হঠাৎ ছুটে চলা || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৭শে আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন ক্যাপশন এর সাথে ছবিগুলোর কেন মিল নেই আসলে ছবিগুলোর সাথে ক্যাপশন এর মিল না থাকার কারণ হুট করে আমি এক কাজে গিয়েছিলাম আর সেখানে গিয়েই এই ছবিগুলো তোলা আর সেই আঙ্গিকে পোস্ট সাজানো। তবে সবকিছুই আস্তে ধীরে বলবো আগে পোস্ট পড়া শুরু করুন ধীরে ধীরে সব বুঝতে পারবেন। দুপুরবেলায় হঠাৎ একটি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে, তো সাধারণত অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলে সালাম দিয়ে বেশ ভালোভাবে সম্মান দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। কথা বলার পরে জানতে পারলাম তিনি থানা থেকে আমাকে ফোন দিয়েছেন আর একটা ভেরিফিকেশন এর জন্য কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে আমাকে বিকেল বেলায় থানায় যেতে হবে। কিছু ডকুমেন্ট রেডি ছিল না আমি সেগুলো বিকেলের মধ্যেই রেডি করে নিয়েছিলাম। ঠিক বিকেল বেলায় আমি ডকুমেন্টগুলো রেডি করে খোকসার দিকে রওনা হলাম। আমি ভেবেছিলাম থানায় গিয়েই তার কাছে কাগজগুলো জমা দিয়ে খুব দ্রুত চলে আসব কিন্তু ভাবলাম তাকে একবার ফোন দেওয়া দরকার হঠাৎ করে যাচ্ছি সে তো অন্য কাজে বাইরে যেতে পারে। অর্ধেক পথ পার হওয়ার পরে আমি তাকে ফোন দিলাম তিনি তখন বললেন আমি তো একটু বাইরে আছি আপনি অনুগ্রহ করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন দোকানে বসে একটু চা খান আমি খুব দ্রুত চলে আসব।
আমি তখন বাইক নিয়ে একটু ধীরে ধীরে যেতে থাকলাম কেননা লোকটি যেহেতু আমাকে একটু অপেক্ষা করতে বলেছে সেহেতু সেখানে গিয়ে বসে বসে অপেক্ষা করতে ভাল লাগবে না। ধীরে ধীরে বাইক চালিয়ে গেলে তাও একটু সময় পার হবে। যাইহোক তারপরও সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পরে তাকে আবার ফোন দিলাম সে আমাকে বলল আমার আসতে আরো আধা ঘন্টা লেট হবে আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করুন। তখন ভাবলাম এখানে বসে না থেকে নদীর পাড়ে গেলে বেশি ভালো হবে কেননা খোকসা শহরটা গড়াই নদীর পাশেই অবস্থিত। তাছাড়া গড়াই নদীর উপরে একটি জায়গা আছে যেটা স্থানীয় এলাকায় হাওয়া ভবন নামে পরিচিত আর সেখানে বসে সবাই চায়ের আড্ডা বেশি উপভোগ করে। তো আমিও ভাবলাম সেখানে গিয়ে বসে বসে চা খাওয়া যাবে। তারপরও আকাশটা কিছুটা মেঘলা ছিল এই মেঘলা আবহাওয়ায় ঠান্ডা বাতাসে নদীর তীরে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা হবে তাই দেরি না করে সোজা চা খেতে চলে গেলাম। সেখানে পুরোটা বিকেলে অনেক লোকজনের প্রেসার থাকে বলতে গেলে চা খেতে গেলে সেই মামার কাছে সিরিয়াল দিতে হয়। তো আমিও সেখানে গিয়ে চায়ের অর্ডার করলাম তিনি বললেন একটু অপেক্ষা করতে হবে বাবা। আমি তোকে বললাম সমস্যা নাই অপেক্ষা করছি তবে আপনি একটু চিনি কম দিয়ে লিকার বেশি দিয়ে দারুন একটি চা দিবেন। এই কথা বলে আমি আবার নদীর পাড়ে গিয়ে বসলাম।
যেহেতু দোকানদার মামা আগেই বলে দিয়েছিল একটু সময় লাগবে তাই আমিও তাকে বলেই এসেছিলাম সমস্যা নাই আমি বসতেছি নদীর পাড়ে। সেখানে অনেকগুলো চেয়ার রাখা ছিল আর এই হাওয়া ভবনে যারা চা খেতে আসে তারা সেই চেয়ারগুলো নিয়ে বসে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য উপর থেকে উপভোগ করে। আমি সেখানে বসে নদী থেকে আসার ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছিলাম আর নদীর দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা দেখছিলাম অনেকেই নৌকা নিয়ে নদী পার হচ্ছিল আবার অনেকেই খেয়াঘাটের মাধ্যমে নদী পার হচ্ছিল। সেখানে বসে আগে থেকেই চিন্তা করেছিলাম যে এই পুরো কাহিনীটা নিয়ে একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাই কিছু এলোমেলো ছবিও তুলেছিলাম সেই সাথে ভেবেছিলাম পোস্টে নিজের একটি ছবি শেয়ার করা দরকার তাই যেমন তেমন একটি ছবিও তুলেছিলাম। উপরের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আকাশে কতটা মেঘ জমেছিল আর আমি যেখানে বসেছিলাম তার বাম পাশে একটু বেশিই মেঘ জমে ছিল হয়তো সেদিকে বৃষ্টি হচ্ছিল। যদিও তার ঠিক ডানপাশে এবং আমি যেখানে বসেছিলাম তার ঠিক সামনাসামনি লাল মেঘ ছিল যেটা ছবিগুলোর সৌন্দর্য আরো বেশি ক্লিয়ার করেছে।
কিছু সময় পরেই চায়ের দোকানদার মামা সোজাসুজি আমার কাছে চলে আসলো আর বললেন আপনার হালকা চিনি দিয়ে লিকার বেশি চা। সেখানকার চা আমি এর আগেও অনেকবার খেয়েছি কেমন যেন আলাদা একটা টেস্ট পাওয়া যায়। যাই হোক প্রথমে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই সেই টেস্ট বা ঠান্ডা বাতাসে নদীর পাড়ের সেই দারুন একটা ফিল সেটা প্রথমেই পেয়ে গেলাম। প্রথম চুমুকেই বুঝতে পারলাম একদম পারফেক্ট চা। বসে বসে চায়ের স্বাদ নিছিলাম হঠাৎ মাথায় এলো চায়ের কাপ কেন্দ্র করে ছবি তোলা, যদিও এই ছবি তোলাটা ফেসবুক থেকে একটি ভিডিও দেখে আইডিয়া হয়েছিল তবে হঠাৎ করেই তখন আইডিয়াটা মনে পড়ে গিয়েছিল। আবার সাথে বাইক ছিল এজন্য বাইক নিয়েও চায়ের কাপের ছবি তুলেছিলাম যদিও একটি ফটোগ্রাফি পর্বে এই ধরনের ছবি শেয়ার করেছিলাম তবে সেটা ছিল ভিন্ন ছবি যদিও দেখতে কিছুটা একই রকম। যাইহোক বসে বসে ছবি তোলার পাশাপাশি চায়ের টেস্ট উপভোগ করলাম এবং চা শেষ করার পরপরই থানা থেকে আবার ফোন করে আমাকে দেখা করতে বলল। আমি চায়ের বিল পরিশোধ করে আবার সোজা থানায় গিয়ে আমার কাজগুলো কমপ্লিট করে কাজ বাবদ আবার পুলিশকে কিছু টাকাও দিলাম যাতে আমার কাজটা দ্রুত কমপ্লিট করে দেয়। আপাতত কাজগুলো কমপ্লিট করে সোজা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আর আমার কাজের প্রেসারও শেষ হলো।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | অক্টোবর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
বিশেষ প্রয়োজনে কখন কার কোন দিকে চলতে হয় কেউ জানে না। তবে চলতি পথে আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। যেহেতু খোকসার উদ্দেশ্যে আপনার যেতে হয়েছিলেন, তাই সেই পথ থেকেই নদীর পাড়ের সুন্দর কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি চা খাওয়ার সুন্দর অনুভূতিটাও তুলে ধরেছেন দেখছি। অনেক সময় চা খেতে গেলে লক্ষ্য করা যায় চা টা যদি ভালো হয় মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়। যাইহোক সব মিলে দারুন একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছুটে চলা অনেক ভালো , আসলে মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে সব সময় ছুটে চলতে হয়।আপনি নদীর পাড়ে বসে অনেক স্বাদের এক কাপ চা খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। যাইহোক পুলিশের এটা ধর্ম টাকা দিলে কাজ তারাতাড়ি করে দেয়।যাক টাকা দিয়ে কাজটি করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন পুলিশ এর ধর্ম টাকা ছাড়া কাজ করে না।
এভাবে ছুটে চললে অনেক ভালো সময় যেমন উপভোগ করা যায়, তেমনি নিজেরও বেশ কিছু কাজ হয়ে যায়। আপনি আপনার প্রয়োজনে বাহিরে বের হয়েছিলেন। কিন্তু ওই লোকটা বলেছিল আরো দেরি হবে উনার আসতে, তাই আপনি নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন এবং তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চা খেয়েছিলেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই জায়গাটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন।
আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর।
এরকম ছুটে চলতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর কাজের ফাঁকে যদি এরকম ভাবে ঘুরাঘুরি করা হয় তখন তো আরো বেশি ভালো লাগে। নদীর এরকম সৌন্দর্য দেখে আমি তো একেবারে হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই সৌন্দর্যের মাঝে। যাইহোক সব শেষে আপনার কাজ কমম্পিট হয়েছিল এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
তাহলে আমাদের এলাকায় ঘুরতে আসুন ভাইয়া।
সোজা বাংলা ভাষায় ঘুষ দিলেন হা হা। জীবন মানেই ছুটে চলা। আর হঠাৎ ছুটে চলার মধ্যেও আলাদা একটা আনন্দ আছে। বিকেল মুক্ত আকাশ সামনে প্রশস্ত নদী এবং চা সবমিলিয়ে অসাধারণ। এমন পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এই জায়গা টাই বসে আমিও বেশ কয়েকবাল চা খেয়েছি।
আসলেই ৮০০ টাকা ঘুষ দিয়েছি।
যদিও হঠাৎ ডকুমেন্ট গুলো জমা দিতে গেলেন। কিন্তু সাথে চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করলেন। বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া আকাশটাও দারুণ ছিল। সেই সাথে এমন মজার চায়ে যদি চুমুক দেওয়া যায় তাহলে অসাধারণ হয়। পুরো গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লাগলো।
নদীর পাড়ে মাঝে মাঝেই যাওয়া হয়।