রেসিপি : ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল
নমস্কার,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আজ ফের আমি আপনাদের সামনে নতুন আরো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আজকের রেসিপিটি হলো ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল।
বিগত কদিন চরম মাত্রায় গরম পড়েছে। আর গরমের দিন বলেইজমিয়ে রান্নার পরিবর্তে হালকা পাতলা ঝোল রান্নার করেছি আর সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি কথা না বাড়িয়ে চলুন সোজা রান্নায় চলে যাই।
- বাটা মাছ
- ঝিঙে
- আলু
- পাঁচফোড়ন
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে তেল গরম করে নেবো। তারপর নুন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা বাটা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ২
- বাটা মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্র নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৩
- মাছ ভাজা হয়ে যাওয়ার পর বাকি তেলে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে কেটে রাখা পটল, আলুর সাথে স্বাদমতো নুন ও পরিমাণ মতো দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৪
- ঝিঙে ও আলু গুলো ভালো ভাবে ভাজার পর জল ছেড়ে দিলো। তারপর জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৫
- তারপর সবজি গুলো হালকা নাড়াচাড়া করে হাফ কাপ জল দিয়ে কষতে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ ৬
- সবজি কষে গেলে কড়াইতে তিন কাপ জল দিয়ে গ্যাসের আঁচটা বাড়িয়ে দেবো।
ধাপ ৭
- মিনিট পাঁচেক উচ্চ আঁচে ঝোল ফুটিয়ে নেওয়ার পর ভাজা মাছ গুলো ঝোলে দিয়ে আঁচটা কমিয়ে দিলাম।
ধাপ ৮
- তারপর অল্প আঁচে কুড়ি মিনিট ঝোল ফুটিয়ে নিতেই ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ & ডিসকর্ড||
Support @heroism by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| Join HEROISM ||
বাটা মাছ কড়া করে ভেজে খেয়েছি। সবজির সাথে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। ঝিঙ্গে আলু দিয়ে বাটা মাছের রান্নার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাটা মাছ খুব সুস্বাদু একটি মাছ এবং আমার কাছে খুব ভালো লাগে খেতে। তবে ঝিঙে দিয়ে বাটা মাছ কখনও খাওয়া হয়নি। আপনি বাটা মাছ আর ঝিঙে দিয়ে খুব সুন্দর একটি রান্নার রেসিপি তৈরী করেছেন। রান্নার ধাপগুলো ছবি এবং বর্ণনার মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। রান্নার পরিবেশন দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে গেল। ধন্যবাদ দাদা ।
ঝিঙে সবজিটি আমি খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
প্রতিনিয়ত এই ঝিঙে খাওয়া হয়, আপনি আজ চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। বিশেষ করে আজকের তরকারির কালারটা কিন্তু দারুন দেখাচ্ছে, আর বেশ লোভনীয় বটে।
বাটা মাছ খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি স্বাদের মাছ।বাটা মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি।এই মাছ দিয়ে ঝোল চচ্চড়ি ভাজা সবকিছুই খেতে অনেক ভালো লাগে।দাদা আপনার আপনার রান্না করা বাটা মাছের ঝোল রেসিপি টি দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে,দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ঝিঙ্গে দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল গরম ভাতের সাথে খেতে অমৃতের মতো লাগে।অসম্ভব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাটা মাছ সবাই খুব মজা করে খায়। আমার কেন যেন এই মাছটা একদমই পছন্দ না। এত বেশি কাটা খেতে খুবই অসুবিধা হয় । অবশ্য আপনি যেভাবে ভেজে নিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে কাঁটাগুলো মুচমুচে করে খেয়ে ফেলা যাবে। ঝিঙে দিয়ে রান্নার করার কারণে মনে হয় একটা মিষ্টি মিষ্টি ভাব এসেছে । খেতে নিশ্চয়ই ভালই হয়েছিল। দেখতে তো সুস্বাদুই লাগছে।
বাটা মাছ সাধারণত ভেজে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্না তৈরি করেছেন। এভাবে ঝিঙে মাছ আলু দিয়ে রান্না করে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আপনার রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে দাদা খুবই সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঝিঙে, আলু দিয়ে বাটা মাছের রেসিপিটি দেখতেই এতো সুন্দর লাগছে।না জানি খেতে কতো ভালো ছিল।আপনি বেশ সুন্দর করে রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন।খুব ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একদম সত্য কথা বলেছেন দাদা বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড গরম পড়ছে আর এই গরমের মধ্যে ঝোলে-ঝালে খেতে খুবই ভালো লাগে। ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্নার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল যদিও বরাবরই আপনি অনেক মজাদার মজাদার রয়েছে কি আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন এটা আমরা সকলেই জানি। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।