K Local রেস্টুরেন্ট (পর্ব-০১) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৫শে ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
শুক্রবার উপলক্ষে গতকালকে আমার কাজিন দের সাথে ঘোরাঘুরি করেছিলাম সেটাকে কেন্দ্র করে আজকের এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা রাতের বেলায় যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেখানকার পরিবেশ খুবই ভালো লেগেছিল আবার এরিয়াটাও বেশ বড় এজন্য সেই রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে আমি দুটি আলাদা আলাদা পর্বে শেয়ার করব আর এখন প্রথম পর্ব নিয়ে কথা বলব। আগে থেকেই আমাদের প্ল্যানিং ছিল তাই নামাজ শেষ করে বাসায় এসে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। তিনটার মধ্যে আমি কুষ্টিয়া পৌঁছে যাই। প্রায় তিন থেকে চার মাস পরে আমি আমার কাজিনদের সাথে দেখা করলাম আসলে নিজের ব্যস্ততার কারণে তাদের সাথে দেখা করা হয় না তাই অনেকদিন ধরেই প্ল্যানিং চলছিল আমরা সবাই মিলে একসাথে দেখা করব এবং ঘোরাফেরা করব। বিকেল বেলায় আমরা ঘুরাঘুরি করে যখন অনেকটাই ক্লান্ত তখন ভাবলাম ভালো একটা রেস্টুরেন্ট হলে সেখানে গিয়ে বসে আড্ডা দেওয়া যাবে তাই মেজ আপুর পরামর্শ মত সবাই মিলে কুষ্টিয়া লোকাল রেস্টুরেন্ট নামক নতুন একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম মজার বিষয় হচ্ছে রেস্টুরেন্টটা বেশ নাম কামিয়েছে যার কারণে আলাদা আলাদা দুইটি শাখা খুলেছে যদিও আমরা প্রথম শাখায় গিয়েছিলাম। সেখানে সব সময় প্রচুর ভিড় থাকে তারপরে শুক্রবারে মানুষের চাপ আরো বেশি থাকে তাই মেজ আপু সেখানে ফোন করে জানতে পারলো একটা টেবিল খালি আছে তার জন্য আমরা সেই টেবিলটা বুকিং করলাম। আমরা সেখানে আসার পরে দেখলাম বেশ ভিড় জমে আছে অপেক্ষা করছিলাম কখন ভিড় কমবে তবে আমরা কয়েকজন বাইরে ছবি তুলছিলাম কারণ সেখানে দোলনা ছিল আর দোলনার চারপাশে সুন্দর লাইটিং ছিল জায়গাটা বেশ ভালো লাগছিল বলে সবাই সেখানে ছবি উঠছিল।
দোলনায় সবাই ছবি ওঠার পরে পর্যায়ক্রমে ভেতরে চলে গেল তবে আমি সেখানে বসে দোল খাচ্ছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। রেস্টুরেন্টের বাইরে বারবিকিউ তৈরি হচ্ছিল আমি সেখানে গেলাম এবং রেস্টুরেন্টের সেই কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া আপনার সহ কি আমি একটি ছবি তুলতে পারি তখন সে অনুমতি দিল এবং আমি তার ছবি তুললাম। রেস্টুরেন্টের প্রবেশপথে বেশ সুন্দর ডেকোরেশন ছিল আর সেখানেই আমার বড় আপুর মেয়ে সাওফা হাটাহাটি করছিল তখনই আমি তার ছবি তুললাম। যদি ছবিগুলো ভালোভাবে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন জায়গাটার লাইটিং বেশ সুন্দর। তাছাড়া সেখানে যে অনেক মানুষের ভিড় সেটা বাইরে রাখা বাইক গুলো দেখলেই বোঝা যায়। তবে এমন জায়গায় যদি লোকজন কম হয় তাহলে বেশি মজা লাগে। নতুন জায়গা বলে এখানে লোকজনের আনাগোনা একটু বেশি।
তারপরে ভেতরে গিয়ে দেখতে পেলাম দেওয়ালের সাথে প্রজাপতির পেইন্টিং করে রাখা হয়েছে আর তার দুই পাশে লাইটিং এ সেই পেইন্টিং এর সৌন্দর্য টা আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তার ডান পাশেই রয়েছে রেস্টুরেন্টের ডেস্ক যেখানে সবকিছু অর্ডারসহ তাদের সাথে সব ধরনের কথা বলা যায় সেই স্থান। তার বিপরীত পাশেই রয়েছে একটি বড় গাছ আর গাছ গাছের চারপাশ দিয়ে লাইটিং করে রাখা হয়েছে আর গাছের সামনে একটি দোলনা রাখা হয়েছে। মূলত আমরা জায়গাটার ডেকোরেশন দেখার জন্যই গিয়েছিলাম তবে যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক ততটাই সুন্দর ছিল। আবার রেস্টুরেন্টের বাইরের দিকে যারা বসবে তাদের বিনোদনের জন্য প্রজেক্টরের ব্যবস্থা আছে। ছবি দেখলে বিষয়টি ক্লিয়ার হতে পারবেন, প্রজেক্টরে গান চলছে আর সবাই সেটা উপভোগ করছে। যদিও আমি সাওফার ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম তাকে বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে ছবি তুলছিলাম আবার তার হাত ধরে ছবি তুলছিলাম। তবে কিছু সময় পরে সে জুস দেখতে পেয়ে হাত প্রসারিত করে বলছিল জুস খাব, জুস খাব তখন তার জন্য আবার আলাদা জুস নিয়েছিলাম ছবিটা দেখতে পারলে বুঝতে পারবেন যে সে হাত প্রসারিত করে কিছু একটা দেখাচ্ছে।
আমরা ভেতরের এসি রুমে বসে খাওয়া দাওয়ার কথা বললাম যার কারণে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হলো। আসলে সেখানে অনেক সময় অপেক্ষা করলেও সময়টা বুঝতে পারিনি কারণ সবাই ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল আর সেখানকার ডেকোরেশন টা দেখে বেশ খুশি হয়েছিল। সবাই বসে গল্প করছিল আর আমি রেষ্টুরেন্টের মধ্যে থাকা গাছপালা গুলোর ছবি তুলছিলাম। রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করার যে রাস্তাটা ছিল তার দুই পাশ দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর গাছের টব রয়েছে। তবে মজার বিষয় রেস্টুরেন্ট এরিয়ার মধ্যে আবার তাদের নিজস্ব জামাকাপড়ের দোকান আছে। তবে রাতের বেলায় সবুজ গাছগুলোর মাঝে লাইটিং করা আর সেখানে বসে আপনি খাবার খাচ্ছেন বিষয়টা কিন্তু বেশ মজার। এই মজার বিষয়গুলো উপভোগ করার জন্যই প্রতিনিয়ত এখানে সবাই খাবার খেতে আসে। তবে এখানকার খাবারের কোয়ালিটি কেমন ছিল সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile