নতুন অতিথি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২১শে আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
কোন পরিবারে সুখের বন্যা বয়ে যায় যখন পরিবারের একজন নতুন সদস্যর আগমন ঘটে। সেটা যদি নবদম্পতির ক্ষেত্রে ঘটে থাকে তাহলে সেটা তো আরো বেশি আনন্দের হয়। আজকে হঠাৎ এই কথা বলছি কেন সবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। আমার বড় বোনের মেয়ে হয়েছে আর আমিও নতুন করে আবার মামা হয়েছি। আজকে সেই কথাগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গত চার দিন আগে ফুপাতো বোনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে। আর আমার ফুফাতো বোনের সাথে আমাদের সম্পর্কটা একদম হুবহু আপন ভাই বোনের মত যে কোন সমস্যা হলেই আমি আপন ভাইয়ের মত তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি যদিও আমার ফুফাতো বোনদের কোন ভাই নেই আমিই তাদের একমাত্র ভাই। যেহেতু আমি তাদের একমাত্র ভাই আর সেহেতু নিজের কাঁধে তো বিপদের সময় একটু প্রেসার আসবে এটা স্বাভাবিক। এক তারিখে বড় আপুর সিজারের ডেট ছিল আর ও পজেটিভ ব্লাড ম্যানেজ করার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজখবর নিলাম এবং দুজনকে ঠিক করলাম। তবে আমি যাদেরকে ঠিক করেছিলাম তাদের আর দরকার পড়েনি কারণ বড় আপুও একজনকে বলে রেখেছিল।
রাতের বেলায় সিজার হওয়ার কথা ছিল তাই আমি ভেবেছিলাম বিকেলবেলা বের হব কিন্তু বিকেল থেকেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল তাই বড় আপু ফোন করে বলল বৃষ্টির মধ্যে কষ্ট করে আর আসতে হবে না ব্লাড ম্যানেজ হয়েছে। আমি যেন পরের দিন সকাল সকাল যাই। যদিও আমি পুরোপুরি রেডি হয়ে প্রস্তুত নিয়েছিলাম যে এখন বের হব তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে আর বের হতে পারিনি। যদিও সেখানে অনেক কাজ ছিল তবে তারপরেও সবাই ম্যানেজ করে নিয়েছিল যদিও পরবর্তীতে আমি যাওয়ার পরে বলেছিল বিকেলে যদি আসতাম তাহলে সবার একটু কমতো। যাই হোক সন্ধ্যার সময় মেজ আপু আমাকে ফোন দিল এবং বিস্তারিত সবকিছু বলল আর রাতের বেলায় বাবুর ছবি দিল আমার কাছে। আমি তাকে বললাম আমি সকালবেলায় চলে আসবো। সকাল বেলায় গিয়ে প্রথমেই বাবুর ছবি তুলেছিলাম, আমি যখন ছবি তুলছিলাম সে তখনও প্রায় ঘুমের মাঝেই আছে এক চোখ বন্ধ করে আমার দিকে তাকাচ্ছে। অন্য দিকে সাওফা মামা মামা করে অস্থির যাইহোক তাকে নিয়ে আবার বাসায় গেলাম।
বাসায় গিয়ে সাওফাকে ফুফির কাছে দিলাম আর নিজের খাওয়া দাওয়া করে নিলাম কেননা আমি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার দুপুরের খাবার নিয়ে যাব হাসপাতালে। খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে খাবার নিয়ে হাসপাতালে গেলাম তারপরে দুলাভাই আর আমার ছোট চাচা আবার বাসায় গোসল খাওয়া-দাওয়া করার জন্য আসলো তখন আমি আর বড় ফুফি হাসপাতালে ছিলাম। স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে আবার একজন নার্সকে ডাকলাম তখন তিনি ভিতরে গিয়ে সেগুলো খুলে দিচ্ছিল আর আমি বাইরে বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম। কোন কাজ না পেয়ে নিজে নিজেই ছবি উঠছিলাম। আর অপেক্ষা করছিলাম নার্স বের হলেই ভেতরে গিয়ে আবার বাবুকে একটু কোলে নিব তবে সে খুবই শান্ত সৃষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে কারণ সব সময় চুপচাপ ঘুমের মাঝেই থাকে।
সকাল থেকেই আকাশটা বেশ মেঘলা ছিল মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছিল আবার মাঝে মাঝে রোদ বের হচ্ছিল। মেঘ দেখে ভাবছিলাম হয়তো বৃষ্টি হবে তবে সেটা ভাবতে ভাবতেই আবারও বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। কিছু সময় মোটামুটি বেশ ভালই বৃষ্টি হলো আর আমিও বৃষ্টি উপভোগ করার জন্য রুম থেকে আবার বারান্দায় চলে আসলাম। তাছাড়া নিচে বাইক রেখেছিলাম সেটা বারান্দা থেকে দেখছিলাম। কুষ্টিয়া ট্রমা সেন্টার হাসপাতাল নতুন হয়েছে যদিও এটা বেসরকারি হাসপাতাল তবে এখানকার ফ্যাসিলিটিজ বেশ ভালো মনে হয়েছে। আসলে বড় আপু নিজেও ডাক্তার এজন্য কোন হাসপাতালে কেমন ফ্যাসিলিটিজ সেটা সে নিজে জানে এ জন্য এখানে শিফট হয়েছে।
