দিবস নার্সারি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৬ই ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
ছাদবাগানে কয়েকটি গাছ কেনার দরকার ছিল তাই আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম নার্সারিতে গিয়ে কিছু গাছ কিনব। মূলত প্রতি সপ্তাহে কুষ্টিয়া যাওয়া হয় আর কুষ্টিয়া থেকে বাসায় ফেরার পথে নার্সারি থেকে গাছ কেনার প্ল্যানিং আগেই ছিল। নার্সারি টা একদম হাইওয়ে রাস্তার পাশে তাই ফেরার পথে কোন ঝামেলা ছাড়াই নার্সারি থেকে দেখে শুনে ভালো গাছ কেনা যাবে। এরিয়াটা কুমারখালী উপজেলার মধ্যে, আমি বাইক নিয়ে এসে নার্সারির সামনে দাঁড়ালাম। প্রথমত আগে মানিব্যাগ চেক করে নিলাম কারণ সেখান থেকে যেহেতু গাছ কিনতে হবে তাই কি পরিমাণে টাকা আছে সেটা একটু দেখে নিলাম। কেননা কুমারখালীতে গিয়ে আমার আরো কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন ছিল তাই সেই টাকাটা অবশিষ্ট রেখে বাকি যে টাকা থাকবে তার মধ্যে কিছু টাকার গাছ কিনব আর কিছু টাকা অবশিষ্ট রাখতে হবে।
মোটামুটি যে টাকা ছিল সেই টাকা দিয়ে দুই তিনটা গাছ কেনা যাবে এই ভেবে আমি ভেতরে ঢুকলাম, ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম এরিয়া টা অনেক বড়। ভাবলাম যেহেতু গাছ কিনতে এসেছি কিছু ছবি তুলে একটা পোস্ট ও সাজানো যাবে। গিয়ে দেখতে পেলাম গেটের পাশেই গাছের নিচে একটি খাঁচার মধ্যে দুইটা ঘুঘু পাখি রয়েছে। আমি মূলত সেখানকার লোকজনকে খুঁজতেছিলাম কারণ কোন গাছগুলোর কেমন দাম সেটা তাদের থেকেই জানতে হবে। ঘুঘু গুলোর ছবি তোলার পরে লক্ষ্য করলাম নার্সারীর বামদিকে দুইজন লোক কথা বলছে আর কাজ করছে তো আমি ধীরে ধীরে ছবি তুলতে তুলতে তাদের কাছে এগিয়ে গেলাম আর জিজ্ঞেস করলাম কিছু গাছ নিব তার দাম জানতে চাই। তারা তখন বলল দেখুন বিপরীত দিকে ঘরের মধ্যে মালিক আছে সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। মূলত তারা দুজন মালটা গাছগুলোতে পানি দিচ্ছিল আর সার দিচ্ছিল। ছবিতে যে কাজগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো মালটা গাছ আর নিচের ছবিতে যে গাছগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেখানে বিভিন্ন গাছের দৃশ্য রয়েছে।
নার্সারিতে দেখলাম প্রচুর পরিমাণে আমের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে কারণ সামনে বর্ষার মৌসুম আর এই মৌসুমে চারিদিকে প্রচুর পরিমাণে আমগাছ রোপন করা হয় তাই সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমের চারা রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি যেহেতু ছাদ বাগানে কিছু ফুলের গাছসহ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এরকম কিছু গাছ ক্রয় করার জন্য গিয়েছিলাম তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এরকম কিছু গাছ খুঁজতেছিলাম। একজন লোক আমাকে দেখিয়ে দিল নার্সারীর ভেতরের অংশে ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর কিছু গাছ রয়েছে সেগুলো দেখে আমি সেখানে গিয়ে কয়েকটি গাছ দেখলাম। তবে তার মধ্যে কয়েকটি গাছ অবশ্য আমার ছাদ বাগানে এখন রয়েছে তাই তার মধ্যে আমি মাত্র দুটো গাছ পছন্দ করলাম। একটা ঝাউ গাছ আর একটা গাছের নাম অবশ্য মনে নেই তবে দেখতে অনেকটাই সুন্দর। আরো কিছু গাছ নিব তবে যেহেতু বাজেট অল্প ছিল তাই গাছগুলো পছন্দ করেছি আর গাছগুলোর দাম সম্পর্কে অবগত হয়েছি। প্রতিটা গাছের দাম ১২০ টাকা করে চাইল তো আমি দুইটা গাছ নিয়ে ২০০ টাকা দেওয়ার পরে তার কাছে কিছু টাকা ব্যাক চাইলাম সে আমাকে মাত্র দশ টাকা ব্যাক দিল। তিনি বললেন ভাই এই কাজগুলো বাজারে বিক্রি করলে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করি কিন্তু আপনি যেহেতু নার্সারিতে এসেছেন তাই একটু কম দামে দিলাম। আমিও চিন্তা করছিলাম যেহেতু ছাদবাগানে রোপন করার জন্য কিনব সেখানে দাম দর করার কি দরকার। যাই হোক তিনি আমার কাছে কিছুটা সময় চাইলেন আর আমিও বললাম ঠিক আছে আপনি আসতে ধীরে প্যাকেট করে দেন আর সেই সুযোগে আমি নার্সারির পুরো জায়গাটা ঘুরে ঘুরে দেখতেছিলাম আর ছবি তুলতে ছিলাম।
