আমাদের ঈদ || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৪ই আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
ঈদ মানে খুশি আর ঈদ মানে আনন্দ। মুসলিম বিশ্ব প্রতিবছর দুইটি ঈদ পালন করে। একটি হলো ঈদুল ফিতর আর অন্যটি ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার প্রধান লক্ষ্য থাকে পশু কুরবানী করা। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করার জন্য পশু কুরবানী করা হয়। কুরবানী করা ওয়াজিব। হাদীস শরীফে এসেছে যে ব্যাক্তি কুরবানী দেওয়ার উপযুক্ত কিন্তু কুরবানী দেয় না সে যেন ঈদের দিনে ঈদগা ময়দানে নামাজ পড়তে না যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাদের জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব?? যাদের (৭.৫) ভরি স্বর্ণ অথবা (৫২.৫) ভরি রূপার সমপরিমাণ অর্থ আছে তাদের জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব। গৃহপালিত পশুর মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া,উট, মহিষ কুরবানী করা যায়। তবে কুরবানী করার ক্ষেত্রে কত টাকা দিয়ে আপনি কুরবানীর পশু ক্রয় করেছেন এটার মানুষের কাছে না বলাই ভালো কারণ আপনি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য একটি পশু আল্লাহর ওয়াস্তে কুরবানী করবেন। পশুর কতটুকু মাংস হবে সে বিষয়ে কোনো কথা না বলাই উচিত কারণ আপনি তো মাংস হিসেবে পশুটিকে কুরবানী করেননি আপনি শুধু আল্লাহ তায়ালার ওয়াস্তে পশু কুরবানী করবেন। তাই আমাদের উচিত কোরবানি করার ক্ষেত্রে উপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু অবগত হওয়া। যাই হোক আমার যতটুকু জানা ছিল আমি ততটুকু বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি এখন ঈদের দিনের কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমরা সবাই জানি ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ তাই ঈদ আসলেই মনের মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ কাজ করে। ঈদের আনন্দ পরিবারের সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবাই নিজ শেকরে ফিরে আসে। তবে এবারের ঈদ অতটা বেশি ভালো কাটেনি কারণ ঈদের আগে থেকেই তো বর্ষার আবহাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল সারাদিন একটানা বৃষ্টি যদিও ঈদের দিনে তেমন বৃষ্টি হয়নি তবে ঈদের আগের দিন এবং ঈদের পরের দিনগুলো একের পর এক বৃষ্টি দেখতে দেখতে কেটেছে। যাইহোক ঈদের আগে থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল বলে ঈদের দিন সকাল আটটায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তাছাড়া ঈদের নামাজ শেষ করে সবাই পশু কুরবানী করা শুরু করে। আমরা সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল খাওয়া-দাওয়া করে ঠিক ঘড়ির কাঁটায় ৭:৪৬ মিনিটে ঈদগাহ ময়দানে পৌঁছে গেলাম। কারণ ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল আটটা। একটু বেশি সকাল সকাল হওয়ায় অনেকেই আসতে দেরি করছিল তাই তখন ১৫ মিনিট সময় পিছিয়ে দেওয়া হলো অর্থাৎ ৮:১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হলো। বিভিন্ন হিসাব সহ ঈদগাহ ময়দানের উন্নয়নমূলক কাজগুলো সম্পর্কে কথা বলে আলোচনা শেষ করা হচ্ছিল। সকাল থেকেই আকাশে প্রচন্ড মেঘ ছিল তাই আরো নতুন পাঞ্জাবি পরে ঈদগাহে যাইনি। আলোচনা চলাকালীন সময়ে আমি মেঘলা আকাশের ছবি তুলছিলাম আর ছোট ভাই আমাদের সবার সেলফি নিচ্ছিল সেই ছবিটা অবশ্য শেয়ার করেছি।
আলোচনা চলাকালীন সময়ে আমি ঈদগাহ ময়দানের বিভিন্ন প্রান্তের ছবি তুলে ধরলাম যদিও ঈদগা ময়দানের এরিয়া অনেক বড় তাই সবগুলো ছবি হয়তো অতটা ক্লিয়ার হয়নি তবে যতদূর সম্ভব ছবিগুলো পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যারা ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে এসেছে তারা সবাই চুপচাপ বসে আলোচনা শুনছিল। যদিও যখন ঈদের নামাজ ১৫ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হলো তখন অনেকেই কথা বলেছিল তবে বিষয়টা মিটিয়ে নেয়া হলো এবং ১৫ মিনিট লেট করে নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়া সবাই মেনে নিল। যথাসময়ে আলোচনা শেষ হলো এবং নামাজ আদায়ের জন্য সব মুসল্লিগণ দাঁড়িয়ে কাতার ঠিক করছিল। যখন সবাই বসে আলোচনা শুনছিল তখন সবার ছবি তুলেছিলাম আবার পরবর্তীতে যখন সবাই দাঁড়িয়ে গিয়ে কাতার সোজা করছিল তখনো বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ঈদগা ময়দানের ছবি তুলেছিলাম। ঈদগাহ ময়দানের চারিপাশের দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্যই ধাপে ধাপে ছবিগুলো তুলেছিলাম। ছবি তোলার পর্ব শেষ হয়ে পরবর্তীতে আরো পাঁচ মিনিট লেট করে ৮:২০ মিনিটে ঈদের নামাজ শুরু হয়।
