বিচার চাই (পর্ব-০১)|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৮ই ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি যার কারণে কয়েক দিন ধরে নিয়মিত পোস্ট করতে পারছি না অনেকটাই এলোমেলো হয়ে পড়েছি। আজকের দিনটাও এলোমেলো ভাবেই পার করেছি তারপরেও এখন আপনাদের সাথে একটি ছোট্ট গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করব। এখন প্রথম পর্বটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আর প্রথম পর্বে কিছু আকর্ষণ রাখার চেষ্টা করব কেননা প্রথম পর্বের আকর্ষণ থাকার ফলে দ্বিতীয় পর্ব পড়ার প্রতি পাঠকের আলাদা একটা আগ্রহ থাকবে।
ছোট একটি গ্রামে মধু বসবাস করত। মধুর বয়স তখন সবেমাত্র পাঁচ বছর। মধুর বাবা বিদেশ থাকতো। মধুর বাবা বিদেশ থাকার কারণে তাদের বাড়িতে তেমন শক্ত কোন গার্জিয়ান ছিল না আর তাদের বাড়িতে মধু মধুর মা আর মধুর ছোট ভাই থাকতো। সেই সময় মধুর ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র ৬ মাস। ওদের বাড়ি ছিল পাকা বাড়ি, চারিদিক থেকে দেয়াল গাঁথা এবং শক্তপোক্ত গেট লাগানো। যেহেতু মধুর বাবা বিদেশ থাকতো আর তাদের বাড়িতে তেমন কোন পুরুষ লোক ছিল না তাই মধুর বাবা বাড়ির চারপাশ দেয়াল গেথে দিয়েছিল এবং সবদিকে গেট লাগিয়ে দিয়েছিল। সাধারণত গ্রামের বাড়িতে দিনের বেলায় বেশিরভাগ সময় গেট খোলা থাকে তেমনি একদিন বিকালে মধুর মা রান্না করছে। হঠাৎ একজন মহিলা বোরকা পরা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। মহিলাটি এসে প্রথমে মধুর মায়ের কাছে পানি চাইল। পর্দাশীল মহিলাটিকে দেখে মধুর মা নতুন গ্লাসে তাকে পানি পান করতে দিল। মহিলাটি অনেক তৃষ্ণার্ত ছিল যার কারণে মধুর মা তাকে পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পানি শেষ করে ফেলল। তারপর সে মধুর মাকে বলল কাল সকালে আমার ট্রেন আছে আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমাকে আপনার ঘরে একদিন থাকতে দিন। মধুর বাড়িতে বাইরের কোন লোকজন থাকত না তাই মধুর মা ভাবল মহিলাটি বিপদে পড়েছে যার কারণে একদিন থাকতে চাইছে। মানবিক কথা চিন্তা করে মধুর মা মহিলাটিকে থাকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
মহিলাটি মধুর মাকে বলছিল শুধু আজকের রাতটুকু থেকে কাল ভোরবেলায় আমার ট্রেন আছে। সেই ট্রেন ধরে আমি চলে যাব। যেহেতু মহিলাটি বিপদে পড়েছিল এবং মধুর মায়ের কাছে অনুরোধ করছিল তাই মধুর মা থাকতে দেয়। রান্না শেষ হওয়ার আগেই অতিথি আপ্যায়নের জন্য মহিলাটির জন্য রাতের খাবার রান্না করে। মোটামুটি মধুর মায়ের যতোটুকু সাধ্য ছিল সে রকম ভাবেই রাতের বেলায় মেহমানকে আপ্যায়ন করল। এরপর মহিলাটি মধুর মাকে বলল আমি একা থাকতে পারবো না রাতের বেলায় আমার খুব ভয় করে। কিছু মনে না করলে আপনি আমাকে আপনার সাথে থাকতে দিন। তখন মধুর মা মহিলাটিকে বলে আচ্ছা সমস্যা নেই আপনি বোরকা খুলুন কিন্তু সেই মহিলাটি বোরকা খুলে না। নানা অজুহাত দেখিয়ে বলতে থাকে কালকে ভোর বেলায় তো চলেই যাব এখন আর বোরখা খুলে কি হবে। মধুর মা ভাবতে থাকে হয়তো মহিলাটি অনেক ধার্মিক এইজন্যই বোরখা খুলতে চাইছে না এই ভেবে মধুর মা মধু ও মধুর ছোট ভাই আর সেই মহিলাটি একই রুমে ঘুমায়। রাতের বেলায় জানালা দরজার সহ বাইরের গেট গুলোতেও তালা দেওয়া থাকে। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ মাঝ রাতে মধুর ছোট ভাই কান্না শুরু করে।