আমি বাইরে বসে অনেক সময় বৃষ্টি দেখলাম যদিও বৃষ্টিটা বোধহয় ২০ মিনিট মতো সময় ধরে হয়েছিল। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও আকাশটা কেমন যেন ঘোলাটে ছিল মনে হচ্ছিল আবারো বৃষ্টি নামবে। ভেতর থেকে আবার আমাকে আরেকটি কাজে পাঠানো হলো, আমি নিচে গিয়ে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার নিয়ে আসলাম কারণ ফুপি ব্যস্ততার কারণে দুপুরের খাবার খেতে পারেনি তাই পানি নিয়ে যাব তারপরে খুবই হাসপাতালে বসে দুপুরের খাবার খাবে। পানি নিয়ে যাওয়ার পরে ফুপি বলছিল কালকে আসলে অনেকটাই বেশি ভালো হতো, ফুপা, নফল রোজা করছে তাই তিনি সারাদিন রোজা থেকে সন্ধার পরে আর আসতে পারেনি কোন দিকে ছোট চাচা রক্ত নিয়ে আসার জন্য সদর হাসপাতালে গিয়েছে আর দুলাভাই ডাক্তারের লেখা কিছু ঔষধ নিয়ে আসতে পাশের ওষুধের দোকানে গিয়েছিল তখন সেখানে কোন ছেলে মানুষ ছিল না। যাইহোক বলছিলাম যা হয়েছে হয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে এটাই আলহামদুলিল্লাহ।
কিছু সময় গল্প করার পরে বাইরে দেখলাম আবহাওয়াটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। দুলাভাই এবং ফুফা দুজনের বাসা থেকে আসলো আর আমিও সেখানেই ছিলাম। সবাই অনেক সময় সেখানে কথা বললাম। যখন প্রায় বিকেল গড়িয়ে আসলো তখন আমি ভাবলাম এখন বাসার দিকে যেতে হবে। সবার সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় পাঁচটা বেজে গেল। শেষ বেলায় বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় বাইক নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। তবে কিভাবে যে পকেট শূন্য হয়ে গিয়েছিল সেটাই বুঝতে পারিনি, আসলে ছোট ভাইয়ের একটু জ্বর জ্বর ভাব তার জন্য কিছু ফলমূল কিনে তাকে দিয়ে এসেছি এজন্য টাকা অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সবশেষে এসে ব্রিজঘাটে টাকা দেয়ার মত কিছু ছিল না তাদেরকে কথাটা বলায় আমাকে ছেড়ে দিল আমিও সোজা বাসায় ফিরে আসলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | অক্টোবর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
পরিবারে নতুন অতিথি আসলে আনন্দের শেষ থাকে না। আপনার আপু এবং বাচ্চার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আপনার ফুফাতো বোনদেরকে আপনি আপন বোনের চোখে দেখেন এবং তারাও আপনাকে আপন ভাইয়ের চোখে দেখে, এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। আপনি ওনাদের পাশে এই সময়টাতে বেশ ভালো সাপোর্ট দিয়েছেন,এটা বলতেই হয়। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ফ্যামিলিতে নতুন অতিথির আগমন হলে তার থেকে আনন্দ আর কিছুতেই হয় না। তেমনি আপনিও মামা হয়েছেন জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার ফুফাতো বোনের বাবুটা মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর। দোয়া করি সে যেন দীর্ঘায়ু হয়। এবং বড় হয়ে ভালো কিছু করতে পারে। তার জন্য রইল আমার তরফ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা এবং অভিনন্দন।
ঘরে নতুন অতিথি আসলে তখন আর আনন্দের সীমা থাকে না। তখন সবাই আনন্দে মেতে ওঠে এবং নতুন অতিথিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আপনার ফুপাতো বোন হলেও নিজের বোনের মতো একেবারে এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে। মাশাল্লাহ্ আপনার ফুফাতো বোনের বাবু কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো
বাবুটা তো মাশাল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক দোয়া রইলো তার জন্য। ফ্যামিলি তে নতুন কারো আগমনের সংবাদ টা আসলেই আনন্দের। সেদিন কি তাহলে এই বাবুর কথাই বলেছিলেন? বাবুর নাম কি রাখলেন?
সত্যি বলেছো নতুন অতিথি আসলে আনন্দে সীমা থাকে না।বন্ধু তোমার ফুফাতো আপুর মেয়ে হয়েছে এজন্য ভালো লাগলো। বন্ধু তুমি এত মামা হয়ে গেলে তাহলে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আসলে এখন মামা ও ফুফিদের সাথে ভালাে সম্পর্ক দেখা যায়না তেমন একটা। সব জায়গায় আত্মীয় ছিন্ন থাকে। তবে আপনাদের সম্পর্ক দেখে বেশ ভালো লেগেছে। নতুন অতিথির জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আর কোথাও বের হলে পকেন শূকর নিয়ে ঘরে পেরা হয় আমারো।
তাহলে তো মামা হয়ে গেলেন আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে। ঠিক বললেন পরিবারে যখন ছোট সদস্য আসেতখন সবাই একটু অনেক আনন্দ থাকে। যাক আপনার ফুফাতো বোনের বাচ্চা হল আপনিও মামা হয়ে গেলেন। অবশেষে কিন্তু ব্লাড জোগাড় করে ফেললেন। ভালোভাবে সব কাজ মিটিয়ে গেল। সবার জন্য শুভকামনা রইল এবং মা ও সন্তান দুজনের জন্য দোয়া রইল।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন নতুন সদস্য পৃথিবীতে আসলে আনন্দের বন্য বয়ে যায়। আর সেটা যদি হয় নবদম্পতির ঘরে তাহলে সেটা আরো আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। আপনার ভাগনির জন্য দোয়া রইল। আশা করা যায় অনেক সুন্দর আর কিউট হবে। ধন্যবাদ।