K Local রেস্টুরেন্ট (পর্ব-০২) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১লা আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শরৎকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
অনেকদিন পরে কাজিনদের সাথে ঘোরাঘুরি করেছি আর সেটা নিয়ে ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে একটি পর্ব শেয়ার করেছি আর এখন দ্বিতীয় পর্বটি তুলে ধরব। যদিও আমরা বিকেলের দিকে নদীর ধারে গিয়েছিলাম তবে সেটা এখনো শেয়ার করা হয়নি আর যে রেস্টুরেন্টে আমরা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ছিলাম সেটা নিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি আর এখন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে লিখতে বসেছি। প্রথম পর্বে রেস্টুরেন্টের বাইরের ডেকোরেশন সহ লাইটিং নিয়ে কিছু টপিক তুলে ধরেছিলাম যেটা সেখানকার গ্রাহকদেরকে প্রতিনিয়ত আকর্ষিত করে। নিজেরা অনেক ছবি তুলেছিলাম তার মধ্যে থেকে কিছু ছবিও অবশ্য শেয়ার করেছিলাম তবে আজকের পর্বে ভিতরে যেখানে খাবার পরিবেশন করা হয় সেখানকার জায়গা নিয়ে কথা বলব। রেস্টুরেন্টের এরিয়াটা মোটামুটি বেশ বড় ছিল। আপনি যদি মনে করেন রেস্টুরেন্টের এরিয়ার মধ্যেই ফাঁকা আকাশের নিচে বসে খাবার খাবেন রাতের বেলায় তাহলে সেটাও পারেন আবার যদি মনে করেন ঠান্ডা এসির বাতাস খেতে খেতে সোফায় বসে রাতের ডিনার করবেন তাহলে সেটাও পারেন তবে আমরা যেহেতু বেশ কয়েকজন ছিলাম তাই গরমের মধ্যে খাবার না খেয়ে এসির মধ্যে গিয়ে বসতে চেয়েছিলাম তাই একটু দেরি করছিলাম যদিও বাইরে যেখানে বসার ব্যবস্থা ছিল সেখানে ফ্যান ছিল তবে বাইরে তো অনেক সময় ছিলাম এখন একটু ভিতরে যাব। যদিও আমরা প্রথম দিকে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে ছিলাম আর উপরে অনেক রঙের লাইটিংসহ আশপাশের ডেকোরেশনটা বেশ ভালো লাগছিল তাই সেখানে গিয়ে বসলাম আর আমরা বসেছিলাম একদম প্রজেক্টর এর সামনে যেখানে মিউজিক চলছিল। সেই ছবিটা অবশ্য প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম। তবে সেখানকার অনেকগুলো বিষয় ভালো লেগেছে তার মধ্যে অর্ডার করার সিস্টেমটা বেশি ভালো লেগেছে। সাধারণত যে কোন রেস্টুরেন্টে যদি যান তাহলে দেখতে পারবেন তারা একটি মেনু বই আপনাকে দিবে আর সেখান থেকে আপনি কি খাবার অর্ডার করবেন সেটা আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে এবং ওয়েটারকে বলতে হবে। তবে আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেখানকার সিস্টেমটা পুরোপুরি ভিন্ন। প্রতিটা টেবিলে একটি করে ট্যাব রাখা হয়েছে আর সেই ট্যাবের মধ্যেই রেস্টুরেন্টের যে মেনু গুলো আছে সেগুলো রাখা হয়েছে আর সেই ট্যাবের মধ্য থেকেই আপনি রেস্টুরেন্টের মেনু সিলেক্ট করে অর্ডার করতে পারবেন। অনেক সময় ধরে ট্যাবের মধ্যে ঘাটাঘাঁটি করার পরে আমরা মেনু সিলেক্ট করলাম এবং সেটা অর্ডার কনফার্ম করলাম যদিও মেনু ছিল অনেকগুলো তার মধ্যে শুধু দুইটার ছবি তুলে শেয়ার করেছি কারন আমরা লোক ছিলাম অনেক তাই অনেকগুলো মেনু অর্ডার করতে হয়েছিল।
আমরা যখন ভেতরের এসি রুমে প্রবেশ করতেছিলাম ঠিক তখন দেখতে পারলাম একটি লাইটিং এর উপরে লিখে রাখা হয়েছে K L অর্থাৎ এই রেস্টুরেন্টের সংক্ষিপ্ত নাম। ভিতরে প্রবেশ করার পরে তখন বেশ ভালো লাগছিল হালকা ঠান্ডা এসির বাতাস ভালই লাগছিল যদিও সেদিনই খুব একটা গরম ছিল না কারণ বিকেল বেলায় বৃষ্টি হয়েছিল বলে আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের মধ্যে অনেক গাছপালা রয়েছে সেটা নিয়ে অবশ্য প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর গাছপালাগুলোর কারণেই হয়তো বা পরিবেশটা অনেকটাই ঠান্ডা ছিল। রাতের বেলায় গেলে সেখানে যে কেউ প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাবতে ভুল করবে না। যাইহোক আমরা সবাই মিলে একদম মেইন গেটের সামনে গিয়ে বসলাম। সেখানে দুই পাশে বড় বড় দুইটা সোফা সেট ছিল সেখানে বসলাম আর বাকি দুজন চেয়ার নিয়ে বসলাম। যেহেতু আমরা এক গ্রুপে অনেকজন লোক ছিলাম সেজন্য দুইটা বাড়তি চেয়ার নিতে হয়েছিল। সবাই বসে আমরা গল্প করছিলাম আর কখন আমাদের খাবার আসবে সেই অপেক্ষায় ছিলাম যদিও চাইছিলাম একটু দেরিতে আসুক কেননা এমন পরিবেশে একটু বেশি সময় কাটাতে চাচ্ছিলাম।
