পদ্মা নদীর মোহনায় || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -৭ই আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



Screenshot_20230926_161442_Canva-01.jpeg

Canva দিয়ে তৈরি



এর আগে আমরা সবাই মিলে পদ্মা নদীর মোহনায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আজকে সেই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেদিন ছিল শুক্রবার, কমিউনিটি সেন্টার আমাদের সবার দাওয়াত ছিল তাই নামাজ শেষে সবাই কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে বিয়ের দাওয়াতে অংশগ্রহণ করি। খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালোই হলো, খাওয়া-দাওয়া শেষে শুক্রবার উপলক্ষে একটু ঘোরাঘুরি করার প্লান করলাম আমরা সবাই মিলে। মূলত পুরোটা প্ল্যানিং করেছিল আমার ফুফাতো বোনেরাই। যদিও প্রথমের দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা পুকুর পাড়ে বসলাম কারণ খাওয়া-দাওয়া শেষে অনেকটাই গরম লাগছিল আর কিছু সময় রেস্ট নেওয়ার দরকার ছিল তাই সবাই পৌরসভার পেছনে একটি পুকুর পাড় আছে সেখানে আমরা সবাই বসে পুরো প্ল্যানিংটা করলাম। তবে তখনও প্ল্যানিং পাকাপোক্ত হয়নি কারণ আমাদের ছোট ভাগ্নি সাওফা ছিল তাই নদীর মধ্যে গিয়ে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সমস্যা যদিও বড় আপু বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সাথে ছাতা নিয়ে এসেছে।



20230908_160016-01.jpeg

20230908_160102.jpg

20230908_172718.jpg



আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নদীর পাড়ে গিয়ে আকাশের অবস্থা বিবেচনা করে তারপরে নৌকা ভাড়া করব। সেখানে সবসময় নৌকা পাওয়া যায় আর রেনউইক বাঁধে শুক্রবারে অনেক লোকজন ঘুরতে আসে আর তারাও নৌকাতে মোহনার দিকে যায় সেজন্য এক নৌকায় অনেক লোক গেলে অল্প টাকায় সেখানে যাওয়া যায়। যে মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত খেতে কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিলাম সেই মেয়ের সাথে শেষবারের মতো দেখা করতে সবাই আবার ভিতরে গেল অবশ্য আমি ছেলে মানুষ সেই মেয়ের সাথে আর দেখা করে কি করব এজন্য আমি বাইরে ছিলাম। বাইরে দাঁড়িয়ে এলোমেলো কিছু ছবি তুলেছিলাম। কিছু সময় পরে তারা সবাই বেরিয়ে এলো তারপরে আমরা একটি ইজিবাইক রিজার্ভ করে সোজা রেনউইক বাঁধে চলে গেলাম। প্রথম থেকেই সাওফা মামা আমার কাছেই ছিল তাই আমরা রেনউইক বাঁধে প্রবেশ করার পর সোজা নৌকায় ওঠার জন্যই গেলাম কারণ পদ্মা নদীর মোহনার দিকে যাব একটু সময় লাগতে পারে তাই অন্যদিকে আর বেশি সময় নষ্ট করলাম না প্রয়োজনে সেখান থেকে ঘুরে এসে আবার নদীর পাড়ে সময় কাটানো যাবে। আমরা সবাই নৌকায় উঠে পড়লাম সেই সাথে নৌকায় আরো কিছু লোক ওঠার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করলাম তাহলে ভাড়া আমাদের একটু কম পড়বে। সবশেষে প্রতি জন ২০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে নৌকায় উঠলাম আর অন্যান্য লোকদের উড়তে যত সময় লেগেছিল সেই ফাঁকে আমি সাওফার ছবি তুলেছিলাম।



