স্ট্রিটফুড রিভিউ : মানিকতলার মোড়ে চিকেন বলস ও ফিস বলস
নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতার স্ট্রিটফুড নিয়ে আমার আলাদা করে প্রশংসা করার কিছু নেই। আসলে কলকাতার অলি গলিতে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিটফুড পাওয়া যায়। আর আমি যখন যেখানে যেতে পারি আগে সার্চ করে দেখে নিই যে আশেপাশে ভালো স্ট্রিটফুড কোনটা। যদিও ফুড ব্লগারদের সৌজন্যে কোন জায়গার ভালো খাবারের দোকানগুলো খুঁজে পেতে বিশেষ সমস্যা হয় না। তবে আজ যেখানে গিয়েছিলাম সে দোকানটা চিনেছিলাম হঠাৎ করেই। রাস্তার পাশে কাবাবের ঠেলা, এবং সেখানে পাওয়া যায় নানা ধরনের কাবাব এবং বলস।
আমি প্রায় সব জায়গায় গেলে কাবাব খেয়েই থাকি। আমার তো কাবারের সবটাই ভালো লাগে, চিকেন সাথে বিভিন্ন ধরনের ও স্বাদের মসলা। তবে আজকে আমি কাবাব খাইনি তার পরিবর্তে দু ধরনের বলস ট্রাই করেছি, চিকেন বলস এবং ফিস বলস। আর অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল সাথে হাতে সময় বিশেষ না থাকায় বাড়িতে এনে সেগুলোকে ট্রাই করেছিলাম।
দোকানটা মানিকতলা মোড় থেকে একটু এগিয়ে গিয়ে একদম রাস্তার উপরেই। সেখানে আগে বেশ কয়েকবার খেয়েছি, এদের কাবাব গুলো বেশ স্বাদের হয়। আর তাছাড়া যে জিনিসটা এরা সবচেয়ে বেশি মেন্টেন করে সেটা হল ভালো পরিচ্ছন্নতা, যেটা খুবই দরকার। প্রত্যেক কাবাবের মাংসের পিস এবং বলসের পিস খুব সুন্দর করে আলাদা আলাদা বাক্সে গুছিয়ে রাখা থাকে। যদি কোন ক্রেতা অর্ডার করে তবেই তারা বক্স থেকে বের করে সেগুলো ভাজে কিংবা আগুনে ঝলসায়। যেমন ফ্রেস তেমন স্বাদের। সব কিছু চোখের সামনে চোখের সামনেই বানিয়ে দেয় বলে পরিচ্ছন্নতা আরো ভালো করে বোঝা যায়।
অন্যদিন কাবাব খেয়ে থাকলেও আজ আমি চিকেন বলস নিয়েছিলাম সাথে ছিল ফিস বলস। যদিও বাড়ি নিয়ে এসে প্যাকেট খুলে বুঝলাম সেগুলো ততক্ষণে অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গেছে তাই ঝটপট খাবার গুলোকে আবার মাইক্রো ওয়েভে গরম করে, সাজিয়ে ফেললাম। সাথে ছিল ঝাল চাটনি এবং মিষ্টি চাটনি। তর সইতে না পেরে শুরুতে একটা ফিস বলস মুখে পুরলাম। আহা! দারুন স্বাদ। সেদ্ধ করা ভেটকি মাছের সাথে অনেক ধরনের মশলা দিয়ে বানানো। তারপর একটা চিকেন বলস মুখে ঢুকিয়ে নিলুম। সেটারও দারুন স্বাদ, কিমা করা মুরগির মাংস সাথে নানান মশলা।
দুটোর স্বাদই দারুন ছিলো। সাথে যেটা সবচাইতে ভালো লাগছিলো তা হলো খাবারের ফ্রেস ব্যাপারটা। আর সেটা যেন খাবারের স্বাদে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছিল।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি যে বেশ ভোজন রসিক সেটা দেখেই বুঝতে পারছি। বর্তমান সময়ে স্ট্রিটফুড ফুড সব জায়গায়তে কমবেশি পাওয়া যায়। তবে আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি যে, আপনার কলকাতায় অলিতে গলিতে এই স্ট্রিটফুড বিক্রি করে থাকে। কিছু সময় পছন্দের খাবার ব্যতীত অন্য খাবার খাওয়ার ও দরকার রয়েছে। আর তাই আপনি চিকেন বলস এবং ফিশ বলস খেয়েছেন। বাড়িতে এনে খেয়ে বেশ আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমিও যখন বাইরে খেতে যায় তখন ঐ স্টলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন টাই আগে দেখি। ফুড ব্লগার রা আবার এদিক থেকে বেশ উপকারী। ভালো যা আছে সেগুলো ওরা খুজে বের করে দেয় হা হা। কাবাবের পরিবর্তে আজ চিকেন বলস এবং ফিস বলস। দেখেই বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আর এই স্টলের ফ্রেশ সার্ভিস সিস্টেম টা আমার বেশ ভালো লেগেছে শুনে। বেশ লোভনীয় ছিল দাদা। আমিও আপনার মতো স্ট্রিটফুড লাভার।।
আপনার প্রিয় খাবার কাবাব।তবে এবার কাবাব না খেয়ে চিকেন বল আর ফিস বল খেয়েছেন।বাড়িতে আনতে আনতে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।তাই মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিলেন।আর খেতেও খুব সুস্বাদু ছিল বলছেন।তাহলে তো এই বল খেতে কোলকাতা যেতে হবে দেখছি হাহা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই দাদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাবারের প্রতি রুচি আনে। আসলে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন জায়গা জিনিসপত্র গুলো খেতে খুব একটা রুচি হয় না। আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আপনি সেখান থেকে চিকেন
বলস খেয়েছেন এবং এগুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা চিকেন বল আর ফিস বল গুলো দারুন লোভনীয় ছিল। সাথে চাটনি গুলো থাকায় খেতে অবশ্যই ভাল হয়েছে। আর কলকাতার স্ট্রিটফুডের কথা সারা বিশ্ব জানে। বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্থান এই তিন দেশে বেশি স্ট্রিটফুড তৈরী ও খাওয়া হয়। ধন্যবাদ।