বৃষ্টি || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১৯ শে কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্তকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজ কয়েক দিন ঠিকমতো কমিউনিটিতে কাজ করতে পারতেছি না কারণ পারিবারিক ব্যস্ততা নিজেকে আঁকড়ে ধরেছে । তারপর যে বড় সমস্যা সেটা হচ্ছে বাসার নেট লাইনে খুবই সমস্যা হচ্ছে যেটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সিমে কিছু নেট কিনেছি তবে সেটা কাজ করার জন্য যথেষ্ট না। যাইহোক এবার তাহলে মূল প্রসঙ্গে আসি, আমি যখন যেখানেই যে পরিস্থিতিতে থাকি না কেন সেগুলো কম বেশি কমিউনিটিতে শেয়ার করার চেষ্টা করি। এর আগে একদিন কুষ্টিয়া থেকে বাসায় ফেরার সময় হঠাৎ করেই বৃষ্টির কবলে পড়েছিলাম আর বৃষ্টি ভেজা দিনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আশপাশের কিছু এলোমেলো ছবি তুলেছিলাম। অবশ্য ছবি তোলার আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম এই গল্পটা কমিউনিটিতে শেয়ার করব। ছবিগুলো অবশ্য পুরনো অ্যালবামে রাখা ছিল একের পর এক বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করার কারণে কিছু পোস্ট পেছনে পড়ে যায় তাছাড়া এই পোস্ট পেছনে পড়ার কারণ ছিল আমরা সাতক্ষীরা ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই ব্যস্ততার মাঝে এই পোস্ট পেছনে পড়ে গিয়েছিল। আজকে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলব।
নিজের ব্যক্তিগত কাজে সকালের দিকে কুষ্টিয়া রওনা হলাম। শহরের মধ্যে যে কাজগুলো ছিল সেগুলো পর্যায়ক্রমে কমপ্লিট করে ফুপির বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম এবং আকাশের মেঘ দেখেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। তবে যখন কুষ্টিয়া থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম তখন আকাশে খুব একটা মেঘ ছিল না আবহাওয়াটা অনেকটাই পরিষ্কার ছিল। হাইওয়ে রাস্তা হয়ে যতটাই সামনে গেছিলাম কালো মেঘ চার দিক থেকে ততটাই ঘিরে নিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি নামবে তাই আমিও বেশ গতিতেই বাইক চালাচ্ছিলাম যেন বৃষ্টির আগেই বাসায় পৌঁছে যেতে পারি। কেননা আমি সেদিনই আবার রেইনকোট সাথে নিয়েছিলাম না তাই বৃষ্টিতে ভেজার ভয়ে তাড়াহুড়ো করে বাসায় যাচ্ছিলাম। তাছাড়া আমাদের একটা প্ল্যানিং ছিল আমরা সকালবেলা আবার সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা হব একটা লং বাইক ট্যুর দিব তাই কিছু কেনাকাটা শেষে দ্রুত বাসায় গিয়ে পরের দিন ট্যুরে যাওয়ার একটা প্রস্তুতি নিতে চাইছিলাম কিন্তু কিছু পথ আসার পরেই দেখলাম ধীরে ধীরে সামনের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে তো কুষ্টিয়া জেলার চোরাই খোল মোড় পার হয়ে এসেই একটি তেল পাম্পের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। প্রথমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল আর পর্যায়ক্রমে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তেই থাকে। প্রায় ১ ঘন্টা সময় সেখানে অপেক্ষা করার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম বৃষ্টিতে ভিজেই রওনা দিব। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরে বৃষ্টি কিছুটা কমলে আমি সেখান থেকে রওনা শুরু করি উপরের ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আসলে সেখানে ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিল।
