রেসিপি : খয়রা মাছের ঝাল
নমস্কার বন্ধুরা,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে ভালোই আছেন। ইশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আজ বহুদিন পর ফের আপনাদের সামনে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে পড়লাম। আসলে রেসিপি করার ইচ্ছে আমার সবসময় থাকে কিন্তু বর্তমানে সেটা আর করতে উঠতে পারি না। কারণ যেকোনো রান্নার পদ তৈরি করতে যেটা লাগে তা হলো অনেকটা সময়, যেটা আমার হাতে এখন খুবই কম।
ভালবাসার জিনিস হলে সেটা তো আর পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া যায় না। সেই জন্য অনেকদিন পর ফের রান্না করলাম আর শুরুটা হল সহজ পদ দিয়েই। খয়রা মাছ মূলত যে কোন পদেই ভালো লাগে তবে রাত্তিরে খুব কষিয়ে রান্না করবো না ভেবে শুধুমাত্র কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে খুব সহজে ঝাল বানিয়ে নিলাম। বছরখানেক বাদে রান্নার শুরুটা একদম সাদামাটা ভাবে হলো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
- খয়রা মাছ
- নুন
- হলুদ
- কাঁচা লঙ্কা
- কালো জিরে
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- সর্ষে তেল
ধাপ ১
- খয়রা মাছ গুলো ধুঁয়ে নুন এবং হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দেবো।
ধাপ ২
- তারপর গ্যাস জ্বালিয়ে তাতে একটা কড়াই চাপিয়ে কিছুটা তেল গরম হতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ৩
*তেল গরম হয়ে গেলে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে অল্প আঁচে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৪
- মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো।
ধাপ ৫
- ভাজা মাছের তেলেই আরেকটু তেল দিয়ে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে নেবো।
ধাপ ৬
- ফোড়ন দেওয়া হয়ে গেলে ভাজা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলার সাথে ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৭
- মসলা ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে চার কাপ জল দিয়ে সবকিছু কষতে দেবো।
ধাপ ৮
- ঝোল অল্প ফুটিয়ে নিয়ে চারটে কাঁচা লংকা ভেঙে কড়াইতে দিয়ে দিলাম। তারপর খোল ভালোমতো ফুটিয়ে গাঢ় করে নিতেই আমাদের খয়রা মাছের ঝাল তৈরী।।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
আহ্ খয়রা মাছের ঝাল রেসিপি দেখে তো অনেক লোভনীয় লাগছে দাদা। সব সময় ঝাল যেকোন রেসিপি, আমার কাছে অনেক ফেভারিট। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট রন্ধন পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অনেক দিন পর আমাদের মাঝে রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। আগে তো প্রায়ই রেসিপি শেয়ার করতেন আমাদের সাথে। আসলেই ব্যস্ততার জন্য অনেক কিছুই করা সম্ভব হয় না এখন। যাইহোক এই মাছকে আমরা চাপিলা মাছ বলে থাকি। নদীর চাপিলা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। চাপিলা মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। চাপিলা মাছের চচ্চড়ি ও খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক চাপিলা মাছের ঝাল রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। রেসিপির কালারটা ও চমৎকার এসেছে। গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বছরখানেক পর রান্না করলেন সাদা-মাটা ভাবে তাইতো দেখতে চলে এলাম রেসিপিটি দাদা।মাছের নামটি দেখে আরো বেশী আগ্রহ হলো রেসিপিটি দেখার।খয়রা মাছ আজ নামটি প্রথম শুনলাম।আপনি মাছ ভেজে নিয়ে এরপর কালো জিরার ফোড়ন দিয়ে মাছটি রান্না করে নিলেন।রেসিপি দেখেই ভীষণ লোভনীয় মনে হচ্ছে। খেতে খুবই মজার হয়েছিল তাই না দাদা। দারুন মজার এই রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
খয়রা মাছের ঝাল রান্নার রেসিপি বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের এদিকে মাছটির নাম অন্যরকম তবে আমার মনে হচ্ছে না দাদা। দাদা আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। এই মাছটি খেতে ভীষণ মজা লাগে এবং পুষ্টিকর খাবার। ধন্যবাদ সবাইকে দাদা।
আজকেই প্রথম শুনলাম এই খয়রা মাছের কথা।আগে কখনো এই মাছ আমি দেখিনি।আর আপনার পছন্দের কাজ রান্না করা সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো।আমার কাছেও রান্না করতে খুব ভালোলাগে। তাই মাঝে মাঝেই স্পেশাল কিছু রান্না করা হয়।আপনার আজকের রান্নাটা দারুণ লেগেছে আমার।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খয়রা মাছের খুবই লোভনীয় একটি শেয়ার করেছেন। আপনার এই খয়রা মাছের ঝাল রেসিপি দেখি সামলাতে পারছে না। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার কথার সাথে আমি একমত রান্না করতে আসলেই অনেক সময় লাগে। দাদা আপনি আমাদের মাঝে খয়রা মাছের দারুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন তবে এই খয়রা মাছের নাম এই প্রথম শুনলাম। কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে খুব সহজে দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।
আপনার রেসিপিগুলো বেশ দারুন হয়।অনেক ধন্যবাদ দাদা ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন পর আপনার রেসিপি দেখে সত্যি ভালো লাগলো দাদা। সত্যি দাদা রেসিপি তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগে। আর সময় নিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে খেতেও ভালো লাগে।খয়রা মাছের ঝাল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
কম উপকরণ দিয়ে খয়রা মাছের ঝাল রেসিপি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে শীতকালে ঝাল ঝাল রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে, আপনি খুবই সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন।আর কালারটিও দারুণ এসেছে, ধন্যবাদ দাদা।
শুধুমাত্র কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তরকারির যে কালার এনেছো দাদা তাই দেখেই তো লোভ লেগে গেল!রেসিপিটিতে শেয়ার করা মাছগুলোকে যে খয়রা মাছ বলা হয়, সেটা আমি আগে জানতাম না যদিও । যাইহোক, রেসিপিটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা তোমাকে। অনেকদিন পরে তোমার কাছ থেকে একটা রেসিপি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা।