আমঝুপি নীলকুঠি || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২৫শে শ্রাবণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষাকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



png_20230809_165043_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



আমাদের বন্ধু সার্কেলের মাঝে একটা গ্রুপ আছে আর সেখানে শুধু বন্ধু নয় কয়েকজন বড় ভাইও আছে আর তাদের সাথে আমরা অনেকটাই ফ্রেন্ডলি মেলামেশা করি। আমাদের গ্রুপের সবাই প্রায় দুই মাস আগে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাইক ট্যুর দিয়েছি যদিও এর আগেও কয়েকটি বাইক ট্যুর দিয়েছি সে সম্পর্কে তেমন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে আমঝুপি নীলকুঠি জায়গাটা নিয়ে এই পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। জায়গাটি আমাদের পাশের জেলায় অর্থাৎ মেহেরপুরে অবস্থিত। আসলে সেখানে প্রচুর পরিমাণে আমগাছ রয়েছে আর এই জন্যই হয়তো জায়গাটির নাম আমঝুপি রাখা হয়েছে তবে যে গাছগুলো রয়েছে তার সবগুলোই অনেক পুরনো। পাকিস্তান আমলে এবং ইংরেজ আমলের গাছ শেখানো রয়েছে।



20230529_163145.jpg

20230529_164003.jpg



আপনি যদি লক্ষ করেন উপরের গাছগুলো তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই গাছের অনেক বয়স অর্থাৎ অনেক পুরনো। যদিও এরকম বড় বড় অনেকগুলো গাছের ছবি তুলেছিলাম তবে সেগুলো ফটোগ্রাফি পর্বে তুলে ধরেছিলাম বলে এখন আর সেটা শেয়ার করিনি। যাইহোক আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর অনেকটাই ক্লান্ত ছিলাম তাই সবাই পাশে থাকা একটি ছোট দোকানে গিয়ে পানি সহ বিভিন্ন কোল্ড্রিংস খেতে লাগলো আর প্রচন্ড গরমের কারণেই সবাই কোল্ড্রিংস খাওয়ার প্রতি আলাদা চাহিদা ছিল। কিছু সময় রেস্ট করার পরে আমি টিকিট কাউন্টারে এসে টিকিট সংগ্রহ করলাম এবং ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে প্রবেশ করার সময় মনে মনে সিলেক্ট করে রেখেছিলাম এখান থেকে যে ছবিগুলো তুলব সেটা আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আমি টিকিট হাতে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মুল যে বড় গেট আছে সেখানে গিয়ে পুরো জায়গাটার একটা ছবি নিয়েছিলাম। সেখানে ইংরেজ আমলের যে ঘর রয়েছে সেটায় প্রবেশ করার আগেই ফটোগ্রাফি করলাম আর ভেতরে কি রয়েছে সে সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না তাই ভেতরে প্রবেশ করার জন্য দ্রুত এগিয়ে গেলাম।



20230529_163729.jpg

20230529_163739.jpg

20230529_163747.jpg

20230529_163819.jpg

20230529_163826.jpg

20230529_163927.jpg

20230529_163934.jpg

20230529_163630.jpg

20230529_163641.jpg

20230529_163645.jpg

20230529_163650.jpg

20230529_163657.jpg

20230529_163704.jpg

20230529_163714.jpg

20230529_163722.jpg



ভেতরে প্রবেশ করার পরে প্রথমেই নীল চাষ নিয়ে অনেক সব ইতিহাস দেখলাম। এমনকি ধারণা করা হতো রাজা রবার্ট ক্লাইভ নাকি এখানে এসেছিলেন। যাইহোক সেখানে কিছু ফটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়ে কিভাবে নীল চাষ করা হয়েছে আর সেই নীল উৎপাদন করে কিভাবে সেটা মজুদ করা হতো সেই ছবিগুলো দেয়ালে টানিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ইংরেজ আমলে আশপাশের জেলাগুলোতে অর্থাৎ ঝিনাইদা চুয়াডাঙ্গা সহ বিভিন্ন জেলায় যেসব রাজপ্রাসাদ ছিল এবং রাজাদের শাসনের যেসব দৃশ্য ছিল সেগুলোর ছবি এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে স্মৃতি আর দৃশ্যগুলো ছিল সেগুলো এখানে দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে অনেকটাই জাদুঘরে সংরক্ষিত রাখার মত। বিশেষ করে আশপাশের জেলা গুলোতে যতগুলো নীলকুঠি ছিল তার সবগুলোর ছবি এখানে দেওয়ালে টানানো হয়েছে যেমন তার মধ্যে উল্লেখ সোনাই কুন্ডো নীলকুঠি যেটা কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত, কোটচাঁদপুর নীলকুঠি যেটা ঝিনাইদা জেলায় অবস্থিত, ভাটপাড়া নীলকুঠিসহ আরও অনেক।



20230529_164504.jpg

20230529_164047.jpg

20230529_163859.jpg

20230529_163850.jpg

20230529_163845.jpg

20230529_163841.jpg

20230529_163835.jpg

20230529_164151.jpg

20230529_164234.jpg



আমরা ভিতর থেকে এমন অনেকগুলো নীলকুঠির ছবি দেখে যখন পিছন সাইডে গেলাম তখন আরো দারুণ সব জিনিস দেখতে পেলাম। আমরা গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে মাটির তৈরি অনেক আসবাবপত্র রাখা হয়েছে তখন মনে হল আসলে এই মাটির আসবাবপত্রগুলো এখানে রাখার কারণ কি পরবর্তীতে সাইডে দেখতে পেলাম লেখা রয়েছে এগুলো কালো উপর রাজারভিটা চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাইরে যাওয়ার পরে আমার চোখে পড়ল সেই সময়ে ডাক বহন করা কবুতরের ঘর অর্থাৎ সেই সময় যে কবুতরগুলো চিঠি বহন করত সেই কবুতরগুলো এই ঘরের মধ্যে থাকতো মজার বিষয় হচ্ছে এত পুরনো সেই কবুতরের ঘর এখনো রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে বলতে পারি এমন জায়গাগুলোতে আমাদের সবার ভ্রমণ করা উচিত কেননা পুরনো দিনগুলো সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায় এই ধরুন ইংরেজ আমলের অনেক বিষয় সম্পর্কেই এখানে গেলে ধারণা পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে আমরা নদীর পাড়ে গিয়ে সবাই কিছু সময় গল্প করলাম এবং সেখানে নিজেদের ছবি উঠেছিলাম তবে নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি অনেক আগেই ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে বলে এখন আর সেগুলো এখানে শেয়ার করিনি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়আগষ্ট,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG-20211015-WA0027.jpg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এটা আমার বাড়ির কাছে তো তাই মাঝে মাঝে এখানে ভ্রমণ করতে চাই। এই জায়গাটি ভ্রমণ করার মাধ্যমে আমরা পুরনো দিনের ইতিহাস সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা লাভ করতে পারি।

 last year 

আরে তাই নাকি আগে জানলে তো আপনাকে আগে থেকেই বলতাম নাস্তা পানির ব্যবস্থা করতেন হা হা হা।

 last year 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আমিঝুপি নীলকুঠি কিছু কাহিনী। আসলে ভাই এই জায়গাটি আমাদের বাড়ি থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয় প্রায় এই জায়গায় যাওয়া হয়। আপনি সেখানে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে ভিতরে প্রবেশ করছিলে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এই জায়গা ভ্রমণের মাধ্যমে আমাদের পুরনো দিনের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

তাহলে আবার গেলে আপনাদের বাড়িতেও ঘুরতে যাব।

 last year 

আপনি তো বাইক নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। আজকে আমঝুপি নীলকুঠি নিয়ে ব্লগ শেয়ার করলেন। শত বর্ষি গাছ নিয়ে অনেক স্মৃতি,অনেক গল্প কথা থাকে। সে গুলো জানতেও ভাল লাগে। নীল চাষ নিয়ে অনেক ইতিহাস পড়েছি। ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

বড়ই দুঃখ পেলাম বাড়ির কাছে এসে ঘুরে গেছেন কিন্তু দেখা করে যান নাই। যাইহোক আমসুফের এই নীলকুঠির টা কিন্তু বেশ পরিচিত একটি জায়গা যেখানে প্রায় মানুষ যাওয়া আসা করে থাকে, এখানে অনেক পুরনো দিনের অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়।

 last year 

ভাই হুটহাট করে প্ল্যান করে গিয়েছিলাম, তাছাড়া একদিনের ট্যুর ছিল।

 last year 

মেহেরপুর আম ঝুঁপিতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখা যায়। এই আমঝুপিতে ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন রাখা হয়েছে যা আমরা ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ সেখানে ইংরাজ আমলের অনেক পুরনো তথ্য সংগ্রহ করা আছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 67338.51
ETH 2672.27
USDT 1.00
SBD 2.72