পরিচিত দাদার বৌ-ভাতে
নমস্কার বন্ধুরা,
শীতে বিয়ে যেন থামতেই চাইছে না। যদিও না থামলেই আমার জন্য ভালো, আরো কিছু নিমন্ত্রণ পাবো। নিমন্ত্রণ পেতে আসলে ভালই লাগে। কারণ বিয়ে বাড়িতে সবাই মিলে যেমন একসাথে যাওয়া হয় তেমনি জম্পেশ খাওয়া- দাওয়াটা উপরি পাওনা। আমি খেতে প্রচন্ড পছন্দ করি তার উপরে সেটা যদি বিয়ে বাড়ির হয় তাহলে তো আরো ভালো। বিয়েবাড়িতে যেহেতু হরেক রকমের খাবার দাবার এক থাকে সাথে মেলে সেজন্য বিয়ের নিমন্ত্রণ আরো পছন্দের। আজকাল অনেক ফুড ব্লগারকে দেখি মাঝে মধ্যে বিয়েতে খেতে যায়। গত তিন শীতে আমি নিজেই এত পরিমাণে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছি এখন মনে হচ্ছে যে আমিও ফুড ব্লগিং চ্যানেল খুললে মন্দ হতো না।
আসলে এক পরিচিত দাদার বৌভাতের নেমন্তন্ন ছিলো। বিয়ের নেমন্তন্ন টাও করেছিল বটে তবে সে অনেকদিন আগেই করায় মাঝে কাজ কর্মের জ্বালায় আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। বিয়েতে যাইনি বলে সেই দাদা বৌভাতের সকালে আমাকে ফোন করে দু কথা শুনিয়ে দিলো। সাথে বললো, আমাকে যেতেই হবে, না গেলে নাকি আর কথা বলবে না। অগত্যা বেশি রাত না করে তাড়াতাড়ি নেমতন্ন বাড়ি চলে গেলাম। আমি গিয়েছিলাম তার সাথে সাথে আমার পিসেমশাইকে সঙ্গী করেছিলাম। সেখানে সন্ধ্যে আটটার সময় উপস্থিত হয়ে গেলাম। কলকাতায় যেহেতু হালকা গরম পড়ে গেছে তাই গাড়ি থেকে নেমে টুক করে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। নতুন বর কনের সাথে দেখা করে তাদের জন্য আনা উপহার হাতে তুলে দিয়ে সোজা চলে গেলাম স্টার্টারের দিকে।
নেমতন্ন বাড়িতে গেলে আমি বিশেষ স্টার্টার খাই না। কারণ স্টার্টার খেলে মূল কোর্স জমিয়ে খাওয়া যায় না। কিন্তু আগের এক বিয়েবাড়িতে স্টার্টার খুব ভালো লাগায় এখানেও আমি নিয়ে নিলাম। আর আপনারাই বলুন ফিশ বলস আর চিকেন কাবাব দেখে কি লোভ সামলানো যায় 😁।
স্টার্টার খেয়ে অল্প কিছুক্ষণ পেটকে শান্তি দিলাম। দু এক জন পরিচিতদের সাথে কথা বলতে বলতে অল্প রাত এগোলে মূল খাবার দিকে চলে গেলাম। রাধা পল্লবী থেকে চান মশলা সবাইকে উপেক্ষা করে আমি সাদা ভাত, মিক্সড ভেজ ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, অল্প স্যালাড আর ফিস ব্যাটার ফ্রাই নিয়ে নিলাম।
আয়েস করে সেগুলো শেষ করে আবার একটা ফিস ব্যাটার ফ্রাই সাথে অল্প ভাত আর মাটন নিয়ে নিলাম। আসলে ফিস ব্যাটার ফ্রাই এতটা ভাল ছিল যে না নিয়ে থাকতে পারিনি। তারপর দশ পিস মাটন সহযোগে এবং আরো একটা ফিস ব্যাটার ফ্রাই দিয়ে ভাতের পর্ব শেষ করে ফেললাম।
ভাত পর্ব শেষ করে চলে গেলাম মিষ্টান্নের দিকে। নলেন গুঁড়ের রসগোল্লা আর নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম দুটোই রয়েছে।
আসলেই দাদা ফুড ব্লগিং চ্যানেল খুললে খুব ভালো হতো। সামনের শীতে কিন্তু খুলতে পারেন দাদা। যাইহোক বিয়েতে না গিয়ে তো পুরো লস হয়ে গিয়েছিল দাদা। বিয়ের দাওয়াত আপনি কিভাবে ভুলে গেলেন, সেটাই ভাবছি দাদা। যাইহোক বৌ-ভাতে গিয়ে কিন্তু জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে, বিয়েতে না যাওয়ার লস পুষিয়ে ফেলেছেন দাদা। স্টার্টার আইটেম বেশি খেয়ে পেট ভরার কোনো মানেই হয় না দাদা। তবে ফিশ বল এবং চিকেন কাবাব দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। দাদা মাটন মাত্র দশ পিস খেলেন, আরও দশ পিস খাওয়া দরকার ছিলো দাদা 😂। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কদিন দৌড়াদৌড়ির মাঝে কখন যে মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে ভাগ্যিস ফোন করেছিলো। তার পর আর কি 😛
এটা ভালো বলেছো দাদা, ফুড ব্লগিং চ্যানেল কিন্তু একটা ওপেন করে নিতেই পারো। 🤭🤭
যাইহোক, দাদা তোমার সাথে আমার একটা জায়গায় অমিল রয়েছে সেটা হলো, তুমি স্টার্টার খেতে পছন্দ করো না আর আমি ওটাই সবথেকে বেশি পছন্দ করি। মেইন কোর্স খুব বেশি একটা খাওয়া হয় না আমার। নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে দশ পিস মাটন যেহেতু খেয়ে নিয়েছে , তার মানে তুমি যথেষ্ট খাবার খেতে ভালোবাসো এটা বোঝা যাচ্ছে দাদা। এই বছরের প্রথম দিকে আমিও কিছু বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম, তবে এখন আর পাচ্ছি না কারোর নিমন্ত্রণ।
বিগত তিনটে শীত যে পরিমাণ বিয়ে বাড়িতে গিয়েছি ফুড ব্লগিং চ্যানেল খুললে মন্দ হতো না।
এখন তো সব ব্লগার রা বিয়ে বাড়িতে ছুটছে দেখছি।
বিয়ে বাড়িতে ফুড ব্লগার বেশি দাদা। বিয়ে বাড়িতে গেলে তারা ফ্রিতে খেতেও পারে আর কনটেন্টও তৈরি করতে পারে। অন্য দিকে রেস্টুরেন্টে বা অন্য কোথাও গেলে টাকা খরচ করে খেতে হয় কনটেন্ট এর জন্য, এইসব বিবেচনায় তারা বিয়ে বাড়িতে বেশি ছুটছে এখন। 🤭🤭