রেসিপি : গোটা জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দেশী কই মাছের পাতলা ঝোল
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি গোটা জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দেশী কই মাছের পাতলা ঝোল।
পাতলা ঝোল আমার সব সময়ই ভালো লাগে। এটি একমাত্র পদ যার স্বাদও ভালো আবার শরীরের জন্য বেশ ভালো। আর যেটা আমি সারাবছরে যে কোনো সময়ে খেতে পারি। যদিও যখন কই মাছ পেয়ে ইচ্ছে করছিলো তেল কই বানাই পরে মনে মনে চিন্তা করলাম পরে একদিন নাহয় তেল কই হবে আজ কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পাতলা ঝোল বানিয়ে ফেলি।
- কই মাছ
- আলু
- গোটা জিরে
- কাঁচা লঙ্কা
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- নুন
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে খানিকটা তেল গরম হতে দেবো।
ধাপ ২
- তেল গরম হলে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখা কই মাছ গুলোকে কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৩
- কই মাছ গুলো ভালোমতো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে রাখলাম।
ধাপ ৪
- কই মাছ ভাজার পর গোটা জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আলু গুলো দিয়ে দেবো।
ধাপ ৫
- ফোড়ন হয়ে যাওয়ার পরে স্বাদমতো নুন, অর্ধ চামচ হলুদ ও জিরে গুড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
ধাপ ৬
- আলু ভালো মতো মশলার সাথে কষে গেলে দুই কাপ জল কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৭
- মিনিট দশেক পর ঝোল ফুটে গেলে ভেজে রাখা কই মাছ গুলো এক এক করে ঝোলে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- মাছ দেওয়ার পরে আরো দশ মিনিট ঝোল টগবগিয়ে নিতেই আমাদের গোটা জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দেশী কই মাছের পাতলা ঝোল তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| Join HEROISM ||
গোটা জিরা ও কাচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে কৈ মাছের পাতলা ঝোল এর আগে কখনও খাওয়া হয়নি নি। কৈ মাছ আমার ও খুব পছন্দের।রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে।আপনার থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম দাদা। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাতলা ঝোল। যাদের শরীর খারাপ থাকে তাদের জন্য খুবই ভালো।
This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)
@tipu curate
দাদা আপনি যে ভালো ভালো রান্না জানেন তা কি বৌদি জানে😉।বৌদি যদি জানে তাহলে সারা বছর আপনাকে দিয়ে বৌদি রান্না করাবে।যাই হোক কই মাছের ঝোল গোটা জিরে আর লক্কা দিয়ে বেশ ভালো মজার কই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
সে জানে। সেও ভালোই রান্না করে। হাঃ হাঃ।
এটা একদম সত্যি কথা কৈ মাছ যে কোন সময় যেকোন রকম ভাবেই ভালো লাগে, তবু আমি কৈ মাছ তেলে ভাজাটাই বেশি পছন্দ করে থাকি তেলে ভাজাটা অন্যরকম মজা লাগে।
ঠিক ঠিক। তেল কৈ দারুন খেতে লাগে।
দাদা আপনি নিজের হাতে খুবই সুন্দর সুন্দর রান্না করেন এটা আমি প্রায়ই দেখে থাকি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।আপনি খুব সুন্দর ভাবে কই মাছের ঝোল গোটা জিরে আর লঙ্কা দিয়ে বেশ সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।কই মাছ আমারও অনেক প্রিয় একটি মাছ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করি। তবে ফাঁকা সময় না পেলে রান্না করতে পারি না।
কই মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। কৈ মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কই মাছের পাতলা ঝোল করলেও খেতে ভালো লাগে। আর হালকা আলু দিয়ে ঝোল করলেও খেতে আরো বেশি মজার হয়। গোটা জিরে ও কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে কৈ মাছের ঝোল রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তেল কই রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
ঠিক বলেছেন দিদি। কালো জিরা দিয়ে করলেও দারুন লাগে।
তেল কই আমি অনেকবার খেয়েছি খুব ভালো লাগে খেতে কিন্তু এভাবে গোটা জিরে আর কাঁচা লঙ্কা ফরোন দিয়ে পাতলা ঝোল কখনও খাইনি। হ্যাঁ রোজকার খাবারের জন্য এরকম পাতলা ঝোল অনেক ভালো লাগে খেতে আর স্বাস্থ্যের দিক থেকেও অনেক ভালো। তাই অনেক ধন্যবাদ এত ভালো একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কালো জিরে হোক বা জিরে দুটোই দারুন লাগে। বাড়িতে মাস্ট ট্রাই।
হ্যাঁ একদম ট্রাই করবো।
দেশী কই মাছের পাতলা ঝোল রেসিপিটা দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। দেখে তো জিভে পানি চলে এলো। আসলে পাঁচফোড়ন দিলে রান্নার স্বাদ অনেকটা বেড়ে যায়, আর দেশী কই মাছ তো আমার খুবই প্রিয়। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
জল আসার মতো কিনা জানিনা তবে পেটের জন্য খুবই ভালো।
দাদা আপনি যে এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি পোস্ট করেন, সেটা কি একা একা নাকি বৌদিও আপনাকে সাহায্য করেন। বাপরে কাচাঁ লং আর ফোঁড়ন দিয়ে কি মজাদার কই ঝোলই না আপনি রান্না করলেন। ভাবছি ভবিষ্যতে বৌদি না আবার আপনাকে হেড কুক বানিয়ে দেন। হা হা হা
আমিই রান্না করি আর আমাকে সবজি কেটে মা সহায়তা করেন।