পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : গড়িয়াহাট একডালিয়া এভারগ্রিন
নমস্কার বন্ধুরা,
গড়িয়াহাটের পুজো গুলোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো পুজো গুলির বনেদিয়ানা। তার পাশাপাশি গড়িয়াহাটে বুকে যে চারখানি বিখ্যাত পুজো রয়েছে সেগুলির সকলেই আরেকটি বিষয়ের জন্য সুপরিচিত, তা হলো তাদের চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা। গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাবেই সেটার অল্প ঝলক পেয়ে গিয়েছি। হিন্দুস্তান ক্লাবের পাশে দক্ষিণ কলকাতার আরো দুই ঐতিহ্যবাহী পুজো, গড়িয়াহাট একডালিয়া এভারগ্রিন ও গড়িয়াহাট সিংহি পার্ক। হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজো দেখে বেরিয়েই পৌঁছে গেলাম একডালিয়া এভারগ্রিনে।
এবছরের একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো মন্ডপ রাজস্থানের জৈন মন্দিরকে ঘিরে করে হয়েছে। প্রতি বছরেরই একডালিয়া এভারগ্রিনের মন্ডপ কোনো না কোনো মন্দিরকে ঘিরেই বানানো হয়, এবারেও তার ভিন্নতা হয়নি। ৮১ বছরের পদার্পণ করা এই পুজোর সত্তার মধ্যে যতট কলকাতার থিমের দুর্গাপুজোর প্রভাব আছে তার থেকে অনেক বেশি রয়েছে বনেদিয়ানার প্রভাব। পুজোর মধ্যে সাবেকি আনার পাশাপাশি আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো তাদের আলোকসজ্জা।
হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজো দেখবার পরে যখন গড়িয়াহাট মোড়ে পৌঁছলাম, তখনই মানুষের ভীড় দেখে অবাক হলাম। জনসমাগম দেখে চতুর্থীর রাত কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভিড়ের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছুটা সময় লাগলো রাস্তা পারাপার করে গড়িয়াহাট একডালিয়া এভারগ্রিনে পৌঁছতে। শুরুতেই তাদের সুন্দর আলোকসজ্জার সম্মুখীন হলাম। আলোকসজ্জা মধ্য দিয়েই তাদের রাজস্থানের জৈন মন্দিরের আদলে মন্ডপ নজরে এলো। বলা চলে মন্ডপ মূল গেট থেকেই শুরু হয়েছে। মণ্ডপে নিখুঁত কারুকাজ। অল্প পরিসরের মধ্যেই পুজো কমিটি সুন্দরভাবে নিজেদের ভাবনাটাকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম।
মন্ডপের ভেতরে মা দুর্গা বিরাজমান। এখানে মায়ের প্রতিমার মধ্যে সাবেকিয়ানার ছাপ পরিষ্কার। একডালিয়া এভারগ্রিন আরেকটি বিশেষ ব্যাপার হল তাদের মণ্ডপের ভেতরের ঝাড়বাতি।
চতুর্থীর দিনেই এতো ভিড় তাহলে, পরবর্তী দিনগুলোতে তো ভিড় আরো অনেক বেড়েছিল মনে হচ্ছে। যাইহোক গড়িয়াহাট একডালিয়া এভারগ্রিন তো দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। রাজস্থানের জৈন মন্দিরের আদলে মন্ডপও দারুণভাবে তৈরি করেছে। আলোকসজ্জা দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।