ইতিহাসের খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম...
নমস্কার বন্ধুরা,
বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবনা চিন্তা করছিলাম আশপাশের কোথাও থেকে ঘুরে আসি। কারণ বিগত তিন মাস ধরে টানা একঘেয়ে জীবনে কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তাছাড়া অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের পুরোটাই বাড়িতে আটকে আছি। কাজকর্মে সারা বছর ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গেলেও বছরের শেষে এসে একটু সমস্যার জন্য কিছুটা হলেও জমে গেছি। সে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম কিছুটা সময় বের করে। যদিও ঘুরতে যাওয়ার আগের রাতে ঘন কুয়াশার দেখে কিছুটা নিরাশ হয়েছিলাম, সকালে উঠে হয়তো ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে ভেবে। কিন্তু ঠান্ডা কিংবা কুয়াশা দুটোই যে আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না সেটা মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম।
আগে থেকে আশপাশের দু একটা জায়গায় খুঁজে রেখেছিলাম। ইতিহাস প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্রের প্রতি আমার ঝোঁক একটু বেশি, তাছাড়া পুরনো স্থাপত্য দেখে যেমন খুব আশ্চর্য হই তার পাশাপাশি খুব ভালো লাগে। মনে মনে ভাবি সেই সময়ের শিল্পীরা কতটা নিখুঁত কাজ করতে পারতেন যে তারা এত সুন্দর সব স্থাপত্যকার্য বানিয়ে রেখে গেছেন। সেরকমই খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম কলকাতার খুব কাছে বেড়াচাঁপা। যেখানের সাথে জড়িয়ে রয়েছে তিন হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস। তার সাথে বাংলার খুব এক সুপরিচিত নামের সাথেও সেখানের ইতিহাস জড়িয়ে।
কলকাতা থেকে বেঁড়াচাপার দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার! খুব বেশি দূরত্ব না হলেও বাসে যাতায়াত করতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না তাই ঠিক করেছিলাম লোকাল ট্রেনে করে যাবো। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গ্যালোপিং ট্রেন ধরবো সেই মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম নটার সময়। ভোরের কুয়াশা তখন কেটে গিয়ে আকাশে হালকা মিষ্টি রোদ উঠে পড়েছে। গায়ে শিরশিরে হাওয়া লাগিয়ে পৌঁছে গেলাম বিধানগর স্টেশনে। বিধান নগর স্টেশন থেকে টিকিট কাটলাম হাড়োয়া রোডের।
যে ট্রেন ধরবো তা ছাড়ে দমদম স্টেশন থেকে তাই বিধান নগর স্টেশন থেকে প্রথমে দমদম পৌঁছে গেলাম। সেখানে সাক্ষাৎ হলো আমার আজকের যাত্রার সঙ্গী এক ভাই! সকাল ১০:২৭ এর ট্রেন কিছুটা দেরী করে দমদম স্টেশনে পৌঁছল ১০:৩৫ মিনিটে। ট্রেন আসতেই উঠে সোজা একটা সিট দখল করে নিলাম, প্রায় ঘন্টাখানেকের পথ। ট্রেন সঠিক সময়ে ১৫ মিনিট পর ১০:৪২ নাগাদ দমদম স্টেশন থেকে রওনা দিল। আমার চোখে তখন ৩০০০ বছর পুরোনো বঙ্গের ইতিহাস!
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
বাহ্ দারুন আইডিয়া তো দাদা। মাঝে মাঝে এমন করে একটু বেড়িয়ে পড়লেই কিন্তু আমরা অনেক অতীতের ইতিহাস খুঁজে পেতে পারি। যেমন আজ আপনি ৩০০০ বছরের পুরানো ইতিহাস আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে পোস্টি শেয়ার করার জন্য।
কাজকর্ম নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকলে আসলেই একঘেয়েমি লাগে। তাই মাঝেমধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করা দরকার। তাহলে মনটা রিফ্রেশ হয়। যাইহোক ঠান্ডা এবং কুয়াশা আপনাকে আটকাতে পারেনি, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। অবশেষে ট্রেনে চড়ে রওনা দিলেন আপনারা দু'জন বেড়াচাঁপার উদ্দেশ্যে। যাইহোক ৩০০০ বছর পুরনো বঙ্গের ইতিহাস জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।