আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ১০
নমস্কার বন্ধুরা,
বইমেলার দ্বিতীয় হল অর্থাৎ এ এস বায়াট হল থেকে বেরিয়ে পড়তেই সব কটি বিদেশী স্টল গুলোর সামনে পৌঁছে গেলাম। আসলে বইমেলায় প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশকে আলাদা আলাদা স্টল দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের দেশের সাহিত্য এবং তাদের দেশের ভাষা বাঙালি তথা ভারতের মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারে। সেই সুবাদেই যেমন এবছর ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ব্রিটেনকে মূল থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও তারা স্টল বানিয়েছে তাতে সাহিত্য অনুরাগী কম যারা সেদেশে পড়াশোনা করতে যেতে চায় তাদের জন্যই বেশি বানানো। তেমনি ভাবেই নানান দেশ তাদের স্টল গুলি কলকাতা বইমেলায় দিয়েছে। দ্বিতীয় হল থেকে বেরিয়েই সেরমই দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম জার্মানি এবং ফ্রান্সের স্টলের এক্কেবারে সামনে।
কলকাতা বইমেলায় মূল যে চিন্তাভাবনা থেকে বিভিন্ন দেশের কমসুলেট গুলোকে স্টলের জন্য জায়গা দেয় সেগুলি কেউই দেখলাম মানেনি। কারণ ব্রিটেনের মতোই ফ্রান্স এবং জার্মানি মূলত তাদের দেশে যাতে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে যায় সেটারই বিজ্ঞাপন করেছে। আমি যেখানে মনে মনে চাইছিলাম যে তাদের দেশের সাংস্কৃতিক কিছু দিক, তাদের ভাষা এবং সাহিত্যের কিছু দিক সম্পর্কে তাদের স্টল থেকে জানতে পারবো কিন্তু তার কিছুই জানতে পারলাম না। যদিও স্টলের বাইরে তাদের দেশ গুলির কিছু লিফলেট রাখা হয়েছে তবে সেগুলি সবই নানা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞাপন।
তারপর পৌঁছে গেলাম পেরুর স্টলের সামনে। যাদের স্টলটি সমস্ত বৈদেশিক স্টল গুলির মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিলো। আর তার কারণ হলো বিগত কয়েক বছরে পেরুর প্রচেষ্টায় ইন্দো ও হিস্পানিক ভাষা নিয়ে চর্চায় কলকাতায় একটি আলাদা সোসাইটি তৈরি হয়েছে। যার নাম ইন্দো-হিস্পানিক ল্যাঙ্গুয়েজ সোসাইটি, যাদের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন হিস্পানিক সংস্কৃতি ও তাদের সাহিত্য নিয়ে চর্চা করা। তাছাড়া তাদের ভাষা ভারতের মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়াও একটা লক্ষ্য। যেটা নিয়ে তারা বইমেলায় প্রচুর আলোচনা সভা, নানা হিস্পানিক লেখক/লেখিকার সাথে কথোপকথন ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব করে থাকে। বিগত বছরে যখন কলকাতা বইমেলায় তাদের স্টলে এসেছিলাম তখন রীতিমতো কিছু বাঙালি মানুষকে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে শুনেছিলাম।
এবারেও তাদের স্টলের সামনে ছিলো বিশাল ভীড়। যেটা দেখতে ও অনুভব করতেই বইমেলায় আসা। তবে এবারে স্প্যানিশ ভাষায় লোককে কথা বলতে না শুনলেও ভিড়ের মধ্যে যারা বসে ছিলেন তারা অনেকেই স্প্যানিশ বোঝেন এবং বলতে পারেন সেটা বলাই বাহুল্য। বাইরের ভীড় দেখে স্টলের ভিতরে ঢুকে পড়লাম। ভেতরে তখন বেশ সুন্দর এক আলোচনা সভা চলছিল। যেখানে ভারতীয় ভাষা সমষ্টির সাথে কিভাবে স্প্যানিশ ভাষার মেলবন্ধন আরো সুন্দর ভাবে করা সম্ভব সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে।
আপনাদের বইমেলা দেখলে আসলে কষ্ট ই লাগে খুব।কারণ আমাদের বইমেলা এর কিঞ্চিৎ হলেও হতো।
পরের বার বইমেলায় চলে আসুন। দারুন লাগবে আপনার
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ এর দশম পর্বের লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পেরুর স্টলের বইগুলো সম্পর্কে জেনে আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আর এরকম চমৎকার বইমেলায় কাটানো মুহূর্তটুকু নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আন্তর্জাতিক বইমেলা এমনই হওয়া উচিত। সব দেশের বুক স্টল থাকা উচিত। তবে প্রতিটি দেশের বুক স্টলে নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি এবং সাহিত্য সম্পর্কে লেখা বই গুলো বেশি বেশি থাকা দরকার। যাতে করে বিভিন্ন দেশের মানুষজন সেই বইগুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারে। কিন্তু সব জায়গায় শুধু ব্যবসা আর ব্যবসা। ভারতীয় ছাত্র ছাত্রীরা যাতে করে তাদের দেশে যায় পড়াশোনা করার জন্য, সেজন্যই এতো বিজ্ঞাপন দিয়ে রেখেছে ব্রিটেন,জার্মানি এবং ফ্রান্সের বুক স্টল গুলোতে। সেই হিসেবে পেরুর স্টলটা খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
কোলকাতার ৪৭ তম আন্তর্জাতিক বই মেলায় ব্রিটেনকে মূল থিম হিসেবে ধরা হয়েছে।বৈদেশিক স্টল গুলোর মধ্যে পেরুর স্টলটি আপনার প্রিয় ছিল।কারণ সেখানে তারা বৈদেশিক ভাষা গুলোকে ভারতের মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বইমেলা মানে মানুষের বিভিন্ন বইয়ের সাথে পরিচয় করে দেওয়ার স্থান। তবে যেন আরো ভালো লাগলো এখানে বিভিন্ন দেশের লেখাপড়া বিষয় আর সে বিষয়ে স্টল। আমি কিন্তু অনেক কিছু ধারনা পেলাম আপনাদের এই বইমেলা সম্পর্কে। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।