সরস্বতী পুজো পরিক্রমা ২০২৪ : পর্ব ২
নমস্কার বন্ধুরা,
কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকলাম কাঁথি শহরের ভেতর দিকটায়। যেদিকটায় কাঁথি কলেজ এবং পশ্চিমবঙ্গের সুপরিচিত কিছু নেতাদের বসত বাড়ি রয়েছে। পথে যেতেই ক্ষুদিরাম মার্কেটে সুন্দর একটা মন্ডপ দেখে নিলাম। মূল যে কারণে কাঁথি শহরে সরস্বতী পুজোর মন্ডপ দেখতে বেরোনো। আসলে সরস্বতী পুজো যেসব পুজো কমিটি করে থাকে তারা প্রত্যেকেই খুব অল্প বাজেটের মধ্যে তাদের ভাবনা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। কাঁথি শহরে তারই ঝলক দেখলাম। যেগুলো আমার সরস্বতী পুজোর পরিক্রমা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
ক্ষুদিরাম মার্কেট হতে কাঁথি কলেজের দিকে হেঁটে এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুন একটা ছোট্ট মাঠ নজরে এলো। যেটা দেখে বেশ মজাই লাগলো কারণ সে মাঠে পাশাপাশি তিন তিনটি পুজো কমিটি তাদের মন্ডপ বানিয়েছে। তার মধ্যে প্রথম যে ক্লাবের পুজো মন্ডপ দেখলাম তাদের নাম হলো অগ্নিবীণা। খুবই সহজ ভাবে বানানো হয়েছে এই পুজো মণ্ডল। তবে এইখানকার মূল বিষয়টি যা আমার ভালো লেগেছিল তা হলো তাদের দেবী প্রতিমা। অগ্নিবীণা পুজো কমিটি দেবী প্রতিমা যেভাবে বানিয়েছেন সেটা আসলে অনেকটা বনেদিয়ানার ছাপ রয়েছে। যেটা খুব সাধারণ মণ্ডপের কে অসাধারন বানিয়ে দিয়েছে।
অগ্নিবীণা পুজো কমিটির ঠিক পাশেই ছিল অনুকৃতি ক্লাব। ২০ বৎসরে পদার্পন করা অনুকৃতির পুজো কমিটির পুজোর মূলভাব কি ছিল সেটা আমি বুঝতে পারিনি। আসলে তাদের পুজো মন্ডপ ছিলো ত্রিকোণ আকৃতির। আর মায়ের প্রতিমা শুভ্র বর্ণের। তবে দেবী প্রতিমার অলংকার ডাকের পরিবর্তে জরির কাজের উপর করা হয়েছে।
সবশেষে পৌঁছে গেলাম ইউথ ইউনাইটেড ক্লাবের পুজোতে। যারা পঞ্চম বর্ষে পদার্পন করে অন্য ধরনের মণ্ডপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেখানে তারা সাধারণ কাপড়ের মন্ডপের আকৃতি বানিয়ে তার উপরে কাঠের বিটের সুন্দর নকশা বসিয়েছে। যেটার জন্য মন্ডপটি আসলেই ভীষণ সুন্দর লাগছিলো।
পাশাপাশি তারা মন্ডপের সামনে পুলবামাতে জঙ্গি হামলায় বীরগতি প্রাপ্ত হওয়া সেনাদের সম্মান জানিয়েছে।
কাঁথি কলেজের দিকে তো দেখছি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দারুণ আয়োজন করেছে। তাছাড়া একটি মাঠে তিনটি আলাদা পূজা কমিটি পূজা মন্ডপ তৈরি করেছে। এই ব্যাপারটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
আমি দেখে অবাক হয়েছি তার সাথে দারুন আনন্দও পেয়েছি। এক জায়গায় পরপর তিনটে পুজো আর কি চাই।