সেখানে অবশ্য অ্যালোভেরা গাছের মতো এক ধরনের গাছ দেখলাম দেখতে অনেকটাই সুন্দর আবার দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে সেটা আনারসের গাছ। তবে গাছগুলোর নাম জিজ্ঞেস করা হয়নি তাছাড়া আরো অনেক রকম গাছ দেখলাম তবে মেইনগেটের সাথেই বিভিন্ন ফুলের গাছ ছিল। গাছগুলো দেখে চিন্তা করতেছিলাম সামনের দিন সাথে একজন লোক আনতে হবে তাহলে অনেকগুলো গাছ একসাথে নিয়ে যাওয়া যাবে। তিনি গাছ গুলোকে সুন্দর করে একটি প্যাকেটের মধ্যে দিয়ে দিলেন আমি সেটা নিয়ে গিয়ে বাইকের সাথে ঝুলিয়ে দিলাম। সাদা পলিথিনের মধ্যে যে গাছ দুটি দেখতে পাচ্ছেন মূলত সেই দুটি গাছ নার্সারি থেকে কিনেছিলাম। তবে যখন বাইক স্টার্ট করব তখন মনে হল নার্সারীর নামটা তো জানা হয়নি তখন আবার ভেতরে গিয়ে নার্সারীর বড় সাইনবোর্ডের ছবি তুলে নিলাম। ছবি তুলে ফেরার পথে আবার গেইটের সাথেই ড্রাগন গাছের দৃশ্য দেখে ছবি তোলার কথা মনে পড়ে গেল তাই সেখানকার ছবিটাও ক্যাপচার করে নিলাম। তারপর বাইক নিয়ে সেখান থেকে রওনা হলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ফেব্রুয়ারি,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নার্সারিটা দেখলাম অনেক বড়। আর প্রথমেই পাখিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এরপর সমস্ত গাছগুলো দেখে এতোটাই ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছিল কিছু গাছ নিয়ে আসি। যাইহোক ছাদ বাগানের জন্য কেনা গাছ নিয়ে বেশি দামদর করেননি জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমি কিন্তু দূর থেকে এই পাখি দেখে প্রথমে কাছে গিয়ে পাখির ছবি তুলেছি কেননা পাখির সৌন্দর্যটা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে।
সত্যি বলতে নার্সারি তে গেলে অনেক ভালো লাগে ৷ বিশেষ করে চারদিকের পরিবেশ প্রকৃতি সেই সাথে নানা রকম গাছ ৷ যা হোক আপনি দিবস নার্সারি তে গাছ কিনতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ আর নার্সারি টা আসলে অনেক বড় ৷ তা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে ৷ ননার্সারিতে থাকা কর্মচারীরা অনেক পরিশ্রম করে ৷ চারা রোপন করে তার পরিচর্যা ৷ আর সেই গাছ কিনে তারপর লাগাই ৷
যা হোক গাছ কিনতে গিয়ে ফটোগ্রাফি সেই অনুভুতি পরে ভালো লাগলো ৷ অসম্ভব সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো ৷
ধন্যবাদ ভাই
ভাই আমার তো মনে হচ্ছিল আমি এই সব গাছ নিয়ে গিয়ে আমার বাড়ির আশপাশে রোপণ করি এবং আমার ছাদ বাগানটাকে পুরোপুরি সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলি।
নার্সারিতে গিয়ে দেখছি অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। প্রথমেই অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘুর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম।সাথে আরো দেখতে পেলাম বিভিন্ন ফলফলের গাছ ও নানা ধরনের ফুলের গাছ।নার্সারি টা বেশ বড় আকৃতির এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় গাছপালা রয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি নার্সারি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই সেখানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুঘুর দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে।