খাতা কিনতে যাওয়া|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৮ই ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজকের লেখা টাইটেল দেখে অনেকেই অবশ্য একটু অবাক হতে পারেন তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই আসলেই খাতা কেনার ও একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে তবে এই খাতা আমার লেখাপড়া বা ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কেনা নয় এটা আমাদের দোকানের জন্য কেনা। সাধারণত শুক্রবারে কিন্তু সবকিছু কিছু বন্ধ থাকে তবে আমাদের পাশের উপজেলায় অর্থাৎ কুমারখালীতে শুক্রবারে সবকিছু খোলা থাকে আর সোমবারে সাধারণত সবকিছু বন্ধ থাকে। সকাল বেলায় অবশ্য ভাইয়া ফোন করে খোঁজ নিয়ে জানল সব দোকান খোলা আছে তবে যে দোকানে যাওয়ার কথা ছিল সেটা কুমারখালীর ভিতরে সবচেয়ে বেশি নামকরা লাইব্রেরী।কিশলয় লাইব্রেরীতে সব ধরনের খাতা পত্রসহ বই পাওয়া যায় তবে শুক্রবারে সমস্ত স্কুল প্রতিষ্ঠান এবং প্রাইভেট বন্ধ থাকে বলে লাইব্রেরীটি ও বন্ধ রাখা হয়। তবে সেখানে সব ধরনের খাতা পাওয়া যায়। শুক্রবার হলেও আমাদের খাতাটা একটু দরকারই ছিল তাই অন্য দোকান থেকে হলেও নিতেই হবে তাছাড়া আমাদের ছোট বাইকে তেল ছিল না তাই তেল ঢোকানোর জন্য পাম্পে যাওয়ার দরকার ছিল সব মিলিয়ে একবারে সব কাজ করার জন্য ভাবলাম একবারে শুক্রবারেই যাই।
সকাল বেলায় বাসা থেকে গোসল খাওয়া-দাওয়া করে একবার রেডি হয়ে বের হলাম কারণ ভাইয়া আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে রেখেছে আর বলে রাখলো সকাল নয়টার পরে কুমারখালী যেতে হবে। সাধারণত এলাকার বাইরে যেখানেই যাই সেখানেই নতুন বাইক নিয়ে যাই। তবে আরেকটা যে বাইক আছে সেটা শুধু এলাকাতেই চালানো হয় তাই অনেকদিন হলো তেল ঢোকানো হয় না। তাই ভাইয়া বলল গিয়ে তেল পাম্প থেকে এক হাজার টাকার তেল নিয়ে শহরের ভেতরে একটু কাজ আছে সেটা কমপ্লিট করে খুব দ্রুত ফিরে আসব। যেহেতু পুরাতন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম তাই খুব আস্তে ধীরে যাচ্ছিলাম তাছাড়া সকালবেলায় বেশ রোদ উঠেছিল গরমের প্রভাবটা ভালোই উপভোগ করছিলাম। আমাদের এলাকা থেকে কুমারখালী শহরে যেতে একটা ব্রিজ আছে আর তার পাশেই মাছ চাষ করা হয় সেখান থেকে মাছ ধরে আশপাশের অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমি এতদিন জানতাম সেখানে হয়তো বড় মাছ চাষ করা হয় তবে সেদিন জানতে পারলাম না সেখানে ছোট এবং মাজারি সাইজের মাছ চাষ করে বিভিন্ন পুকুরে চাষ করার জন্য পাঠানো হয়। আমি যখন যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম সেখানে মাছ ধরছে তাই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সেই মাছগুলো দেখার চেষ্টা করলাম তবে মাছগুলো আগে থেকেই বড় পাতিলের মধ্যে রেখে পুকুরে চাষ করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তাই ভালোভাবে দেখতেও পারিনি আর আপনাদের মাঝেও তুলে ধরতে পারিনি। তবে আশপাশের কিছু ছবি তুলে বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সেখান থেকে আমি সোজা তেল পাম্পে চলে আসলাম আর বাইকে ১০০০ টাকার পেট্রোল নিলাম। সাধারণত নতুন বাইকে সব সময় অকটেন ঢোকানো হয় তবে এই বাইকে সব সময় পেট্রোলই ব্যবহার করি। আসলে সবখানেই উন্নতির ছোঁয়া যেন লেগে আছে আর অটোমেটিকলি মেশিনের মাধ্যমে সেটা পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আবার আপনি যদি শুধু টাকার হিসেবে নিতে চান তাহলে সেটা দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে। এখন সবাই পেট্রোল পাম্পে তেল দিতে গেলে ৫০০ অথবা ১০০০ টাকার তেল নেয় কেউ বলেনা আমি দুই লিটার বা ৩ লিটার তেল নিবো। যাইহোক ১০০০ টাকার তেল নেওয়ার পরে টাকা দিয়ে আমি সোজা গণমরের দিকে গেলাম। আমি যে দোকান থেকে খাতা কেনার জন্য বাসা থেকে এসেছিলাম সে দোকানটা বন্ধ ছিল তাই আবার ফিরে বাসস্ট্যান্ডের পাশে দুলাভাইয়ের দোকানে গেলাম সেখানে গিয়ে বিস্তারিত সব কিছু বলার পরে ভাইয়া বলল আমাদের যেখান থেকে প্রিন্টের কাজ করা হয় সেখানে গিয়ে আমার কথা বললে কম দামে ভালো খাতা পাবে। লোকেশনটা হচ্ছে উপজেলা বড় মসজিদ পার হয়ে দুই গোলি পরেই সেই দোকানের লোকেশন।
