ছোট গল্প : মরিয়ম (শেষ পর্ব) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১০ই কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | হেমন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তৃতীয় পর্বের পরে আজকে আবার চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। মরিয়ম বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সবকিছু ম্যানেজ করে নিজেও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অফিস থেকে তার ভিসা পাসপোর্ট সবকিছু দিয়ে দিল এবং বিমানের টিকিট দেওয়া হল আর তার সৌদি আরব যাওয়ার দিন জানিয়ে দেয়া হলো। মরিয়ম পরিবারের সবার থেকে বিদায় নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হলো এবং ঢাকা বিমানবন্দরে গিয়ে সে সৌদি আরবের ফ্লাইট এর জন্য অপেক্ষা করছিল। দেখতে পেল তার পাশেই একটি ছেলে বসে আছে আর ছেলেটি তার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। মরিয়ম বুঝতে পারল ছেলেটি কিছু একটা বলতে চাইছে তখন সে ছেলেটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল আপনি কি কিছু বলতে চান?? ছেলেটি তখন মরিয়মকে জিজ্ঞাসা করল আপনি কোথায় যাবেন তখন মরিয়ম বিস্তারিত বিষয়গুলো খুলে বলল। ছেলেটিও তার গন্তব্যস্থলার কথা মরিয়বকে জানালো কিন্তু যখন ছেলেটি মরিয়মের ঠিকানা জানতে চাইল তখন তাদের মাঝে পরিচয় হতে আরও সুবিধা হল কেন না ছেলেটি ছিল মরিয়মের গ্রামের বাড়ির পাশের গ্রামের একটি ছেলে। পাশের গ্রামের হওয়ায় মরিয়ম ছেলেটির সাথে কথা বলা শুরু করলো এবং যত সময় সেখানে বসে ছিল তত সময় গল্প করছিল।
যেহেতু তারা একই দেশে থাকবে তাই তারা নিজেদের মধ্যে বেশ কথাবার্তা বলে তাদের যোগাযোগের মাধ্যমটাও শেয়ার করে নিল কেননা বাইরের দেশে কেউ তো আর বিপদের সময় পাশে থাকবে না নিজের পরিচিত বা আত্মীয়-স্বজন ছাড়া। তবে ছেলেটি মরিয়মকে দেখে পছন্দ করেছিল কেননা মরিয়ম দেখতে অনেকটা সুন্দর ছিল তাছাড়া তার অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল বলে তখনও মরিয়মকে দেখে বোঝা যেত না যে তার একটি ছেলে সন্তান আছে। প্রথমে মরিয়মের ফ্লাইট ছিল আর তাই ছেলেটিকে বিদায় জানিয়ে মরিয়ম তার ফ্লাইট ধরল আর ছেলেটিকে বলল সৃষ্টিকর্তা যদি চায় তাহলে আমাদের আবারো দেখা হবে কথা হবে ভালো থাকবেন।
মরিয়মের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে কেননা সে এখন বিমানে উঠবে আর বিমান আকাশেও ভাসবে। মরিয়ম সৌদি আরবের কমছে গেল এবং তাকে যেখানে কাজ দেওয়ার কথা ঠিক একই ভাবে সেখানে কাজ পেল সেই সাথে মরিয়ম ভালো টাকার বেতন পেতো। কিছুদিন পরে মরিয়ম নতুন একটি সিম কিনতে পারল আর নতুন সিম কেনার পরেই ছেলেটির কাছে ফোন দেয়। ছেলেটির নাম ছিল শিপন, ছেলেটির কাছে ফোন দেওয়ার পরে ছেলেটি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করে কে বলছেন তখন মরিয়ম প্রথমে কিছুটা চুপ করে থাকে পরবর্তীতে মরিয়ম তার নিজের পরিচয় দেয় এবং তাদের মাঝে কথা চলতে থাকে। এভাবে তাদের মাঝে কথা চলতে চলতে এক পর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে পছন্দ করতে থাকে আর নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। এভাবেই প্রায় দু বছর সময় কেটে যায় যদিও মাঝে তারা দুজন একবার দেখা করেছিল সেটা এক ঈদের সময়। যাই হোক তারা দুজন পরিকল্পনা করতে থাকে যেহেতু একে অপরকে ভালোবাসে তাই তারা দুজনে বিয়ে করবে। তিন বছর পরে তারা দুজন এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং বাড়িতে তাদের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়।
মরিয়মের পরিবার মরিয়মের কথা চিন্তা করে রাজি হয়ে যায় কিন্তু শিপনের পরিবার থেকে প্রথমের দিকে রাজি হয় না কেননা মেয়ের একবার বিয়ে হলে ছেলেপক্ষ চায়না এমন মেয়ের সাথে ছেলেকে বিয়ে দিতে। তবে শিপন অনেক কষ্টে তার পরিবারকে মানিয়ে নেয় এবং মরিয়মকে বিয়ের জন্য মানিয়ে নেয়। বেশ ধুমধাম এর সাথেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মরিয়ম আর শিপন নিজেদের সংসার গুছিয়ে নিতে শুরু করে, তবে মরিয়মকে দেশে রেখে শিপন আবার সৌদি আরবে পাড়ি জমা। এই গল্প থেকে আমরা এতোটুকু শিক্ষা নিতে পারি যে একজন মেয়ে কিভাবে তার নিজের জীবনকে আবার নতুন করে সাজাতে পারে কেননা বর্তমান সময়ে এরকম অনেক ঘটনায় ঘটছে আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা ভেঙে পড়ে। আপনি যদি মরিয়মের কথাই চিন্তা করেন তাহলে সে জীবনের সাথে কতটা যুদ্ধ করেছে আবার জীবনের তাগিদে সৌদি আরব পর্যন্ত গিয়েছে তবে সবশেষে সে এখন নতুন একটি সুখের সংসার পেয়েছে এবং তার স্বাধীনতা সে আবার ফিরে পেয়েছে। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই যেকোনো পরিস্থিতিতে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক নিজেকে শক্ত রাখলে অবশ্যই নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.