দেখে। খুব ভালো হয়েছে ছবিগুলো।
হ্যাঁ। পুরো কলকাতাই ঘুরে ফেলতে পেরেছি। পুজোর সময়ে কলকাতা সত্যিই আলাদা।
আসলেই, একদম ভিন্ন রকম
শারদীয়ার শুভেচ্ছা নিবেন দাদা। ভারতে বেশ সুন্দর সুন্দর পূজা হয় সব জায়গায়। একবার উচ্চ আছে ভারতে গিয়ে পূজা দেখার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো ছিল। নিজেকে কেনো যেনো ছবির মধ্যে হারিয়ে ফেললাম। অনে অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
শুভ বিজয়া ভাই। ভালো থেকো। 🤗
আপনি তো মন হয় পুরা কলকাতা ই ঘুরে ফেলেছেন। আপনার ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ। প্রায় পুরোটাই ঘুরেছি।
আপনার আপলোড করা পোস্টটি ভালোই হয়েছে।কয়েকটি দুর্গাপুজা মন্ডপ ঘুরে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সবমিলে সুন্দর হয়েছে আপনার কন্টেন্টটি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও স্বাগতম নতুন মডারেটর হিসাবে।
ধন্যবাদ দাদা। 🤗
ফিরিয়ে দাও তুলির টান
তর্পন
অন্তর
প্রার্থনা
সবগুলো থিম এবং ভাবনা অনেক ভাল লাগছিল। অনেকগুলো পূজা স্থানের বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। চমৎকার ছিল পোস্টটি।
ধন্যবাদ ভাই 🤗