সমস্যার সমাধান || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১১ই ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
জীবন চলার পথে ছোট ছোট অনেক সমস্যা আসে আর সব সমস্যার একটি সমাধান থাকে। তবে এই সমস্যা শব্দটা শুধু মানুষের সাথে হয় এমনটা না। আপনি গাড়ি কিনেছেন সেই গাড়িতেও সমস্যা হতে পারে আবার মোবাইল কিনেছেন সেই মোবাইলেও সমস্যা হতে পারে বলতে গেলে প্রতিটা জিনিসের সাথেই এই সমস্যা শব্দটি জড়িত। তবে সমস্যা যেহেতু আছে অবশ্যই এর সমাধানও আছে। ক্যাপশন দেখে অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন আমি নিজে কোন ব্যক্তিগত সমস্যায় পড়েছি আসলে তেমন না সমস্যা হয়েছে বড় ভাইয়ের ল্যাপটপে। আর এখন সেই সমস্যার সমাধান খুজবো চলুন তাহলে সমাধান খুঁজে আসি।
সন্ধ্যাবেলায় জানতে পারলাম ভাইয়া ভাবীর জন্য ল্যাপটপ কিনতে যাবে আর সাথে একজন বড় ভাইকে নিয়ে যাবে মূলত সেই বড় ভাইয়ের বাইকে আমার চাচাতো ভাই ল্যাপটপ কেনার জন্য যাবে। তারা দুজন আমাকে সাথে যাওয়ার কথা বলল কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে আমি বললাম আমার একটু কাজ আছে কালকে দেখা যাক কি হয়। রাতের বেলায় বড় ভাই বলল চলো কালকে যাই তুমি ইচ্ছা করলেই ব্যস্ততা ম্যানেজ করে নিতে পারবে তখন আমি বললাম আচ্ছা ভাইয়া চেষ্টা করব। ভাইয়া তখন বলছিল আরে যেতে পারবে সমস্যা নাই মন থেকে বল তাই হবে, এই কথা বলার পরে মনে মনে চিন্তা করলাম আসলেই যাওয়া দরকার। ভাইয়া আগে থেকেই বলল সে অফিসে চলে যাবে আমরা যেন দুপুর ১২ টার পরে বাসা থেকে বের হয়ে তাকে অফিস থেকে নিয়ে কুষ্টিয়া যাই আর কুষ্টিয়া গিয়ে আমরা ল্যাপটপ দেখব। দুপুর বারোটার দিকে বড় ভাইয়ের সাথে দুইজন দুইটা বাইক নিয়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমার চাচাতো ভাই আবার মেহেরপুর শাখা থেকে খোকসার শাখায় বদলি হয়েছে তাই তার অফিসে দেখতেও যাওয়ার কথা। আমরা যাওয়ার পরে সে আমাদেরকে বলল কিছু সময় বসো আমার হাতে একটু কাজ আছে আমি কাজটা কমপ্লিট করে নিই। তাছাড়া সে অফিস থেকে চলতি মাসের স্যালারি নিবে যার কারণে কিছু কাগজ ম্যানেজারের দিয়ে সিগনেচার করানোর দরকার ছিল। পর্যায়ক্রমে সব কাজ কমপ্লিট করে চলতি মাসের স্যালারি ব্যাংক থেকে তুলেই আমরা রওনা হলাম । আর সোজা কুষ্টিয়ার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এম এস কম্পিউটারে গিয়ে কয়েকটি ল্যাপটপ দেখলাম তাছাড়া সাথে যে বড় ভাই ছিল তার ল্যাপটপের স্পিকারে প্রবলেম হয়েছিল সেটা ঠিক করিয়ে নিলাম। ল্যাপটপ ঠিক করানোর সময় দোকানদার বলছিল আপনারা যদি কুষ্টিয়া থেকে না কিনে খুলনা থেকে ল্যাপটপ কিনেন তাহলে হয়তো দুই তিন হাজার টাকা কমে পাবেন। যেহেতু ভাবির ট্রেনিং এর জন্য ল্যাপটপ লাগবে আর ভাবি বর্তমানে খুলনাতে রয়েছে তাই ভাইয়া ডিসিশন নিল সে খুলনা গিয়েই ল্যাপটপ কিনবে। ছবিতে যে ল্যাপটপ দেখতে পাচ্ছেন সেটার স্পিকার পরিবর্তন করা হয়েছে আর শুধুমাত্র স্পিকারের দাম নিয়েছিল ১২০০ টাকা। যদিও সেখানে অনেক সময় বসে থাকতে হয়েছিল তবে অনেক সময় পরে সেই কাজ কমপ্লিট হওয়ার পরে আমরা সেখান থেকে রওনা হই।