অন্যদিনের মতো একইভাবে মধুর মা মাঝ রাত্রে মধুর ছোট ভাইয়ের জন্য দুধ গরম করতে রান্নাঘরে যাবে তাই সে রুমের লাইট অন করে। সাধারণত ছোট্ট বাচ্চাদের রাতের বেলায় দুধ গরম করে খাওয়াতে হয়। তেমনি মধুর ছোট ভাইকে তার মা দুধ গরম করে খাওয়ানোর জন্য লাইট অন করে দেখে অচেনা মহিলাটি মধুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। লাইটের আলোয় দেখতে পায় তার বোরকা উপরে উঠে আছে তখন তাকে দেখে মধুর মা বুঝতে পারে যে আসলে তিনি একজন পুরুষ মানুষ। অর্থাৎ যে বোরখা পড়া মহিলাটি বিকেলবেলায় তাদের বাসায় গিয়েছিল সে মেয়ে মানুষ নয় সে ছিল একজন পুরুষ মানুষ। মেয়ে মানুষের ছদ্মবেশে তাদের বাসায় ঢুকেছে। এই দৃশ্য দেখার পরে মধুর মা হুট করেই সিদ্ধান্ত নেয় সে গ্রামের লোকজনকে ডাকবে। মধুর মা তার ছোট ভাইকে নিয়ে রুমের বাইরে যায় এবং বাইরে থেকে দরজা লক করে দেয়। যখন মধুর মা গ্রামের লোকজনকে ডাকতে বাইরে যাবে তখন দেখে তার গেটের সামনে ২০ জন ডাকাত ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই দৃশ্য দেখার পরে মধুর মা আরো ভয় পেয়ে যায় । তখন বুঝতে পারে এই ডাকার দলের সদস্যের একজন তার ঘরের মধ্যে শুয়ে আছে। মাঝরাতে এমন পরিস্থিতিতে মধুর মা কি করবে সেটা বুঝতে পারছিল না। অন্যদিকে ছোট্ট মধু ডাকাত দলের সদস্য এর সাথে রুমের মধ্যে আটকা পড়েছিল।
এই পর্ব এখানেই শেষ করছি। মাঝরাতে মধু আর মধুর মায়ের সাথে কি ঘটনা ঘটেছিল সেটা জানতে চাইলে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন। তত সময় সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1694391423368663356?s=20
ভাইয়া গল্পটা এমন জাগায় নিয়ে শেষ করলেন পরের পর্ব টা না পড়লে মরেও শান্তি পাবো না। আশা করি মধুর মা আর মধুর সাথে রাতে কি হয়েছে সেটা খুব তারাতারি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
আজকে শেয়ার করেছি ভাই, এখন গিয়ে পড়তে পারেন।
বিচার চাই গল্পটার প্রথম দিকে পড়তে যদিও ভালো লাগছিল, তবে শেষের দিকটা পড়ে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছি। এখানে তো দেখছি বোরকা পড়া সেই মহিলাটি হচ্ছে একজন পুরুষ। এবং কি ডাকাত দলের একজন সদস্য। আমি তো ভাবছি এখন মধুর মা কি করবে এবং তাদের সাথে কি ঘটতে চলেছে। আশা করছি আপনি দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। পরবর্তী পর্বটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে গল্পের মধ্যে আগ্রহ থাকলে পরবর্তী পর্ব সবাই পড়তে চায়। শেয়ার করেছি আপু এখন পড়তে পারেন।
আপনার লেখা গল্পগুলো পড়তে আমি খুবই পছন্দ করি। অন্য দিনের মতো আজকের লেখা গল্পটির প্রথম পর্ব ও আমার কাছে পড়তে খুব ভালো লেগেছে। মধুর মা ভেবেছিল ওই মহিলাটি হয়তো পর্দাশীল তাই বোরকা খুলেনি। কিন্তু বোরকার ভেতরে লুকিয়ে ছিল একজন পুরুষ মানে ডাকাত দলের সদস্য। এতগুলো ডাকাত, আর মধুর মা একা, সেই সাথে মধু ডাকাত দলের সদস্যের সাথে আটকা পড়েছে। এখন তাদের সাথে কি হবে এটা ভাবতেই কিরকম। পরবর্তী পর্বে তাহলে জানতে পারবো তাদের সাথে কি হতে চলেছে।
হ্যাঁ মধুর মা আসলে বিষয়টি বুঝতে পারে নি।