আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ১১
নমস্কার বন্ধুরা,
স্বর্ণময়ী হাউস থেকে এগিয়ে যেতে চিড়িয়াখানার প্রথম হরিণের খাঁচাটি চোখে পরলো। বোর্ডে চট করে চোখ বুলিয়ে জানতে পারলাম এই প্রজাতিটির নাম মণিপুরী নাচুনে হরিণ। নামটা অদ্ভুত হলেও বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি মণিপুরের লবটাক হ্রদের কাছে পাওয়া যায়। লবটাক হ্রদের বিশেষ প্রকারের এক ভাসমান জঙ্গল এখানেই এই হরিণের প্রজাতিটির বাসা। নাচুনে হরিণ কেন বলা হয়েছে সেটা হয়তো আমাকে আলাদা করে বোঝাতে হবেনা তবে এদের নাচ দেখতে হলে আলিপুর চিড়িয়াখানায় অবশ্যই যেতে পারেন যদিও সেদিন ওরা নাচার মেজাজে ছিলো না।
হরিণ দেখতে দেখতে বারবার এক আওয়াজে মন খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছিলো। কারণ সেই ডাকটা খুব জোরে জোরে শুনতে পাওয়া যাচ্ছিলো যেটা শুনে মনে হলো হয়তো একপাল বানর ডাকছে। ডাক শুনে কিছুটা দূর এগোতে দেখি বড়সড়ো একটি বোর্ডে লেখা রয়েছে শিম্পাঞ্জি। খুব উৎসুক হয়ে পড়লাম শিম্পাঞ্জি দেখব ভেবে।
হন্তদন্ত করে শিম্পাঞ্জির খাঁচায় গিয়ে দেখি সেখানে আগে থেকে অনেক মানুষ হতাশ নয়নে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে সেদিন শিম্পাঞ্জি গুলোকে সম্ভবত কোথাও সরিয়ে রাখা হয়েছিল। তাছাড়া যে পরিমাণে গরম ছিলো শিম্পাঞ্জি গুলোকে সরিয়ে রাখাই হয়তো ঠিক হয়েছে বলে আমার মনে হল। শিম্পাঞ্জি দেখতে পেলাম না কিন্তু সেই জোরে জোরে ডাক আগের মতনই পাচ্ছিলাম। তাই আওয়াজ পিছু করে এগোতে থাকলাম। আশা হলো যে হয়তো শিম্পাঞ্জিকে এই গরম খাঁচা থেকে সরিয়ে অন্য কোন তুলনামূলক গাছ গাছালিতে ভর্তি খাঁচায় রাখা হয়েছে।
হাঁটতে হাঁটতে একদম চিড়িয়াখানার মূল গেটের দিকটাই পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি একটা খাঁচার চারপাশে অনেক মানুষজন ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম কয়েকটা ছোটখাটো বানরের মতো কিছু প্রাণী একটা এদিক থেকে ওদিক, এপাশ থেকে ওপাশ লাগিয়ে বেড়াচ্ছে। চিনতে না পেরে চট করে খাঁচার বোর্ড পড়ে নিলাম। দেখে বুঝলাম এটা বানর না হলেও এপ জাতির অংশ, নাম হল গিয়ে গিবন। অন্যান্য এপ জাতীয় প্রাণীদের মতনই হাতগুলো শরীরের থেকে যথেষ্ট বড়ো তার সাথে সাথে শরীর মাত্রাতিরিক্ত লোমশ। আর সেই বড় হাতে সাহায্যে নিয়ে চারিদিকে রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা জীবনেও কখনও শুনিনি হরিণ আর বানরের প্রজাতি হয়। আজ আপনার পোস্ট পড়ে তা জানলাম। আপনার নাচনে হরিণ এর নাচ দেখেতে কি করে এখন ওখানে যাই বলেন তো দাদা। দেড় ভালো আপনার পোস্ট পড়ে যতটুকু জেনেছি। তানাহলে তো আবার হরিণ এর সাথে সাথ নিজেই নাচা শুরু করে দিবানে। হি হি হি
নাচুনে হরিণ আমি এই প্রথম দেখলাম আসলে এই নামটা বেশ অদ্ভুত। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে অনেকগুলো প্রাণীর ছবি দেখলাম। শিম্পাঞ্জির আওয়াজ কখনো শুনিনি মনে হচ্ছে কিছুটা ভয়ানক। যাই হোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রিয় দাদা, আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমনের এগারোতম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।নাচুনে হরিণ ও বানর সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আলিগড় চিড়িয়াখানার অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি আর তার অপরূপ দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেখানে লক্ষ্য করে দেখলাম হরিণের দৃশ্য এবং হনুমানের দৃশ্য। তবে দাদা হনুমান দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় না আমাদের এখানে প্রায় এসে থাকে, তবে হরিণ ও পাশাপাশি জীবজন্তু দেখার জন্য চিড়িয়াখানার দিকে যেতে হয়।