পরবর্তীতে আমরা আবার বিআরটিএ অফিসে গেলাম। আমাদের সাথে যে বড় ভাই গিয়েছিল তার বাইকের স্মার্ট কার্ড আসছে কিনা সেটার খোঁজ নেওয়ার জন্য তিনি ভেতরে গেলেন। তিনি ভিতরে গিয়ে জানতে পারলেন বাইকের স্মার্ট কার্ড আসতে অনেক দেরি হবে তাই তার কাগজের মেয়াদ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিল। যেহেতু অফিসিয়াল কাজ অনেক সময় একটু দেরি হয় তাই আমি আশপাশের এলোমেলো ছবি তুলতে লাগলাম অবশ্য আমার চাচাতো ভাই বলছিল তারা নাকি প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে কাজ শেষ হলেই আমরা গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব। তবে অফিসের কাজে একটু দেরি হওয়ায় তার পাশেই নাম করা জাহাঙ্গীরের হোটেলে গিয়ে আপাতত দুপুরের লাঞ্চ শেষ করলাম। তবে ভাইয়ের বদলি উপলক্ষে রেস্টুরেন্টে নিয়ে আমাদেরকে স্পেশাল ট্রিট দেয়ার কথা ছিল, বাড়তি কাজের প্রেসার পড়ে যাওয়ার কারণে রেস্টুরেন্টে গেলে দেরি হবে বলে আর যাওয়া হয়নি আপাতত দুপুরের খাবারটা সেখান থেকেই সেরে নেওয়া হয়। খাওয়ার সময় বলছিল আজকে তো হালকা-পাতলা ট্রিট দিলাম ল্যাপটপ কেনার পরে বড় আকারে ট্রিট দিবো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ভাইয়াকে আমরা বিদায় জানালাম কারণ সাড়ে চারটার সময় তার খুলনাগামী ট্রেন ছিল।
আমি সেখান থেকে সোজা আমার বাইকের একটু সমসসা ছিল সেটা সমাধান করার উদ্দেশ্যে শোরুমে আসলাম। শোরুমে বাইকের সমস্যার কথা জানানোর পরে তারা আমাকে সার্ভিস পয়েন্টে পাঠালো। বাইকের মিটারে ইঞ্জিন চেকারের সিগনাল টা কয়েক দিন ধরে জ্বলেছিল আর সেখানে নেওয়ার পরে জানতে পারলাম মিটারটা আপডেট করাতে হবে। তারা বলল যদি আপনার বাইকের ফ্রি সার্ভিস এর মেয়াদ থাকে তাহলে আমরা এটা ফ্রি আপডেট দিয়ে দিব আর যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তাহলে ১০০০ টাকা লাগবে। ভাগ্য অনেক ভাল ছিল যে সামনের ২৭ তারিখেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাই ফ্রি আপডেট দিয়ে নিতে পারলাম। মিটার আপডেট করার পরে আরো কিছু ছোটখাটো কাজ ছিল সেগুলো সেরে নিলাম এবং বাইক একটু চালিয়ে দেখলাম সব ঠিকঠাক আছে নাকি। সেখান থেকে কাজ কমপ্লিট করে কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আসলাম।
সেখানে একজন মামা চাকরি করে আর আমরা সবাই একসাথে বাড়ি যাব বলে সেখানে আসলাম তবে সেদিন বৃহস্পতিবার ছিল বলে একটু অফিসে কাজের প্রেসার বেশি ছিল তাই মামার বের হতে একটু দেরি হয়েছিল। মামার কাজ শেষে বের হওয়ার পরে প্রথমেই এসে আমাদেরকে বলল তোমাদের অনেক অপেক্ষা করতে হলো আমার জন্য। পরবর্তীতে মামা আবার সন্ধ্যাবেলায় আমাদেরকে আবার ট্রিট দিল যদিও সেটা বাড়ির পাশে এসে। পরবর্তীতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সবাই যার যার বাসায় ফিরে আসি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | আগষ্ট,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এক সাথে অনেক গুলো সমস্যার সামাধান করলেন। যে জিনিষ ব্যবহার করা হয় না কেন সে জিনিষই নষ্ট হয়। এটা একটি স্বাভাবিক পক্রিয়া। আর একটি বিষয় হলো কুষ্টিয়া থেকে যেমন খুলনাতে ২/৩ হাজার টাকা কম দিয়ে ল্যাপটপ পাবেন। আবার খুলনা থেকে ঢাকা তে কিছু কম পাবেন। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ সব দিক বিবেচনা করেই আমরা সবাই পিছিয়ে গেলাম আর ভাইয়াও বলল খুলনা থেকেই ল্যাপটপ নিব। পরে খুলনা থেকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ল্যাপটপ কেনা হয়েছে।