বৃষ্টিতে ভিজে বাইক নিয়ে ড্রাইভ করতে বেশ ভালই লাগছিল মনে অন্য রকম একটা অনুভূতি ছিল তবে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো যখন হাতে এসে পড়ছিল তখন মনে হচ্ছিল যেন হাতের মধ্যে সুচ ফুটে যাচ্ছে। বাইক চালাতে চালাতে যখন আমি রেলওয়ে ক্রসিং এর কাছে এলাম তখন হঠাৎ করেই মাথায় একটা আইডিয়া আসলো যে কমিউনিটিতে যেহেতু এই বিষয় নিয়ে পোস্ট করব তাই এই বৃষ্টি ভেজা কিছু ছবি তোলা দরকার আর তাই বৃষ্টির মধ্যে আবার এলোমেলো কিছু ছবি তোলা শুরু করলাম বাইক থামিয়া অবশ্য বাইকের ছবিও তুলেছিলাম। পরবর্তীতে সোজা তেল পাম্পে এসে বাইকের তেল নিলাম যেহেতু আমরা সকালে সাতক্ষীরা যাব তাই আগে থেকেই প্রস্তুতিটা পর্যায়ক্রমে সেরে নিচ্ছিলাম। অনেক দূরের পথ অতিক্রম করবো তাই বাইকে তো পুরোপুরি তেল থাকা জরুরী এজন্যই আগে থেকেই বাইকের টাংকি ফুল করে নিলাম। যদিও বাইকে যথেষ্ট তেল ছিল তারপরও ১০০০ টাকার তেল নিতে চেয়েছিলাম তবে ৯৫০ টাকার তেলে বাইকের টাংকি ফুল হয়ে গিয়েছিল। তেল ঢোকানোর শেষে দেখলাম সময় অনেক গড়িয়ে গিয়েছে তাই পথে আর দেরি না করে সোজা বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাসায় এসে আবার পানি দিয়ে বাইকের কাদাটা কিছুটা ধুয়ে নিলাম যেহেতু সকাল বেলা আমাদেরকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে বের হতে হবে তাই বাইকটা একটু পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। যাইহোক বাসায় এসে গোসল খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট করে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ভাবলাম একটু বাজারের দিকে গিয়ে সবাই পরামর্শ করা যাবে। তাছাড়া যেহেতু আমাদের বাজারে দোকান আছে তাই প্রতিদিন বিকেলে বাজারে যাওয়াটা অনেকটাই বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
বাসা থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাজারের দিকে আসতে ছিলাম ঠিক তখনই লক্ষ্য করলাম আমাদের বাড়ির পাশে যে খাল গুলো আছে সেই খাল গুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে উঠছে কারণ একটানা প্রায় তিন ঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে আর এই ভরপুর বৃষ্টির কারণে মাঠে যত পানি জমে ছিল সেই পানি খাল-বিলে নেমে যাচ্ছিল। অনেকদিন ধরে ই সবাই বলছিল আষাঢ় মাস শেষ কিন্তু বৃষ্টির কোন লক্ষণ নেই খাল বিল সব শুকনা তখন এই দৃশ্যটা দেখেই আমার মনে হচ্ছিল মানুষের এই কথাগুলোর উত্তর সৃষ্টিকর্তা এখন আজকের একদিনের বৃষ্টির মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছে। অনেক সময় সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম মাঠ থেকে পানি কিভাবে খাল বিলে ছড়িয়ে যাচ্ছে যদি উপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করেন তাহলে দৃশ্যটা বেশ ভালোভাবে দেখতে পারবেন। অনেক সময় সেখানে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিলাম তাই সময়ের ব্যবধানে একটি ফটোগ্রাফিও করেছিলাম যেটা উপরে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি আর ফটোগ্রাফিতে যে গাছের পাতাগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেটা অবশ্য আমাদের এলাকায় শিশু গাছ নামে পরিচিত।
যাইহোক সেখান থেকে আবার আমি বাজারের দিকে গেলাম সন্ধ্যার পরে যখন চারিদিকে অনেকটাই অন্ধকার নেমে এসেছে তখন বাসায় ফিরছিলাম আর লক্ষ্য করলাম খাল বিল সব একদম সাদা হয়ে গিয়েছে আর ধারণা করতে পারছিলাম আসলে একদিনের বৃষ্টি চারিদিকের পরিবেশটা কিভাবে বদলে দিতে পারে।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | নভেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
এই কয়েকদিন আমাদেরও নেটে খুব প্রবলেম হয়েছে, পুরো পোস্ট করলাম ছবিগুলো খুবই অসাধারণ ছিল বাইকে ঘুরে ঘুরে টাংকি ফুল করে ঘুরে বেড়ানো দারুন ছিল দিনটা যদিও বৃষ্টি খানিকটা বিপাক সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন হলো বৃষ্টির দেখা পাই না আপনাকে দেখা পেয়ে গেলেন কিভাবে? তবে বৃষ্টির মধ্যে বাইক রাইড করতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু এখন যেহেতু শীত চলে আসছে এখন খুব কষ্ট হবে। ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি
এখন তো সবই পুরোনো স্মৃতি।