আমরা সবাই গল্প করছিলাম আর ভিতরের সৌন্দর্য টা নিয়ে সবাই আলোচনা করছিলাম। আসলেই ভেতরের ডেকোরেশনটা অনেক সুন্দর ছিল আমাদের সবার কাছেই ভেতরের ডেকোরেশনটাও বেশ ভালো লেগেছিল। গ্লাসের পাশ দিয়ে বিভিন্ন শোপিস সহ ফুলদানি রাখা হয়েছে আবার প্রতিটা দেয়ালের সাথেই অনেকগুলো করে ওয়ালমেট লাগানো ছিল যেটা দেওয়ালের সৌন্দর্যটা আরো বাড়িয়ে তুলেছিল। আমরা সবাই প্রতিটা ওয়ালমেট দেখছিলাম আর সেটার সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করেই আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো যে এই ওয়ালমেট গুলো কে নিয়েও আমি একটি পর্ব সাজাতে পারি তাই ভাবলাম প্রতিটা ওয়ালমেট এর ছবি তুলব আর সেই ছবিগুলো এখানে তুলে ধরেছি। উপরের প্রতিটা ওয়ালমেট এর ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন আসলে ওয়ালমেট গুলো কতটা সুন্দর ছিল। ওয়ালমেট এর মধ্যে কৃত্রিম সৌন্দর্যগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল আর সেগুলোর ছবি তোলা শেষ হওয়ার পরে গ্লাসের পাশ দিয়ে যে ফুলদানি সহ ডেকোরেশনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য যে আসবাব পত্র গুলো রাখা হয়েছিল আমি পর্যায়ক্রমে সেগুলোর ছবি তোলা শুরু করলাম মূলত এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্যই এতগুলো ছবি তুলেছি।
ছবি তোলা শেষ হওয়ার পরে আবার এসে চেয়ারে বসতেই আমাদের অর্ডার চলে আসলো। আমরা সেই দুপুরে বাসা থেকে খেয়ে বের হয়েছি আর তখন প্রায় রাত নয়টা বাজে তাছাড়া সেই বিকেল থেকে এদিক-ওদিক হেঁটে বেড়াচ্ছি আর নৌকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি তার জন্য অনেকটাই ক্ষুধার্ত ছিল সবাই তাছাড়া ক্লান্ত ছিল বটে যার কারনে অনেকগুলো জুস অর্ডার করেছিলাম। ধীরে ধীরে অর্ডার গুলো আসতে থাকলো। তবে দুঃখের বিষয় সবগুলো আইটেমের ছবি তুলতে পারিনি কারণ আমাদের মাঝ থেকে একজন অর্ডার আসার সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। শুধু আমি আর আমার ছোট ভাই কাবাব অর্ডার করেছিলাম আর যে নান রুটি গুলা ছিল সেগুলোর ছবি তুলতে পেরেছিলাম বাকিগুলোর আর ছবি তোলা হয়নি। যাইহোক সেখানকার ডেকোরেশনটা যতটা সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল সেখানকার খাবারের কোয়ালিটি আমার কাছে ততটা বেটার মনে হয়নি। রেটিং এর চিন্তা করলে আমি সেখানকার খাবারের রেটিং ৫০/৫০ দিতে পারি। যদিও মেজ আপু আগে থেকেই সেখানে এসেছিল আর সেখানকার খাবারের কোয়ালিটি সম্পর্কে জানত তবে আমরা সেখানকার রাতের ডেকোরেশনটা দেখার জন্যই মূলত এসেছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে বরাবরের মতোই বড় আপু বিল দিল। বড় আপু এমবিবিএস ডাক্তার মাস গেলে অনেক টাকা বেতন পায় এজন্য সবখানে গিয়ে সে নিজেই আমাদের বিল পেমেন্ট করে হি হি হি। সব মিলিয়ে ১৯৯০ টাকা বিল আসলো আর বড় আপু সেটা পেমেন্ট করার পরে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। তবে পেমেন্ট করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আগে বড় আপুর মেয়ে অর্থাৎ আমার ভাগ্নি সাওফা কে আবার বসিয়ে ছবি তুলেছিলাম। তখন অবশ্য একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল, খাওয়া শেষ না হতেই ওয়েটার এসে আমাদের বিল জানিয়ে দিল ঠিক তখনই আমাদের মাঝ থেকে একজন বলে উঠলো খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই হাতে বিল ধরিয়ে দিচ্ছেন তখন তিনি লজ্জা পেয়ে আবার বিলটা কিছু সময় পরে পাঠিয়েছিল হা হা হা ।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
ভাইয়া খাবার অর্ডার দেওয়া পরে তাদেরকে বলে রাখলেই হতো যে আপনি ছবি তুলবেন,হা হা হা। অনেক খিদা পেয়েছিলো তার যার জন্য খাবার আসার সাথে সাথে খাওয়া শুরু করেছে। যায়হোক এমন এমবিবিএস বড় আপু সাথে থাকলে প্রতি দিনই রেস্টুরেন্ট যেতে মন চাইবে,হা হা হা। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/KaziRai39057271/status/1703083012290912555?s=20
কে লোকাল রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই। আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে জুস কাবাব নান রুটি সহ অনেক কিছুই খেয়েছেন। অনেক ক্ষুধার্ত থাকার কারণে সেগুলোর ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেননি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।