20230908_163200.jpg

20230908_163203.jpg

20230908_163328.jpg

20230908_163341.jpg

20230908_163512.jpg

20230908_165608.jpg

20230908_165617.jpg

20230908_170634-01.jpeg

20230908_170803-01.jpeg

IMG-20230909-WA0000.jpg

20230908_165626.jpg



কিছু সময় পরে নৌকা পদ্মা নদীর মোহনার দিকে রওনা হল। মাঝির কাছে জিজ্ঞাসা করলাম সেখানে যেতে কত সময় লাগবে তিনি বললেন মামা যাওয়ার সময় প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লাগবে আর আসার সময় আধা ঘন্টার একটু বেশি সময় লাগবে কারণ স্রোতের প্রতিকূলে যেতে দ্বিগুণ সময় লাগবে আর আসার সময় স্রোতের অনুকুলে আসবো তাই খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। আমরা সবাই নৌকায় বেশ আনন্দ উপভোগ করছিলাম কারণ আকাশে হালকা মেঘ ছিল মাঝে মাঝে রোদ্দুর দেখছিলাম আবার মাঝে মাঝে হালকা মেঘে রোদ্দুর ঢেকে যাচ্ছিল। যদি উপরের ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আকাশে হালকা মেঘ ছিল। ধীরে ধীরে সবাই একে অপরের ছবি তুলে দিচ্ছিলাম। আর আমি তার মাঝে আশপাশের ছবিগুলো তুলছিলাম কারণ সেখানে ঘুরতে আসার আগেই আমি প্ল্যান করে রেখেছিলাম এই বিষয়টি কমিউনিটিতে শেয়ার করব। সাধারণত কোথাও ঘুরতে গেলে আগে থেকেই প্ল্যান হয়ে যায় অটোমেটিকলি যে এই বিষয়টি সবার সাথে তুলে ধরব। দীর্ঘ সময় পরে আমরা পদ্মা নদীর মোহনায় পৌঁছে গেলাম আর সেখান থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় চুল্লি গুলো দেখা যাচ্ছিল। আর মোহনার পাড় দিয়ে দারুন কাশফুল ছিল যদিও অনেকেই সেখানে বাইক নিয়ে ঘুরতে গিয়েছে আর তখনই আমিও মনে মনে ভাবছিলাম বন্ধুদের সাথে এখানে বাইক নিয়ে ঘুরতে আসলে বেশ ভালো সময় উপভোগ করা যাবে। মোহনা থেকে ঘুরে যখন আবার আমরা ফিরে আসছিলাম তখন নৌকা খুব দ্রুত আসছিল কারণ তখন নৌকা স্রোতের অনুকূলে আসছিল যাইহোক আসতে আর বেশি সময় লাগে নি। সন্ধ্যার একটু আগেই আমরা আবার ফিরে এসেছিলাম।



20230908_182752.jpg

20230908_182737.jpg

20230908_182707.jpg

20230908_182714.jpg

20230908_184420.jpg



সন্ধ্যার কিছু সময় আগে আমরা নৌকা থেকে সেখানে নামলাম তখন সবে সূর্য ডুবতে শুরু করেছে। সেখানে একটা বড় বটগাছ আছে সেখানে আমরা সবাই গোল হয়ে বসলাম আর কিছু আইসক্রিম সহ চিপস অর্ডার করলাম। প্রতিদিনের মতোই আমাদের সবার খরচ বহন করেছিল বড় আপুই। সাধারণত বড় আপুর সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অন্যদেরকে কোন টাকা দিতে হয় না এটা আমাদের সবার একটা সুবিধা বলতে পারেন। যাই হোক ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল তখন আমরা সেখান থেকে রওনা হলাম। রেনউইক বাঁধের ভেতরের গেট পার হয়ে একটি মসজিদ আছে সেখানে গিয়ে বড় আপু নামাজ আদায় করল কারণ সেই মসজিদের মধ্যে মহিলাদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ছিল অনেক মহিলাই সেখানে নামাজ আদায় করেছিল। সাওফা তখন আমার কাছে ছিল আমি তাকে নিয়ে আশপাশটা হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম যদিও সন্ধ্যা নেমে এসেছে চারিদিকে লাইটগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু সময় পরে বড় আপু নামাজ আদায় করে চলে আসলো তারপর আমরা সবাই রেনউইক বাঁধের মেনগেটের সামনে চলে গেলাম। মেইন গেটের সামনে গিয়ে কিছু সময় অন্যদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর সেই সুযোগে আমি মেন গেটের ছবিও তুলেছিলাম। যদিও আমি আর সাওফা সেখানে একটি টিকটিকি দেখে সাওফাকে ভয় দেখাচ্ছিলাম আর তাকে নিয়ে মজা করছিলাম তত সময়ে আমাদের গ্রুপের বাকি সদস্যরা চলে আসলো।

যেহেতু সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল তাই আর দেরি না করে আমরা সবাই একটি ইজিবাইক ঠিক করে একসাথে বাসায় ফিরে আসলাম আর আমাদের যাত্রা ইতি টানলাম।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়সেপ্টেম্বর,২০২৩



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 11 months ago 

মানুষ সর্বদা ভ্রমণ বিলাসী, ভ্রমন করতে বেশ ভালোবাসে। ঠিক তেমনি আমিও ভ্রমন করতে বেশি। পছন্দ করি আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে পদ্মা নদীর মোহনায় ভ্রমণ করতে গিয়েছেন। পাশাপাশি সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহারস্বরূপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক সুন্দর ছিল আপনার এই পোস্ট।

 10 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

পরিবারের সাথে পদ্মা নদীর মোহনায় দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। আপনার মত আমারও ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে তাই তো যখনই সুযোগ পাই বেরিয়ে যায় ভ্রমণে। এটা ঠিক বলেছেন পদ্মার মোহনায় শুক্রবারের দিন অনেক মানুষ আসার কারণে কম খরচে যাওয়া যায়।

 10 months ago 

মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

ফ্রিতে খুব সুন্দর একটি নৌকা ভ্রমণ দিলেন। যেহেতু আপনার বড় আপু এসব বিল পরিশোধ করেছে, তাই বললাম আর কি 🙂।

যাইহোক, পরিবারের সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন।পিচ্চিটা কিন্তু অনেক কিউট। আপনাদের আনন্দ দেখে আমারও এখন নৌকা ভ্রমণ করতে ইচ্ছা করছে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

তাহলে বড় আপুর পরবর্তী প্রোগ্রামে আপনাকে দাওয়াত দিব।

 11 months ago 

আচ্ছা ভাইয়া😊

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59934.86
ETH 2666.82
USDT 1.00
SBD 2.45