লোকেশন অনুযায়ী দোকানে গিয়ে দেখলাম সেখানে অনেক খাতা রয়েছে। আমি যে লাল বর্ডারের খাতাগুলো খুঁজছিলাম সেগুলো একবারেই পেয়ে গেলাম। দোকানটিতে সব ধরনের খাতা বাইন্ডিং করা সহ বিভিন্ন প্রিন্টিং এর কাজ করা হয়। প্রথমে দোকানদার খাতাটির দাম ৪৮০ টাকা চাইলো। দুলাভাইয়ের পরিচয় দেওয়ার পরে বলল আমরা তাদের সব ধরনের প্রিন্টিং এর কাজ করি তখন তিনি বললেন তাহলে আপনার জন্য ৪৩০ টাকা রাখা যাবে। আমি ৪২০ টাকা দেওয়ার পরে দোকানদার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে টাকাটা রেখে দিলেন। সেখানে অনেক ধরনের খাতা ছিল আর আমার যেটা দরকার ছিল সেটা নিয়ে নিলাম এবং তাদের একটি কার্ড নিলাম কারণ যে কোন সময় দোকানের কোন কিছু প্রিন্ট করা বা খাতার প্রয়োজন হলে যাতে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি।
সেখান থেকে খাতা নিয়ে আমি আবার সোজা দুলাভাইয়ের দোকানে আসলাম। গিয়ে দেখলাম দোকানে মিষ্টি বিক্রির অনেক ভিড় জমে আছে। দোকানটি কুমারখালী উপজেলার মধ্যে অনেক নামকরা আর এই দোকানে কুমারখালী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়।বিসমিল্লাহ মিষ্টি ভান্ডার এর নাম বললে সবাই একবারেই চিনতে পারে। গিয়ে দুলাভাইয়ের সাথে কিছু সময় গল্প করে সেখান থেকে মিষ্টি খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির জন্য দুলাভাই আবার দই দিল সেটা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কেননা শুক্রবারে আমাদের বাড়িতে স্পেশাল কিছু রেসিপি হয় আর সাথে দই হলে তো আরো বেশি ভালো হয়।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1697785566308503600?s=20
শুক্রবারে নরমালি দোকানপাট বন্ধ থাকে বেশি। তবে জুম্মার নামাজের পরে দোকানপাট আবার খোলা হয়। যেহেতু শুক্রবারে খাতার দোকানে গিয়েছেন এজন্য বন্ধ পেলেন। তবে আপনার দুলাভাইয়ের পরিচয়টা কিন্তু কাজে দিয়েছে। অন্য দোকানে কিছু কম দামে রেখেছে খাতার মূল্য!
হ্যাঁ আসলেই পরিচয়টা কাজে দিয়েছে।
নিজের দোকানের জন্য খাতা কিনার তাহলে অভিজ্ঞতা হলো আপনার। তবে আমাদের এদিকেও শুক্রবারে বেশিরভাগ দোকান পাট বন্ধ থাকে। যাইহোক নতুন শুনলাম শুক্রবারে ওখানে দোকান খোলা থাকে সোমবার বন্ধ থাকে। তবে আপনার দুলাভাইয়ের পরিচয় দেওয়ার কারণে ৪৮০ টাকা থেকে খাতা গুলোর দাম ৪৩০ টাকা হয়ে গেল। পরবর্তীতে আপনি ৪২০ টাকা করে খাতা গুলোর দাম দিলেন। তবে ভাই মনে হয় মিষ্টি দোকানের মিষ্টিগুলো খুব মজা করে খেয়েছেন দুলাভাইয়ের সাথে। মিষ্টি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে খাতা কিনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুক্রবারে আমাদের এদিকে বেশিরভাগ দোকান পাট বন্ধ থাকে। তবে আপনি যেখান থেকে খাতা কিনেছেন ওখানে সোমবারে বন্ধ থাকে। সোমবারে দোকানপাট বন্ধ থাকে এটা প্রথম শুনলাম। যাইহোক নিজের দোকানের জন্য খাতা কিনতে গেলেন। যদিও নিজের পছন্দের বাইকে 1000 টাকার পেট্রোল নিয়েছে যাওয়ার জন্য। তবে দেখতেছি দুলাভাইয়ের পরিচয় দিয়ে খাতাগুলো দাম ৫০ টাকা কমিয়ে দিলেন। আর দুলাভাইকে নিয়ে খুব মজা করে মিষ্টিও খেলেন খাতা কিনার শেষে। মনে হয় ওই মিষ্টি দোকান অনেক বিখ্যাত। তবে মিষ্টি খেতে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এসব দোকানগুলোতেও মিষ্টি খেতে হলে কাস্টমারে বিট থাকে বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করা জন্য।
বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দিন দোকান বন্ধ থাকে, অনেক এলাকা আছে রবিবারে সবকিছু বন্ধ থাকে।
খাতা কেনার পিছনে এত বড় কাহিনী। পুকুরের মাছ চাষ করা দেখলাম,বাইকে কিভাবে পেট্রোল নিতে হয় সেটা শিখলাম। তারপর খাতার দোকানে গিয়ে খাতা কিনে মিষ্টির দোকানে গিয়ে মিষ্টি খেয়ে বাড়িতে আসলেন। ভাইয়া এত লেইট করলেন আপনার ভাইয়া বা বাবা রাগ করে নাই,হে হে হে। ধন্যবাদ।
হা হা হা, একদিন পরে আসলেও সমস্যা নেই 😆