ঈদের নামাজ শেষে হলে ইমাম সাহেব মিনারে উঠে খুতবা পাঠ করছিল আর সবাই বসে বসে খুতবা শুনছিল। যখন খুতবা শেষে মোনাজাত শেষ হলো তখন সবাই নিজেদের মধ্যেও কোলাকুলি করছিল এবং যেসব পরিবারের সদস্য চিরতরে বিদায় নিয়েছে তাদের কবরের পাশে গিয়ে দোয়া পাঠ করছিল। পরবর্তীতে কুরবানী করার উদ্দেশ্যে সবাই তাড়াহুড়ো করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। সবাই একটু তাড়াহুড়ো করে বাড়ি যাচ্ছিল যার কারণে রাস্তায় অনেক ভিড় ছিল যদি ছবিটা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে রাস্তায় কতটা মানুষের চাপ ছিল। যদিও ঈদগা ময়দানের পাশে যে দোকানপাটগুলো বসেছিল সেখান থেকে মিষ্টি সহ কিছু খাবার কিনেছিলাম আর আমার ছোট ভাই টাকা জমানোর জন্য মাটির তৈরি ছোট ব্যাংক ও কিনেছিল। তবে লোকজনের ভীড় থাকার কারণে সেই দৃশ্যগুলোর আর ছবি তোলা হয়নি।
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের ঈদগা ময়দানে যেতে যেখানে দোকানপাট বসে সেখানে সরকারের উদ্যোগে যে ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে তাদের আবাসন কেন্দ্র দেওয়া হচ্ছে সেই প্রজেক্ট এর কাজ সেখানেই হচ্ছে। ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন ঘরগুলো অনেকটাই কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে আর কিছু কিছু ঘর এখনো তৈরি কাজ চলছে। হয়তো পরবর্তীতে যখন ঈদগা ময়দান নামাজ পড়তে যাব তখন এই আবাসন কেন্দ্রের পুরোপুরি সৌন্দর্যটা তুলে ধরতে পারবো কেননা তখন কাজ পুরোপুরি কমপ্লিট হয়ে যাবে আর হয়তো সেখানে লোকজন বসবাস করা শুরু করে দিবে। যাই হোক আমরা সবাই ঈদগা ময়দান থেকে এসে আবার সেমাই খেয়ে মিষ্টি মুখ করলাম। যেহেতু আকাশে মোটামুটি মেঘ ছিল তাই বাড়ি থেকে সাদা পানি কাগজ নিয়ে আমরা আমাদের পুরাতন বাড়িতে পশু কুরবানী করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম এবং সেখানে পশু কুরবানী করেছিলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জুলাই,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1675313712981483520?s=20
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি ঈদের খুশি সবাই আশা করছি ভালোভাবে উপভোগ করেছেন।
ঈদের দিন অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদ মোবারক ভাইয়া।আপনার পোস্ট অনেকদিন পর দেখতে পেলাম।আশাকরি ঈদ পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব আনন্দে কাটিয়েছেন। আপনি ঈদের দিনের কিছু মুহুর্ত আর এর সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে। ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
হুম অনেক দিন পর পোস্ট করলাম, ঈদের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করেছি এবং সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। কোরবানির দেওয়াটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যাদের উপর কোরবানির ফরজ হয় তারাই শুধু কোরবানি দিতে পারবে। আর এটা ফরজ হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। হা আপনি যে শর্তগুলো বর্ণনা করেছেন এই সম্পদের মালিক যারা হয়েছে তাদের উপর কুরবানির ফরজ। বিশেষ করে কোরবানি ঈদের দিন সবাই দ্রুত নামাজ শেষ করে কিছু খাবার খেয়ে কোরবানির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনাদের ঈদের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই কুরবানী করা ওয়াজিব।
আপনার ঈদের দিনের কাটানো মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। ঈদের দিনটা বেশ ভালোভাবেই আনন্দের সাথে কাটিয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারতেছি। আসলে নামাজ পড়তে গেলে অনেক বেশি ভিড় থাকে বাহির হওয়ার সময়। কারণ ঈদগাহে অনেক মানুষের ভিড় হয়। নামাজ পড়া শেষ হলে সবাই কোলাকুলি করে, তারপরে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। ফটোগ্রাফিতে দেখে বুঝতে পারছি কত মানুষের ভিড়।
হ্যাঁ নামাজ শেষে সবাই যখন একবারে ঈদগাহ থেকে বের হয় তখন অনেকটাই সিরিয়াল পড়ে যায়।